সরল গরল-তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা এখনো বহাল! by মিজানুর রহমান খান

পঞ্চদশ সংশোধনী পাসের ফলে কি সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কার্যকারিতা একেবারে ফুরিয়ে গেছে? আমরা বহুল আলোচিত ত্রয়োদশ সংশোধনীর কথা বলছি। বাতিল হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার কথা বলছি। আগামী দুই মেয়াদের সংসদ নির্বাচন কি দলীয় সরকারের অধীনে হতেই হবে? সংবিধানের দেহ থেকে এই পরিচ্ছেদটি মুছে ফেলে কি ক্ষমতাসীন দল
ধরেই নিতে পারে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূত তাড়ানো সম্ভব হয়েছে? বিরোধী দল পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলে আন্দোলনে রয়েছে। তারা যদি বিশ্বাস করতে পারে যে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হয়ে গেলেও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় ধুয়ে-মুছে যায়নি, তাহলে কি তারা আগামী আড়াই বছরব্যাপী গণবিরোধী জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন করা থেকে রেহাই দেবে? রেহাই পেলে সেটুকুই কার্যত আমাদের প্রাপ্তি। কারণ আমরা জানি, সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা পেলে তারাও আওয়ামী লীগের মতো চোখ টাটানো দলীয় স্বার্থ ও ক্ষমতার ক্ষুধা মেটানোর কাজেই তা ব্যবহার করবে। যাক, এখন প্রশ্ন হলো, আগামী সাধারণ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের কোনো আইনগত ভিত্তি অবশিষ্ট আছে কি না।
সম্প্রতি দেশ টিভির এক আলোচনায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত একটি কৌতূহলোদ্দীপক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে যদি দেখা যায় যে আগামী দুই মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করা ম্যান্ডেটরি করা হয়েছে, তাহলে আওয়ামী লীগ আবার সংবিধান সংশোধন করবে।’ এটা কোনো সাদামাটা উক্তি নয়। এর তাৎ পর্য সুগভীর ও সুদূরপ্রসারী। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ‘প্রয়োজনে পুনরায় সংবিধান সংশোধনের’ দ্ব্যর্থহীন অভিমত রেখেছেন।
এ কথা খুবই খাঁটি যে বিদ্যমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারকাঠামো অকার্যকর হয়ে পড়েছিল। চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারকের বয়স বাড়িয়ে বিএনপি এই ব্যবস্থার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেছিল। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এর দাফন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল নির্বাচনকালীন সরকারের ধারণা নির্দিষ্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে। একটি বিষয় পরিষ্কার, নির্বাচনকালীন সরকারে বিদায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। এটা যেসব কারণে (প্রধানমন্ত্রীর হাতে সর্বময় ক্ষমতা অটুট রাখা এবং তাঁরই নির্দেশে দলীয় দূষণে দূষিত প্রশাসন নির্দলীয় ভূমিকা পালনের বিশ্বাসযোগ্যতা সৃষ্টিতে অক্ষম থাকা) উদ্ভব ঘটেছে, সেসব কারণের কিছুই রদবদল হয়নি। আগের মতোই স্থিতাবস্থা বজায় আছে। সে কারণে ত্রয়োদশ সংশোধনীর প্রতি মানুষের ঝোঁক অটুট রয়েছে। সে কারণে পঞ্চদশ সংশোধনী বিলোপ সত্ত্বেও ত্রয়োদশ সংশোধনীর পূর্ণাঙ্গ রায় অবিলম্বে লেখা এবং তা জনসমক্ষে প্রকাশ করা অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়নি।
ধরে নেওয়া যাক, বিরোধী দল সংসদে যাবে না। আলোচনা হবে না। সমঝোতা হবে না। সাপ-লুডু খেলতে খেলতে নির্বাচনের সময়ও এসে যাবে। তখন কী হবে? নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ ৯০ দিন কমে গেছে। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধানমন্ত্রী তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। আর লিখিতভাবে সংসদ বিলোপের পরামর্শ দেবেন। রাষ্ট্রপতি তখন কী করবেন? ত্রয়োদশ সংশোধনী বিলোপ হয়ে গেছে বলে তিনি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীকেই (যেটা শাসক দলের ইচ্ছা) তাঁর নির্বাচিত উত্তরসূরি না আসা পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের অনুরোধ জানাবেন?
