আর কত বিচারের নামে এই বর্বরতা?-রংপুরে গৃহবধূ নির্যাতন
আমাদের সমাজ যে সভ্যতা ও আইনের শাসন থেকে কত দূরে, তার আরেকটি প্রমাণ মিলল দুই গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনায়। রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রাজারামপুর কাশীগঞ্জে গ্রাম্য সালিসে নির্যাতিত দুই গৃহবধূ এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁদের নিরাপত্তা ও সম্ভ্রম রক্ষা করা এখন জনপ্রশাসনের দায়িত্ব।
আমরা আশা করব, রংপুরের ডেপুটি কমিশনার ও পুলিশ সুপার যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণে কোনোক্রমেই বিচ্যুত হবেন না। বিপথগামী অথচ প্রভাবশালী সমাজপতিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার নিশ্চিত করা তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। যে তিনজনকে পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে, তাতে প্রশাসনের মুখরক্ষা হতে পারে, কিন্তু আইনের শাসনের মুখরক্ষা হবে না। এই মুহূর্তে যাঁরা পলাতক রয়েছেন, তাঁরাই দৃশ্যত নাটের গুরু, অভিযুক্ত। টাকাপয়সা ও প্রভাব-প্রতিপত্তি থাকলেই দুষ্কর্ম করে নিস্তার পাওয়া যাবে না—এটা নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে জরুরি।
তবে যে বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষণীয় সেটা হলো, গ্রাম্য সালিস বলে আমরা অনেক সময় যে ব্যবস্থাকে কটাক্ষ করি, সেখানে আমাদের আস্থার একটি ভিত অবশ্যই তৈরি করতে হবে। প্রতিটি এলাকায় কমবেশি গণ্যমান্য ও প্রবীণ ব্যক্তি থাকেন। কিন্তু সমস্যা হলো, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ফলে আমাদের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক কাঠামো মুখ থুবড়ে আছে। এলাকার শান্তিপ্রিয় বিদ্বান ও বিবেকবানেরা পারতপক্ষে এলাকার সালিস-বৈঠক ইত্যাদিতে গরহাজির থাকেন, বরং বোধগম্য কারণেই এড়িয়ে চলেন। এর ফলে ধীরে ধীরে সামাজিক নেতৃত্ব অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ, বহু ক্ষেত্রে টাউট-বাটপারদের হাতে চলে গেছে।
আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি বলতে সাধারণত পুলিশ, র্যাব ইত্যাদি বাহিনীর উন্নতি বা শক্তিশালীকরণ বা দলনিরপেক্ষ রাখার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে থাকি। কিন্তু সমাজে শৃঙ্খলা ও ন্যায়পরায়ণতা সৃষ্টিতে স্থানীয় সমাজের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি অগ্রগণ্য পাওয়ার দাবি রাখে। রংপুরের ঘটনায় দুই গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে রাজনৈতিক দলনেতা, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বর ছাড়া দুজন শিক্ষকও ছিলেন। তাদের হাতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে, তা প্রত্যাশিত ছিল না। সামাজিক ভরসার ক্ষেত্রে এই যে অনাস্থার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করার বিকল্প নেই। শুধু পুলিশ ও আদালত দিয়ে সব এই মারাত্মক ব্যাধি দূর করা যায় না। আমরা আশা করব, স্থানীয় নেতৃত্ব সৃষ্টিতে রাজনৈতিক দলগুলো ভূমিকা রাখবে। সরকারি প্রশাসনও দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনে মনোযোগী হবে।
তবে যে বিষয়টি বিশেষভাবে লক্ষণীয় সেটা হলো, গ্রাম্য সালিস বলে আমরা অনেক সময় যে ব্যবস্থাকে কটাক্ষ করি, সেখানে আমাদের আস্থার একটি ভিত অবশ্যই তৈরি করতে হবে। প্রতিটি এলাকায় কমবেশি গণ্যমান্য ও প্রবীণ ব্যক্তি থাকেন। কিন্তু সমস্যা হলো, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ফলে আমাদের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক কাঠামো মুখ থুবড়ে আছে। এলাকার শান্তিপ্রিয় বিদ্বান ও বিবেকবানেরা পারতপক্ষে এলাকার সালিস-বৈঠক ইত্যাদিতে গরহাজির থাকেন, বরং বোধগম্য কারণেই এড়িয়ে চলেন। এর ফলে ধীরে ধীরে সামাজিক নেতৃত্ব অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ, বহু ক্ষেত্রে টাউট-বাটপারদের হাতে চলে গেছে।
আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি বলতে সাধারণত পুলিশ, র্যাব ইত্যাদি বাহিনীর উন্নতি বা শক্তিশালীকরণ বা দলনিরপেক্ষ রাখার বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করে থাকি। কিন্তু সমাজে শৃঙ্খলা ও ন্যায়পরায়ণতা সৃষ্টিতে স্থানীয় সমাজের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি অগ্রগণ্য পাওয়ার দাবি রাখে। রংপুরের ঘটনায় দুই গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে রাজনৈতিক দলনেতা, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বর ছাড়া দুজন শিক্ষকও ছিলেন। তাদের হাতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে, তা প্রত্যাশিত ছিল না। সামাজিক ভরসার ক্ষেত্রে এই যে অনাস্থার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করার বিকল্প নেই। শুধু পুলিশ ও আদালত দিয়ে সব এই মারাত্মক ব্যাধি দূর করা যায় না। আমরা আশা করব, স্থানীয় নেতৃত্ব সৃষ্টিতে রাজনৈতিক দলগুলো ভূমিকা রাখবে। সরকারি প্রশাসনও দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনে মনোযোগী হবে।
No comments