জনদুর্ভোগ-জনগণের কল্যাণের দায় সবার
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা কিংবা রাজনৈতিক অধিকার সবারই রয়েছে, কিন্তু নৈরাজ্য কিংবা জনভোগান্তি সৃষ্টির অধিকার কারোরই নেই। ১২ মার্চ বিরোধী জোটের সমাবেশ ঠেকাতে গিয়ে সরকারের তরফে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তা নিয়ে নানা মহলে নেতিবাচক আলোচনা হয়।
ঢাকাসহ কার্যত সারা দেশ অচল হয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় যোগাযোগ। ফলে শুধু যে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটেছে তা-ই নয়, নিত্যপণ্যের সরবরাহেও বিঘ্ন ঘটেছে এবং আরেক দফা উত্তাপ ছড়িয়েছে বাজারে। হরতালের অভিজ্ঞতা সবারই রয়েছে এবং এর মূল্য সবচেয়ে বেশি দিতে হয় সাধারণ মানুষকেই। ১২ মার্চ-কেন্দ্রিক ঘটনাবলিতেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। সুযোগসন্ধানীচক্র নিজেদের আখের গোছাতে এ ক্ষেত্রেও মরিয়া ছিল, তাও পরিলক্ষিত হয়েছে।
রাজনীতি দেশের মানুষের কল্যাণের লক্ষ্যে পরিচালিত হলেও ১২ মার্চের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে অকল্যাণের দিকটিই বড় হয়ে উঠেছিল। বিরোধী জোটের লক্ষ্য ছিল, যেকোনো মূল্যে তাদের 'চলো চলো ঢাকা চলো' কর্মসূচি সফল করা; অন্যদিকে সরকারের লক্ষ্য ছিল ওই সমাবেশের অবয়বে ব্যর্থতার তিলক এঁকে দেওয়া। এ ক্ষেত্রে কার প্রচেষ্টা কতটা সফল হয়েছে, সে বিতর্কে না গিয়েও বলা যায়, জনভোগান্তি প্রকট হয়ে ওঠে এবং সাধারণ মানুষ চলমান রাজনীতির ওপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠছে। রাজনীতি কিংবা রাজনীতিকদের ওপর সাধারণ মানুষের এই নেতিবাচক মনোভাব গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক নয়। অভিযোগ আছে, সরকারের অলিখিত নির্দেশে পরিবহন খাত স্থবির হয়ে পড়েছিল। আরো অভিযোগ আছে, সদরঘাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও দলীয় উচ্ছৃঙ্খল কর্মীদের বাধা-হামলার কারণে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো ঘাটে ভিড়তে পারেনি। সড়কপথে স্থানে স্থানে ছিল বাধার প্রাচীর। এ সব কিছুরই অসহায় শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ। পুলিশের গণগ্রেপ্তারের শিকার হতে হয়েছে অনেক সাধারণ মানুষকে, যাদের রাজনীতির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততাই নেই। এসব কোনো কিছুই নতুন চিত্র নয়। আবারও বলতে হয়, আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা তিক্ত। কিন্তু বিপুল জনরায়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত মহাজোট সরকারের শাসনামলে এমনটি ছিল অপ্রত্যাশিত। জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা করা অবশ্যই সরকারের দায়, কিন্তু নিরাপত্তা রক্ষার নামে গণগ্রেপ্তার চালিয়ে, যানবাহন ও হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ করার মধ্য দিয়ে সরকার অদূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে বলেই মনে হয়। স্পষ্টতই বলা যায়, সরকার বিরোধী দল বা জোটকে নিরস্ত করতে গিয়ে প্রকারান্তরে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির মাত্রা চরমভাবে বাড়িয়ে দিয়েছিল, যা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, লেখাপড়া ও চিকিৎসাসহ নানা কাজে অসংখ্য মানুষকে নিত্য ঘরের বাইরে যেতে হয় এবং সরকারের এ জাতীয় কর্মকাণ্ডে তারা পড়েছিল ভীষণ বিপাকে।
