আমরা শোকাহত, আমরা সমব্যথী-মর্মান্তিক
একসঙ্গে ৪০ জনেরও বেশি স্কুলছাত্রের প্রাণহানি যারপরনাই মর্মান্তিক, হূদয়বিদারক দুর্ঘটনা। উচ্ছল, প্রাণচঞ্চল, মা-বাবার চোখের মণি, দেশের ভবিষ্যৎ এই কিশোরদের এমন করুণ অকালমৃত্যুতে আমরা বেদনায় বিমূঢ়। আমরা নিহত কিশোরদের আত্মার শান্তি কামনা করি।
যেসব মা-বাবার কোল শূন্য হয়ে গেল, তাঁদের সান্ত্বনা, সমবেদনা জানানোর ভাষা খুঁজে পাওয়া কঠিন। আমরা কামনা করি, এই গভীরতম শোকের মুহূর্ত তাঁরা কাটিয়ে উঠুন।
ফুটবল খেলা দেখে আনন্দ-ফুর্তিতে বাড়ি ফেরার পথে ঘটেছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা দুর্ঘটনাই—এমন কথা বলে শোকের ভার কমানোর চেষ্টা করা হয়। কখনো দুর্ভাগ্যের ওপর কারও হাত থাকে না ভেবে আপন মনে সান্ত্বনা খোঁজা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে বিশেষত, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির অতি উচ্চ হার কোনোভাবেই কেবল দুর্ভাগ্যের বিষয় বলে মেনে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সোমবার চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সৈদালি গ্রামে যে ট্রাক দুর্ঘটনায় এতগুলো কচি প্রাণ অকালে ঝরে গেল, সেই ট্রাকটি চালাচ্ছিল কোনো প্রশিক্ষিত ট্রাকচালক নয়, একজন সহযোগী (হেলপার)। ট্রাকটি একটি সেতু পার হওয়ার পরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়ে যায় রাস্তার পাশের একটি ডোবায়। একদিকে সে চালক নয়, চালকের সহযোগী; উপরন্তু সেতুর ওপর ওঠার সময় সে মুঠোফোনে কথা বলছিল। আর উল্টো দিক থেকে আসছিল একটি অনিরাপদ দেশি প্রযুক্তির বাহন, নছিমন। সম্ভবত মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়াতে চেয়েছিল ট্রাকের চালক। ট্রাকটি ডোবার পানিতে পড়ার আগেই চালক লাফিয়ে নেমে পালিয়ে যায়। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার জন্য চালকই দায়ী। এই গণপ্রাণহানির ঘটনাকে কেবলই দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা বলে অনিবার্যতা আরোপের সুযোগ নেই। এখানে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। হেলপার হয়ে ট্রাক চালিয়ে অপরাধ করেছে পালিয়ে যাওয়া ওই চালক; ট্রাক চালানোরত অবস্থায় মুঠোফোনে কথা বলাও ছিল তার অপরাধ। তার গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, যাঁরা এতগুলো শিশু-কিশোরকে একটি ট্রাকে তুলে দিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁদেরও দায়িত্ব ছিল, ট্রাকটি কে চালিয়ে নিয়ে যাবেন—প্রকৃতই একজন ট্রাকচালক, নাকি একজন হেলপার—এটা দেখা। হেলপারের হাতে এতগুলো কচি প্রাণের নিরাপত্তা ছেড়ে দেওয়া মোটেই বুদ্ধি-বিবেচনার কাজ হয়নি।
বাস, ট্রাকসহ জনপরিবহনের বিভিন্ন বাহন চালানোর ক্ষেত্রে নিয়মকানুন মেনে না চলাই আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনার উচ্চ হারের অন্যতম কারণ। বিশেষত চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো, প্রশিক্ষণহীন, ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী চালক, হেলপার-কন্ডাক্টরদের ট্রাক-বাস চালানোর কারণে দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। অনেক বড় বড় দুর্ঘটনায় অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে কয়েক বছরে। এসব নিয়ে লেখালেখি, নাগরিক পর্যায়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনও চলেছে অনেক, কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। সোমবার নিহত শিক্ষার্থীদের জন্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা শোক প্রকাশ করেছেন। এটাই সম্ভবত জনপরিবহন-ব্যবস্থায় ন্যূনতম শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে নতুন অঙ্গীকার ও দৃঢ়তর উদ্যোগ গ্রহণের উপযুক্ত মুহূর্ত।
