মধ্যস্বত্বভোগীদের নিয়ন্ত্রণ করুন-সবজিবাজারে আগুন
রাজধানীর কাঁচাবাজারে সত্যিই যে আগুন লেগেছে: তরিতরকারি ও শাকসবজির দাম এতটাই বেড়েছে যে নিম্ন আয়ের ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। প্রথম আলোয় রোববার প্রকাশিত এক সরেজমিন প্রতিবেদন বলছে, কোনো কোনো সবজির দাম গত এক সপ্তাহে কেজিপ্রতি বেড়েছে কুড়ি টাকা পর্যন্ত।
এক কেজিতেই কুড়ি টাকা দাম বাড়লে বাজার ঠিক কী নিয়মে চলছে, এই প্রশ্নে দিশেহারা হতে হয়।
আলু, পটোল, বেগুন, করলা, কাঁকরোল, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়স, বরবটি, টমেটো, পেঁয়াজ, শসা, গাজর, কাঁচামরিচ—এমন কোনো সবজি নেই, যার দাম বাড়েনি। সবজিভেদে দাম বৃদ্ধির পরিমাণ কেজিপ্রতি পাঁচ থেকে কুড়ি টাকা পর্যন্ত। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই মূল্যবৃদ্ধি ভীষণ অস্বাভাবিক। তবে নিশ্চয়ই রহস্যময় নয়। রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে সবজির খুচরা ব্যবসায়ীদের মুখে দাম বাড়ার ব্যাখ্যাগুলো এ রকম: (এক) কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে খেতের সবজি নষ্ট হয়েছে, অর্থাৎ উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে; (দুই) বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালে পরিবহনব্যবস্থা বন্ধ ছিল, ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঢাকায় সবজি আসতে পারেনি; (৩) এরই মধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছিল, কিন্তু মজুদ অবস্থায় পচে নষ্ট হয়েছে অনেক সবজি। অর্থাৎ, চাহিদা স্বাভাবিক রয়েছে, কিন্তু উৎপাদন সরবরাহ কমে গেছে, ব্যাহত হয়েছে ভীষণভাবে। এ রকম অবস্থায় যা ঘটে, ঢাকার কাঁচাবাজারগুলোতে ঠিক তা-ই ঘটেছে।
টানা বৃষ্টি ও টানা হরতাল—উভয় কারণই বোধগম্য বটে। কিন্তু তার মানে কি এই যে করলার মতো সবজির দাম এক সপ্তাহে এক কেজিতে কুড়ি টাকা বেড়ে যাবে? মূল্যবৃদ্ধির এই অস্বাভাবিক উচ্চহার নিয়েই প্রশ্ন, বৃদ্ধির প্রকৃত হার কত, আর বৃষ্টি-হরতালের অজুহাত দেখিয়ে বাড়ানো হয়েছে কত? অভিন্ন কারণে যদি দাম বেড়ে থাকে, তাহলে এই রাজধানীতেই একেকটি কাঁচাবাজারে একই সবজির দামের হেরফের এত বেশি কেন? খুচরা বিক্রেতাদের কারসাজি রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা উচিত।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা সবজি সংগ্রহের সময় সংঘবদ্ধভাবে কৃষকদের ঠকান, কৃষকেরা ফসলের ন্যায্যমূল্য পান না। আবার রাজধানীর খুচরা বিক্রেতাদের কাছে এসে সবজির দাম এতটাই বেড়ে যায় যে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের কষ্ট হয়। উৎপাদক থেকে ভোক্তার মাঝখানে কৃষিপণ্যের দামের এই বিরাট ব্যবধান—এটা কী উপায়ে ঘটছে, সরকারের তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে সরকারের আদৌ কোনো দৃষ্টি আছে বলে মনে হয় না। কৃষকদের তরফ থেকে ফসলের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার নিরন্তর অভিযোগ, অন্যদিকে ভোক্তাদের দিক থেকে খাদ্যদ্রব্যের দাম ক্রমাগত বাড়ার অভিযোগের মাঝখানে যে মধ্যস্বত্বভোগীরা অনৈতিক পন্থায় অতিরিক্ত মুনাফা করছে, তাদের দমন করা দরকার।
আলু, পটোল, বেগুন, করলা, কাঁকরোল, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়স, বরবটি, টমেটো, পেঁয়াজ, শসা, গাজর, কাঁচামরিচ—এমন কোনো সবজি নেই, যার দাম বাড়েনি। সবজিভেদে দাম বৃদ্ধির পরিমাণ কেজিপ্রতি পাঁচ থেকে কুড়ি টাকা পর্যন্ত। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই মূল্যবৃদ্ধি ভীষণ অস্বাভাবিক। তবে নিশ্চয়ই রহস্যময় নয়। রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে সবজির খুচরা ব্যবসায়ীদের মুখে দাম বাড়ার ব্যাখ্যাগুলো এ রকম: (এক) কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে খেতের সবজি নষ্ট হয়েছে, অর্থাৎ উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে; (দুই) বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালে পরিবহনব্যবস্থা বন্ধ ছিল, ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ঢাকায় সবজি আসতে পারেনি; (৩) এরই মধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছিল, কিন্তু মজুদ অবস্থায় পচে নষ্ট হয়েছে অনেক সবজি। অর্থাৎ, চাহিদা স্বাভাবিক রয়েছে, কিন্তু উৎপাদন সরবরাহ কমে গেছে, ব্যাহত হয়েছে ভীষণভাবে। এ রকম অবস্থায় যা ঘটে, ঢাকার কাঁচাবাজারগুলোতে ঠিক তা-ই ঘটেছে।
টানা বৃষ্টি ও টানা হরতাল—উভয় কারণই বোধগম্য বটে। কিন্তু তার মানে কি এই যে করলার মতো সবজির দাম এক সপ্তাহে এক কেজিতে কুড়ি টাকা বেড়ে যাবে? মূল্যবৃদ্ধির এই অস্বাভাবিক উচ্চহার নিয়েই প্রশ্ন, বৃদ্ধির প্রকৃত হার কত, আর বৃষ্টি-হরতালের অজুহাত দেখিয়ে বাড়ানো হয়েছে কত? অভিন্ন কারণে যদি দাম বেড়ে থাকে, তাহলে এই রাজধানীতেই একেকটি কাঁচাবাজারে একই সবজির দামের হেরফের এত বেশি কেন? খুচরা বিক্রেতাদের কারসাজি রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা উচিত।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা সবজি সংগ্রহের সময় সংঘবদ্ধভাবে কৃষকদের ঠকান, কৃষকেরা ফসলের ন্যায্যমূল্য পান না। আবার রাজধানীর খুচরা বিক্রেতাদের কাছে এসে সবজির দাম এতটাই বেড়ে যায় যে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের কষ্ট হয়। উৎপাদক থেকে ভোক্তার মাঝখানে কৃষিপণ্যের দামের এই বিরাট ব্যবধান—এটা কী উপায়ে ঘটছে, সরকারের তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে সরকারের আদৌ কোনো দৃষ্টি আছে বলে মনে হয় না। কৃষকদের তরফ থেকে ফসলের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার নিরন্তর অভিযোগ, অন্যদিকে ভোক্তাদের দিক থেকে খাদ্যদ্রব্যের দাম ক্রমাগত বাড়ার অভিযোগের মাঝখানে যে মধ্যস্বত্বভোগীরা অনৈতিক পন্থায় অতিরিক্ত মুনাফা করছে, তাদের দমন করা দরকার।
No comments