রাজনৈতিক শক্তিমত্তা প্রদর্শনের নামে কোনো রাজনৈতিক দলেরই এমন কিছু করা উচিত নয়, যাতে জনদুর্ভোগ বাড়ে। সহনশীলতা-দায়িত্বশীলতার ব্যত্যয় ঘটলে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে বাধ্য এবং দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশে কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা-ই ঘটছে। এর ফলে দেশের অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে, সুস্থ রাজনীতি চর্চার পথ রুদ্ধ হচ্ছে। এর কোনোটিই শুভপ্রদ নয়। এসব ক্ষেত্রে সরকার ও বিরোধী উভয় মহলের কাছেই প্রত্যাশা- সহনশীল ও জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণের পথ সুগমের পদক্ষেপ নেওয়া হোক। সহিংস রাজনীতির পথ পরিহার করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা প্রদর্শন করতে হবে। গণতন্ত্রকে তার স্বাভাবিক ধারায় প্রবহমান রাখতে হবে। এ দায়িত্ব রাজনীতিঘনিষ্ঠ সবার।
রাজনীতি দেশের মানুষের কল্যাণের লক্ষ্যে পরিচালিত হলেও ১২ মার্চের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে অকল্যাণের দিকটিই বড় হয়ে উঠেছিল। বিরোধী জোটের লক্ষ্য ছিল, যেকোনো মূল্যে তাদের 'চলো চলো ঢাকা চলো' কর্মসূচি সফল করা; অন্যদিকে সরকারের লক্ষ্য ছিল ওই সমাবেশের অবয়বে ব্যর্থতার তিলক এঁকে দেওয়া। এ ক্ষেত্রে কার প্রচেষ্টা কতটা সফল হয়েছে, সে বিতর্কে না গিয়েও বলা যায়, জনভোগান্তি প্রকট হয়ে ওঠে এবং সাধারণ মানুষ চলমান রাজনীতির ওপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠছে। রাজনীতি কিংবা রাজনীতিকদের ওপর সাধারণ মানুষের এই নেতিবাচক মনোভাব গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক নয়। অভিযোগ আছে, সরকারের অলিখিত নির্দেশে পরিবহন খাত স্থবির হয়ে পড়েছিল। আরো অভিযোগ আছে, সদরঘাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও দলীয় উচ্ছৃঙ্খল কর্মীদের বাধা-হামলার কারণে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো ঘাটে ভিড়তে পারেনি। সড়কপথে স্থানে স্থানে ছিল বাধার প্রাচীর। এ সব কিছুরই অসহায় শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ। পুলিশের গণগ্রেপ্তারের শিকার হতে হয়েছে অনেক সাধারণ মানুষকে, যাদের রাজনীতির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততাই নেই। এসব কোনো কিছুই নতুন চিত্র নয়। আবারও বলতে হয়, আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা তিক্ত। কিন্তু বিপুল জনরায়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত মহাজোট সরকারের শাসনামলে এমনটি ছিল অপ্রত্যাশিত। জানমালের নিরাপত্তা রক্ষা করা অবশ্যই সরকারের দায়, কিন্তু নিরাপত্তা রক্ষার নামে গণগ্রেপ্তার চালিয়ে, যানবাহন ও হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ করার মধ্য দিয়ে সরকার অদূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে বলেই মনে হয়। স্পষ্টতই বলা যায়, সরকার বিরোধী দল বা জোটকে নিরস্ত করতে গিয়ে প্রকারান্তরে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির মাত্রা চরমভাবে বাড়িয়ে দিয়েছিল, যা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, লেখাপড়া ও চিকিৎসাসহ নানা কাজে অসংখ্য মানুষকে নিত্য ঘরের বাইরে যেতে হয় এবং সরকারের এ জাতীয় কর্মকাণ্ডে তারা পড়েছিল ভীষণ বিপাকে।
রাজনৈতিক শক্তিমত্তা প্রদর্শনের নামে কোনো রাজনৈতিক দলেরই এমন কিছু করা উচিত নয়, যাতে জনদুর্ভোগ বাড়ে। সহনশীলতা-দায়িত্বশীলতার ব্যত্যয় ঘটলে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে বাধ্য এবং দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশে কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা-ই ঘটছে। এর ফলে দেশের অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে, সুস্থ রাজনীতি চর্চার পথ রুদ্ধ হচ্ছে। এর কোনোটিই শুভপ্রদ নয়। এসব ক্ষেত্রে সরকার ও বিরোধী উভয় মহলের কাছেই প্রত্যাশা- সহনশীল ও জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণের পথ সুগমের পদক্ষেপ নেওয়া হোক। সহিংস রাজনীতির পথ পরিহার করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধা ও আস্থা প্রদর্শন করতে হবে। গণতন্ত্রকে তার স্বাভাবিক ধারায় প্রবহমান রাখতে হবে। এ দায়িত্ব রাজনীতিঘনিষ্ঠ সবার।
No comments