দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি হোক-অচল ভলভো বাস
কথায় বলে, ‘সরকার কা মাল দরিয়া মে ঢাল’। সরকারি সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব যাঁদের ওপর অর্পিত, তাঁরা যে কতটা দায়িত্বহীন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থার (বিআরটিসির) কেনা ভলভো বাসের করুণ পরিণতিই তার প্রমাণ। সুইস সাহায্য সংস্থা সিডার আর্থিক সহায়তা ও ঋণে ২০০২-০৪ সালে ৬০টি ভলভো বাস কেনা হয়।
প্রতিটি বাসের দাম এক কোটি তিন লাখ টাকা। এসব বাসের বয়সসীমা ১৫ বছর হলেও নয় বছরেই ৪০টি অকেজো হয়ে আছে। ১০টি বাস কোনোরকমে সচল থাকলেও সেগুলো সাধারণ যাত্রী নয়, স্টাফ পরিবহনের কাজে ব্যবহূত হচ্ছে।
এই যে বিপুল অর্থ-ব্যয়ে কেনা ভলভো বাস রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অকেজো হয়ে গেল, তার দায় কে নেবে? এসব বাস জনগণের অর্থে কেনা, ঋণের সুদও তাদের পরিশোধ করতে হবে। বাসগুলোর প্রকৃত দাম নিয়েও বিতর্ক আছে। আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা যে সব সময় নিঃস্বার্থ হয়, তা বলা যাবে না। যে বাসের মেরামত মূল্য ৫০ লাখ টাকা এবং যার যন্ত্রপাতি অন্য কোনো দেশে পাওয়া যাবে না, সেই বাস কেনার যৌক্তিকতা কী? প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিএনপি সরকারের আমলে ৭০ লাখ টাকা বকেয়া থাকায় সুইডিশ মোটরস বাস মেরামতের যন্ত্রপাতি সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। বিআরটিসির কর্তাব্যক্তিরা নাকি এখন পুরোনো বাস মেরামতের চেয়ে নতুন বাস কিনতে বেশি আগ্রহী। সেই বাস যখন পুরোনো হবে, তখনো কি তা ফেলে রাখবেন? নতুন বাস কিনলেই নাকি নতুন কমিশন। এসব প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বরাবর নিজেদের আইন ও জবাবদিহির ঊর্ধ্বে ভাবেন। কোনো অঘটনের তদন্ত হলেও চুনোপুঁটিদের ওপর দায় চাপিয়ে তাঁরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন।
কেবল বাস কেনা বা রক্ষণাবেক্ষণ নয়, সব ক্ষেত্রেই বিআরটিসির ব্যর্থতা অপরিসীম। বেসরকারি পরিবহন সংস্থাগুলো যখন রমরমা ব্যবসা করছে, তখন বিআরটিসি লোকসানের অজুহাতে বিভিন্ন রুট বন্ধ করে দিচ্ছে। ভলভো বাস নিয়ে বিআরটিসি যা করেছে, আমরা তার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। যাঁদের ভুল সিদ্ধান্ত ও গাফিলতির কারণে ছয়-সাত বছর আগেই এই বাসগুলোকে ভাগাড়ে পাঠাতে হলো, তাঁদের শনাক্ত ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানটি ঠিকমতো চলুক, এর অপচয় ও দুর্নীতি বন্ধ হোক, যাত্রীসাধারণ সেবা পাক—এটাই সবাই আশা করে।
এই যে বিপুল অর্থ-ব্যয়ে কেনা ভলভো বাস রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অকেজো হয়ে গেল, তার দায় কে নেবে? এসব বাস জনগণের অর্থে কেনা, ঋণের সুদও তাদের পরিশোধ করতে হবে। বাসগুলোর প্রকৃত দাম নিয়েও বিতর্ক আছে। আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা যে সব সময় নিঃস্বার্থ হয়, তা বলা যাবে না। যে বাসের মেরামত মূল্য ৫০ লাখ টাকা এবং যার যন্ত্রপাতি অন্য কোনো দেশে পাওয়া যাবে না, সেই বাস কেনার যৌক্তিকতা কী? প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিএনপি সরকারের আমলে ৭০ লাখ টাকা বকেয়া থাকায় সুইডিশ মোটরস বাস মেরামতের যন্ত্রপাতি সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। বিআরটিসির কর্তাব্যক্তিরা নাকি এখন পুরোনো বাস মেরামতের চেয়ে নতুন বাস কিনতে বেশি আগ্রহী। সেই বাস যখন পুরোনো হবে, তখনো কি তা ফেলে রাখবেন? নতুন বাস কিনলেই নাকি নতুন কমিশন। এসব প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বরাবর নিজেদের আইন ও জবাবদিহির ঊর্ধ্বে ভাবেন। কোনো অঘটনের তদন্ত হলেও চুনোপুঁটিদের ওপর দায় চাপিয়ে তাঁরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকেন।
কেবল বাস কেনা বা রক্ষণাবেক্ষণ নয়, সব ক্ষেত্রেই বিআরটিসির ব্যর্থতা অপরিসীম। বেসরকারি পরিবহন সংস্থাগুলো যখন রমরমা ব্যবসা করছে, তখন বিআরটিসি লোকসানের অজুহাতে বিভিন্ন রুট বন্ধ করে দিচ্ছে। ভলভো বাস নিয়ে বিআরটিসি যা করেছে, আমরা তার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। যাঁদের ভুল সিদ্ধান্ত ও গাফিলতির কারণে ছয়-সাত বছর আগেই এই বাসগুলোকে ভাগাড়ে পাঠাতে হলো, তাঁদের শনাক্ত ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানটি ঠিকমতো চলুক, এর অপচয় ও দুর্নীতি বন্ধ হোক, যাত্রীসাধারণ সেবা পাক—এটাই সবাই আশা করে।
No comments