পুলিশ ও প্রশাসনে অযাচিত হস্তক্ষেপ কাম্য নয়-রাজনৈতিক চাপ কী বস্তু!
৫৮ দিন অনুপস্থিত থাকার পর বিদায় নিলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) একরামুল হাবীব। এ বিদায় অন্য সব বিদায়ের মতো নয়। কেন নয়, তা বোঝা যায় পুলিশের বিভিন্ন সূত্রের ভাষ্য থেকে। আনুষ্ঠানিকভাবে ছুটিতে থাকাই তাঁর দীর্ঘ অনুপস্থিতির হেতু।
কিন্তু পেছনের খবর হলো, ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এসপি তাঁদের গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নিয়েও রাজনৈতিক চাপের কারণে গ্রেপ্তার করতে পারেননি। রাগেক্ষোভে তিনি ছুটিতে চলে যান। পেছনের এই চিত্রটিই উদ্বেগের কারণ। পুলিশ ও প্রশাসনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে ব্যবহার করা অন্যায়, আর তা গণতন্ত্রের বিকাশে প্রতিবন্ধক। তবু এই অপসংস্কৃতি থেকে শাসক দলগুলো যে বেরিয়ে আসতে পারেনি, এ ঘটনা সেই বাস্তবতারই জানান দেয় মাত্র।
ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেক ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। কেন এমন হবে? এটা তো রাজনীতির ক্ষেত্র নয়, তবু কেন রাজনৈতিক চাপ থাকবে? একইভাবে দেখা যায়, শাসকের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিজ দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের হিড়িক। এটাও একই প্রবণতার ভিন্ন দুই চেহারা। এসবের ফলে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয় গণতন্ত্রের। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে শাসক দল অপারগ হলে সরকারের ওপরই চাপে কলঙ্কের বোঝা। তখন জনগণের ধারণা জন্মে, সরকার অপরাধীকে আড়াল করতে উদগ্রীব অথবা নিজেও অপরাধ-অনিয়মের শরিক।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে কোনো রাজনৈতিক দল বা জোট শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। কিন্তু ক্ষমতায় আসীন থাকার নৈতিক বৈধতা অর্জন করতে হয় কাজের মাধ্যমে। অনিয়ম-দুর্নীতি-অপরাধকে প্রশ্রয় দিলে জনগণের সামনে সরকারের বৈধতা হ্রাস পায়। কোনো অপরাধী ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতাকে রক্ষাকবচ হিসেবে ব্যবহার করুক, এটা জনগণ চায় না। কারণ এতে রাষ্ট্রের আইনকানুন, বিচারব্যবস্থা তাৎ পর্যহীন হয়ে পড়ে। রাজনৈতিক দলগুলোর শুভবোধসম্পন্ন, জনকল্যাণকামী নেতাদের এ ব্যাপারে সজাগ থাকা এবং এসবের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অবস্থান নেওয়া উচিত। পুলিশ ও প্রশাসনকে তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের সুযোগ দিতে হবে। অযাচিত রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ অথবা হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। কুষ্টিয়ার দৃষ্টান্ত থেকে সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত। আর সেটা যত দ্রুত নেওয়া যায়, ততই মঙ্গল—দল ও দেশ উভয়েরই।
ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেক ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। কেন এমন হবে? এটা তো রাজনীতির ক্ষেত্র নয়, তবু কেন রাজনৈতিক চাপ থাকবে? একইভাবে দেখা যায়, শাসকের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নিজ দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের হিড়িক। এটাও একই প্রবণতার ভিন্ন দুই চেহারা। এসবের ফলে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয় গণতন্ত্রের। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে শাসক দল অপারগ হলে সরকারের ওপরই চাপে কলঙ্কের বোঝা। তখন জনগণের ধারণা জন্মে, সরকার অপরাধীকে আড়াল করতে উদগ্রীব অথবা নিজেও অপরাধ-অনিয়মের শরিক।
জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে কোনো রাজনৈতিক দল বা জোট শাসনক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। কিন্তু ক্ষমতায় আসীন থাকার নৈতিক বৈধতা অর্জন করতে হয় কাজের মাধ্যমে। অনিয়ম-দুর্নীতি-অপরাধকে প্রশ্রয় দিলে জনগণের সামনে সরকারের বৈধতা হ্রাস পায়। কোনো অপরাধী ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতাকে রক্ষাকবচ হিসেবে ব্যবহার করুক, এটা জনগণ চায় না। কারণ এতে রাষ্ট্রের আইনকানুন, বিচারব্যবস্থা তাৎ পর্যহীন হয়ে পড়ে। রাজনৈতিক দলগুলোর শুভবোধসম্পন্ন, জনকল্যাণকামী নেতাদের এ ব্যাপারে সজাগ থাকা এবং এসবের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অবস্থান নেওয়া উচিত। পুলিশ ও প্রশাসনকে তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের সুযোগ দিতে হবে। অযাচিত রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগ অথবা হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। কুষ্টিয়ার দৃষ্টান্ত থেকে সবার শিক্ষা নেওয়া উচিত। আর সেটা যত দ্রুত নেওয়া যায়, ততই মঙ্গল—দল ও দেশ উভয়েরই।
No comments