অভিনন্দন
জীবনের একটি ধাপ পেরোল এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীরা। এই ধাপটি পেরিয়ে যাওয়াও সাধারণ ব্যাপার নয়। এবারের ফলাফলে সৃষ্টি হয়েছে নতুন এক ইতিহাস। দেশ তাদের এই সাফল্যে গর্বিত। উত্তীর্ণ হওয়ার সংখ্যাই শুধু নয়, ভালো ফলের দিক থেকেও এবার সর্বকালের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বলতে পারি, এ সাফল্য একটি ধারাবাহিক
প্রক্রিয়া। ২০০৯ সালে এসএসসিতে পাসের হার ছিল ৭০ দশকির ৮৯ শতাংশ; ২০১১ সালে এসে এই হার দাঁড়িয়েছে ৮২ দশমিক ৩১ শতাংশে। গত বছর জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৬২ হাজার ১৩৪ জন, এবার ৬২ হাজার ৭৮৮ জন। তবে প্রথম সারির স্কুলগুলো অনড় অবস্থানেই রয়েছে। ঢাকার রাজউক উচ্চ বিদ্যালয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের নাম এবারও তালিকার শীর্ষে। কিন্তু মফস্বলের স্কুলগুলো শহরের এসব স্কুলের সঙ্গে যেন তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না। এবারও শহরের স্কুলগুলো ভালো ফল করেছে। এবার নকলের প্রবণতাও অনেক কমে গেছে।
এসএসসি পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এবারের ভালো ফলের পেছনে কাজ করেছে সৃজনশীল পদ্ধতি। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াটা তো হতে হবে সৃজনশীলই। শিক্ষার্থীরা আনন্দচিত্তে লেখাপড়া করবে। পড়াশোনা উপভোগ করবে। মুখস্থনির্ভর লেখাপড়া শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের অন্তরায়। এসব বিষয় বিবেচনা করেই বর্তমান সরকার সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করেছে।
নতুন এই পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষকরা আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়েছেন। তাঁরা প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত ও সচেতন করে তুলেছেন। সেই অনুপ্রেরণা ও সচেতনতা এবং শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে পরীক্ষার ফলাফলে। এ ছাড়া আগের চেয়ে তুলনামূলকভাবে নকল কমে গেছে। এটি সরকারের একটি বড় অর্জন। পরীক্ষাগুলো পুরোপুরি নকলমুক্ত করতে পারলে, শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় আরো মনোযোগী হবে। একই সঙ্গে সচেতন অভিভাবকরাও অন্য অভিভাবকদের উৎসাহিত করতে পারবেন। তবে আমরা লক্ষ করছি, ইদানীং শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগী হচ্ছে; তেমনি অভিভাবকরাও তাঁদের সন্তানদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে যত্ন নিচ্ছেন। তবে এ কথাও সত্য, পাসের হার বৃদ্ধিই শিক্ষার মান বৃদ্ধির একমাত্র মাপকাঠি নয়। পাসের হার আর শিক্ষার মান এক মানদণ্ডে বিচার করা যাবে না। পাসের হার বেড়েছে_এ খবর অবশ্যই ইতিবাচক। সেই ইতিবাচক ফল ধরে রাখার জন্য শিক্ষার মান অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
এবারের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আমাদের অভিনন্দন। যাত্রা শুভ হোক।
এসএসসি পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এবারের ভালো ফলের পেছনে কাজ করেছে সৃজনশীল পদ্ধতি। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়াটা তো হতে হবে সৃজনশীলই। শিক্ষার্থীরা আনন্দচিত্তে লেখাপড়া করবে। পড়াশোনা উপভোগ করবে। মুখস্থনির্ভর লেখাপড়া শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের অন্তরায়। এসব বিষয় বিবেচনা করেই বর্তমান সরকার সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করেছে।
নতুন এই পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষকরা আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন হয়েছেন। তাঁরা প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত ও সচেতন করে তুলেছেন। সেই অনুপ্রেরণা ও সচেতনতা এবং শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে পরীক্ষার ফলাফলে। এ ছাড়া আগের চেয়ে তুলনামূলকভাবে নকল কমে গেছে। এটি সরকারের একটি বড় অর্জন। পরীক্ষাগুলো পুরোপুরি নকলমুক্ত করতে পারলে, শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় আরো মনোযোগী হবে। একই সঙ্গে সচেতন অভিভাবকরাও অন্য অভিভাবকদের উৎসাহিত করতে পারবেন। তবে আমরা লক্ষ করছি, ইদানীং শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগী হচ্ছে; তেমনি অভিভাবকরাও তাঁদের সন্তানদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে যত্ন নিচ্ছেন। তবে এ কথাও সত্য, পাসের হার বৃদ্ধিই শিক্ষার মান বৃদ্ধির একমাত্র মাপকাঠি নয়। পাসের হার আর শিক্ষার মান এক মানদণ্ডে বিচার করা যাবে না। পাসের হার বেড়েছে_এ খবর অবশ্যই ইতিবাচক। সেই ইতিবাচক ফল ধরে রাখার জন্য শিক্ষার মান অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
এবারের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আমাদের অভিনন্দন। যাত্রা শুভ হোক।
No comments