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় এরই মধ্যে পাব, সেটা সাধারণ আশা। যদি পাওয়া যায়, তাহলে কি সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বর্ণিত সম্ভাবনা তৈরি হবে? এর উত্তরে বলতে হবে, সেনগুপ্তের দৃশ্যত ভালোমানুষি কথাটি কি বিচার বিভাগের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতিফলন? সদিচ্ছাপ্রসূত? এর উত্তর হ্যাঁ ধরে নিতে পারলে আমরা খুশি হতাম। কিন্তু সেটা মনে করার কোনো কারণ নেই। কারণ আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করা হয়েছে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আসলে বলতে চেয়েছেন, তাঁরা আপিল বিভাগের রায়ের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, সেটাই সঠিক। কিন্তু সেটা সত্য নয়। এ পর্যন্ত কোনো রেফারেন্স বা আইনের উপযুক্ত অথরিটি বা কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে সাবেক বিচারক ও শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীরা একমত হতে পারেননি যে গত ১০ মে ঘোষিত আপিল বিভাগের শর্ট অর্ডার যথাযথ। আমাদের আর পূর্ণাঙ্গ রায় দেখার দরকার নেই। বরং অনেক শীর্ষস্থানীয় আইনবিদ শর্ট অর্ডারে অসামঞ্জস্য রয়েছে বলেই জোরালো মত দিয়েছেন। যেমন আরটিভির এক আলোচনায় একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বলেন, একটি ‘খারাপ’ শর্ট অর্ডার দেওয়া হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেও তাঁকে এ কথা বলতে হচ্ছে। কারণ, হয়তো তিনি দেখেছেন, ভবিষ্যৎ সাপেক্ষে বাতিল বলার পরও আদালত দুই মেয়াদে ত্রয়োদশ সংশোধনীর আওতায় নির্বাচনের কথা বলেছেন। এটা গোঁজামিল। সংবিধান বিশেষজ্ঞ মাহমুদুল ইসলাম রায়ের অসামঞ্জস্যতা সম্ভবত এই দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখেছেন। সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলামও স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, এমন রায়দানের এখতিয়ার আপিল বিভাগের নেই। তবে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক শুরু থেকেই এ বিষয়ে যথার্থ অভিমত দিচ্ছেন।
কোনো সংবিধান বা রায় ব্যাখ্যা করার একটি সুস্বীকৃত প্রাচীন নীতি আছে। সেটা হলো, কোনো অস্পষ্টতা থাকলেও এমনভাবে ব্যাখ্যার চেষ্টা করা, যাতে তা অধিকতর অর্থপূর্ণ হয়ে ওঠে। এমনভাবে ব্যাখ্যার সুযোগ সযত্নে পরিহার করা, যাতে তা সাংঘর্ষিক বা দ্ব্যর্থবোধক হয়ে ওঠে।
আমরা তাই এ-সংক্রান্ত বিতর্কের খুব গোড়াতেই গোলকনাথ মামলায় অনুসৃত ‘ডকট্রিন অব প্রসপেক্টিভ ওভাররুলিং’-এর দিকে আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। ‘রায়ের দিন থেকে বাতিল’ ত্রয়োদশ সংশোধনীর আওতায় দুই মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের বৈধতা প্রশ্নে অটল অবস্থানে আছি। কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, যে জিনিস সংবিধানে নেই, তার অধীনে এখন আর কী করে নির্বাচন হতে পারে? এর উত্তর হলো: আদালতের দোহাই দিয়ে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করা হয়েছে। এ রকম দোহাই যদি তারা নাও দিত, তাহলেও সংসদের পূর্ণ এখতিয়ার ছিল এটা বাতিলের। সুতরাং দোহাই দিল কি দিল না, সেটা ভিন্ন তর্ক।
জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে কি এমন কোনো বিধান আনা হয়েছে, যার দ্বারা স্পষ্টরূপে আগামী দুই মেয়াদে ত্রয়োদশ সংশোধনীর আওতায় নির্বাচন নিষিদ্ধ করা হয়েছে? এর উত্তর—না। ভারতের ইতিহাসে কিন্তু তেমন উদাহরণ আছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অকার্যকর করতে নির্দিষ্ট বিধান এনেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। আগামী দুই মেয়াদে নির্বাচন ত্রয়োদশ সংশোধনীর আওতায় যাতে না করা যায়, সেটা পঞ্চদশ সংশোধনী ঠেকাতে যায়নি। তারা যেটা করেছে, সেটা হলো, দুই মেয়াদে নির্বাচন অনুষ্ঠানকে অবিটার ডিকটা বা নির্দেশনামূলক পর্যবেক্ষণ বলে অভিহিত করেছে। আর সংবিধান থেকে ত্রয়োদশ সংশোধনীটা ফেলে দিয়েছে। এখন আমরা লক্ষ করব, আওয়ামী লীগ শুধু একটি নয়, দুটি (একাদশ ও ত্রয়োদশ সংশোধনী) সংবিধানের দেহ থেকে শতভাগ নিশ্চিহ্ন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ সংবিধান নামের গ্রন্থে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। এটা বুঝতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই যে, একাদশ সংশোধনী মুছে দিলেই মুছে গেল না। আজ যদি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখলের জন্য বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলেও সেই বিচার চলবে না। একাদশ সংশোধনী তাঁকে সুরক্ষা দেবে। সুতরাং সংবিধানে না থাকলেই ‘নাই’ হয়ে যায় না।
এখন প্রশ্ন হলো, পূর্ণাঙ্গ রায় কি এমনভাবে লেখা হতে পারে, যাতে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ম্যান্ডেটরি অবস্থা টিকবে না? আমরা যত দূর বুঝতে পারি, সেই সুযোগ থাকার কথা নয়। শর্ট অর্ডারে যা ইতিমধ্যে বলা হয়ে গেছে, তাকে উল্টে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের মত হচ্ছে, আগামী দুই মেয়াদের নির্বাচন ত্রয়োদশ সংশোধনীর আওতায় না করার উদ্যোগ আইনগতভাবে প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। শর্ট অর্ডারে যা বলা হয়েছে, তা এক অর্থে যথেষ্ট।
এক সুপরিচিত সংবিধান বিশেষজ্ঞের কাছে জানতে চাইলাম, আগামী নির্বাচন যদি ত্রয়োদশ সংশোধনীর আওতায় হয়, তাহলে কি তা বৈধ হবে না? অবৈধ হবে কেন? তিনি বললেন, আদালত তো সংসদকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে যে তারা দুই মেয়াদে করবে কি করবে না। তো সংসদ এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তারা করবে না। কিন্তু শ্রদ্ধেয় বিশেষজ্ঞের এই অভিমত ভুল। প্রথমত, শর্ট অর্ডারে সংসদের মর্জির ওপর বিষয়টি রাখেননি। দ্বিতীয়ত, আদালত বলেননি যে আগামী দুই মেয়াদে করতে হলে সংবিধানে সংশোধনী আনতে হবে। বরং আদালতের রায়ে নির্দিষ্টভাবে লেখা আছে, আগামী দুই মেয়াদে নির্বাচন ত্রয়োদশ সংশোধনীর আওতায় হতে পারে। এর আগে একই প্রশ্ন ড. কামাল হোসেনকে জিজ্ঞেস করি। তিনি আমাদের ব্যাখ্যার বিষয়ে হ্যাঁ বা না কিছুই বলেননি। শুধু বলেছেন, প্রয়োজনে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের আওতায় রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের কাছে একটি রেফারেন্স পাঠাতে পারেন।