ফুটবল খেলা দেখে আনন্দ-ফুর্তিতে বাড়ি ফেরার পথে ঘটেছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা দুর্ঘটনাই—এমন কথা বলে শোকের ভার কমানোর চেষ্টা করা হয়। কখনো দুর্ভাগ্যের ওপর কারও হাত থাকে না ভেবে আপন মনে সান্ত্বনা খোঁজা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে বিশেষত, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির অতি উচ্চ হার কোনোভাবেই কেবল দুর্ভাগ্যের বিষয় বলে মেনে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সোমবার চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার সৈদালি গ্রামে যে ট্রাক দুর্ঘটনায় এতগুলো কচি প্রাণ অকালে ঝরে গেল, সেই ট্রাকটি চালাচ্ছিল কোনো প্রশিক্ষিত ট্রাকচালক নয়, একজন সহযোগী (হেলপার)। ট্রাকটি একটি সেতু পার হওয়ার পরেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে পড়ে যায় রাস্তার পাশের একটি ডোবায়। একদিকে সে চালক নয়, চালকের সহযোগী; উপরন্তু সেতুর ওপর ওঠার সময় সে মুঠোফোনে কথা বলছিল। আর উল্টো দিক থেকে আসছিল একটি অনিরাপদ দেশি প্রযুক্তির বাহন, নছিমন। সম্ভবত মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়াতে চেয়েছিল ট্রাকের চালক। ট্রাকটি ডোবার পানিতে পড়ার আগেই চালক লাফিয়ে নেমে পালিয়ে যায়। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার জন্য চালকই দায়ী। এই গণপ্রাণহানির ঘটনাকে কেবলই দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা বলে অনিবার্যতা আরোপের সুযোগ নেই। এখানে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। হেলপার হয়ে ট্রাক চালিয়ে অপরাধ করেছে পালিয়ে যাওয়া ওই চালক; ট্রাক চালানোরত অবস্থায় মুঠোফোনে কথা বলাও ছিল তার অপরাধ। তার গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, যাঁরা এতগুলো শিশু-কিশোরকে একটি ট্রাকে তুলে দিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁদেরও দায়িত্ব ছিল, ট্রাকটি কে চালিয়ে নিয়ে যাবেন—প্রকৃতই একজন ট্রাকচালক, নাকি একজন হেলপার—এটা দেখা। হেলপারের হাতে এতগুলো কচি প্রাণের নিরাপত্তা ছেড়ে দেওয়া মোটেই বুদ্ধি-বিবেচনার কাজ হয়নি।
বাস, ট্রাকসহ জনপরিবহনের বিভিন্ন বাহন চালানোর ক্ষেত্রে নিয়মকানুন মেনে না চলাই আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনার উচ্চ হারের অন্যতম কারণ। বিশেষত চালকদের বেপরোয়া গাড়ি চালানো, প্রশিক্ষণহীন, ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী চালক, হেলপার-কন্ডাক্টরদের ট্রাক-বাস চালানোর কারণে দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। অনেক বড় বড় দুর্ঘটনায় অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে কয়েক বছরে। এসব নিয়ে লেখালেখি, নাগরিক পর্যায়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনও চলেছে অনেক, কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। সোমবার নিহত শিক্ষার্থীদের জন্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা শোক প্রকাশ করেছেন। এটাই সম্ভবত জনপরিবহন-ব্যবস্থায় ন্যূনতম শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে নতুন অঙ্গীকার ও দৃঢ়তর উদ্যোগ গ্রহণের উপযুক্ত মুহূর্ত।
No comments