প্রসপেকটিভলি সংবিধান সংশোধনী বাতিলের ধারণা নতুন। বিশেষ কমিটির এক প্রভাবশালী সদস্যকে টকশোতে অন্তত দুবার বলতে শুনলাম, আদালত ত্রয়োদশ সংশোধনী ভয়েড অ্যাবিনিশিও ঘোষণা করেছেন। কথাটি ভুল। ত্রয়োদশ সংশোধনীকে গোড়া থেকে বাতিল করা হয়নি। দুই মেয়াদে কথাটিও অবিটার ডিকটা নয়, রায়ের অবিচ্ছেদ্য বলেই অনেকে মনে করেন। মাহমুদুল ইসলাম আদালতে বলেছিলেন, এটা বিলোপ করা হলে দেশে মার্শাল ল আসবে।
মাহমুদুল ইসলাম তাঁর বইয়ে খুবই সংক্ষিপ্তভাবে প্রসপেকটিভ ডকট্রিন নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি দেখান, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের গোলকনাথের পর অষ্টম সংশোধনী মামলায় আমাদের আপিল বিভাগ এর প্রয়োগ ঘটিয়েছিলেন। তবে আমরা দেখি, ওই রায়ে ডকট্রিন হিসেবে বিষয়টি আদৌ আলোচনা করা হয়নি। মজার বিষয় হলো, এরশাদের আনা ১০০ অনুচ্ছেদের সংশোধনী আপিল বিভাগ ১৯৮৯ সালে রায়দানের মুহূর্ত থেকে জ্যান্ত করেছিলেন। সেটাই এতকাল চলেছে। এবার পঞ্চদশ সংশোধনী বিলে সংসদ আপিল বিভাগের সেই ক্ষমতাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সে কারণেই বলছিলাম, আগামী দুই নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে অনুষ্ঠানের দরজা এখনো খোলা আছে।
শুধু দরকার স্বীকৃতির। তবে এটা নির্ভর করবে হাওয়া বদলের ওপর। আমরা শুধু রেকর্ড রাখলাম, সংকটে যেন আমরা সাংবিধানিক বাধার দোহাই না দিই। প্রসপেকটিভলি কথাটি ব্যবহার করেও বাতিল আইন কী করে রায়দানের দিন থেকে পাঁচ বছর টিকে থাকে, তার দৃষ্টান্ত দেখুন। ভারতের সংবিধানের ১৬(৪) অনুচ্ছেদের আওতায় অনগ্রসর শ্রেণীর জন্য কোটা সংরক্ষণসংক্রান্ত একটি আইন অসাংবিধানিক বলে চিহ্নিত হয়। ১৯৯২ সালে মণ্ডল মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নয় সদস্যের বেঞ্চ নিম্নোক্ত রায় দেন।
‘Article 16(4) does not permit provision for reservations in the matter of promotion. This rule shall, however, have only prospective operation and shall not affect the promotions already made,... the definition of 'State' in Article 12 - such reservations may continue in operation for a period of five years from this day.’
এখানে ‘মে’ কথাটির ব্যবহার দেখুন। অথচ ক্ষমতাসীনেরা রায়ের অপব্যাখ্যা দিতে দুই মেয়াদে নির্বাচন করার নির্দেশনার সঙ্গে আমাদের আপিল বিভাগের ‘মে’ কথাটিকে বাধ্যতামূলক নয় বলে দাবি করছেন। অথচ ওপরের ‘মে’ কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলো বাধ্যতামূলক বলেই মান্য করেছে। কেরালা সরকার এটা মানতে টালবাহানা করায় তারা আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিল।
আবার বলছি, আগামী দুই মেয়াদে নির্বাচন শুধু আপিল বিভাগের রায়ের ভিত্তিতেই ত্রয়োদশ সংশোধনীর আওতায় হতে পারে।
মিজানুর রহমান খান: সাংবাদিক।
mrkhanbd@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.