এই শোক, এই ক্ষতি অপূরণীয়-তারেক ও মিশুকের প্রয়াণ
মৃত্যু অনিবার্য, কিন্তু চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরের মৃত্যুকে অনিবার্য বলে মেনে নিতে পারছে না অনেকেই। তবু কঠিন চিত্তে এই শোক সামলাতে হচ্ছে। তাঁদের প্রয়াণে চলচ্চিত্র ও সাংবাদিকতার দুই আলোকবর্তিকা
নিভে গেল। আমরা তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদন করি। মানিকগঞ্জের সেই মর্মান্তিক ট্র্যাজেডিতে ঝরে যাওয়া সবার স্বজনকে জানাই আন্তরিক সহমর্মিতা। একই দিনে পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত অন্য পাঁচজনের মৃত্যুকেও আমরা শোকের সঙ্গে স্মরণ করছি। যে শোকের কোনো সান্ত্বনা নেই, তার দুঃসহ ব্যথা কমানোর কোনো উপায়ও আমাদের জানা নেই।
তারেক মাসুদ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী প্রজন্মের উজ্জ্বল সন্তানদের অন্যতম। মুক্তির গান, মুক্তির কথা, মাটির ময়না, অন্তর্যাত্রা, রানওয়েসহ তাঁর চলচ্চিত্রগুলো বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পের বিকাশে মাইলফলক হয়ে থাকবে। তাঁর মুক্তির গান, মুক্তির কথা ও মাটির ময়না নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধকে আরও জীবন্ত করে তুলতে পেরেছিল। চলচ্চিত্রের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি কান উৎসবে পুরস্কারসহ বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে অভিষিক্ত হয়েছেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি অঙ্গনে তাঁর শূন্যতা বহুকাল অনুভূত হবে।
মিশুক মুনীর কেবল এটিএন নিউজের সিইওই ছিলেন না, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও টিভি-সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কানাডায় প্রতিষ্ঠিত দ্য রিয়েল নিউজ ডটকমের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। কেবল সাংবাদিকতাই নয়, চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক হিসেবেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। শহীদ মুনীর চৌধুরীর সুযোগ্য পুত্র হিসেবে তাঁর প্রস্থানের ক্ষতি অপূরণীয়।
তাঁরা দুজনই কর্মীমানুষ ছিলেন, কর্মের যাত্রাপথেই তাঁরা মৃত্যুকে বরণ করেছেন। গত শনিবার তাঁরা অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে মানিকগঞ্জের ঘিওরে পরবর্তী ছবি কাগজের ফুল-এর শুটিং স্পট দেখে ফিরছিলেন। এই পরম দুঃখের মধ্যে এটুকুই সান্ত্বনা যে তাঁদের দলের সদস্য অন্য চারজন জীবিত রয়েছেন। তারেক মাসুদের জীবনসঙ্গী ক্যাথরিন মাসুদ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক শিল্পী ঢালী আল মামুন, তাঁর স্ত্রী শিল্পী দিলারা বেগম জলি গুরুতর আহত হয়েও মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরে আসতে পেরেছেন।
বলা হয়, দুর্ঘটনার ওপর কারও হাত নেই। সবই যদি নিয়তির লিখন হবে, তাহলে বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য কেন এত বেশি, আর উন্নত দেশগুলোতে তা কেন কম? দিনের পর দিন পুরো যোগাযোগব্যবস্থা অথর্ব হয়ে পড়ছে। অব্যবস্থাপনা ও গাফিলতির শিকার হয়ে মর্মান্তিকভাবে ঝরে যাচ্ছে অজস্র প্রাণ। তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরদের শোকাবহ মৃত্যু জানিয়ে গেল, সরকারি অবহেলা জনজীবনের জন্য কতটা বিপর্যয় নিয়ে আসতে পারে।
তারেক মাসুদ আমাদের মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী প্রজন্মের উজ্জ্বল সন্তানদের অন্যতম। মুক্তির গান, মুক্তির কথা, মাটির ময়না, অন্তর্যাত্রা, রানওয়েসহ তাঁর চলচ্চিত্রগুলো বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্পের বিকাশে মাইলফলক হয়ে থাকবে। তাঁর মুক্তির গান, মুক্তির কথা ও মাটির ময়না নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধকে আরও জীবন্ত করে তুলতে পেরেছিল। চলচ্চিত্রের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি কান উৎসবে পুরস্কারসহ বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে অভিষিক্ত হয়েছেন। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি অঙ্গনে তাঁর শূন্যতা বহুকাল অনুভূত হবে।
মিশুক মুনীর কেবল এটিএন নিউজের সিইওই ছিলেন না, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও টিভি-সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কানাডায় প্রতিষ্ঠিত দ্য রিয়েল নিউজ ডটকমের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। কেবল সাংবাদিকতাই নয়, চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক হিসেবেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। শহীদ মুনীর চৌধুরীর সুযোগ্য পুত্র হিসেবে তাঁর প্রস্থানের ক্ষতি অপূরণীয়।
তাঁরা দুজনই কর্মীমানুষ ছিলেন, কর্মের যাত্রাপথেই তাঁরা মৃত্যুকে বরণ করেছেন। গত শনিবার তাঁরা অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে মানিকগঞ্জের ঘিওরে পরবর্তী ছবি কাগজের ফুল-এর শুটিং স্পট দেখে ফিরছিলেন। এই পরম দুঃখের মধ্যে এটুকুই সান্ত্বনা যে তাঁদের দলের সদস্য অন্য চারজন জীবিত রয়েছেন। তারেক মাসুদের জীবনসঙ্গী ক্যাথরিন মাসুদ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক শিল্পী ঢালী আল মামুন, তাঁর স্ত্রী শিল্পী দিলারা বেগম জলি গুরুতর আহত হয়েও মৃত্যুর দরজা থেকে ফিরে আসতে পেরেছেন।
বলা হয়, দুর্ঘটনার ওপর কারও হাত নেই। সবই যদি নিয়তির লিখন হবে, তাহলে বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য কেন এত বেশি, আর উন্নত দেশগুলোতে তা কেন কম? দিনের পর দিন পুরো যোগাযোগব্যবস্থা অথর্ব হয়ে পড়ছে। অব্যবস্থাপনা ও গাফিলতির শিকার হয়ে মর্মান্তিকভাবে ঝরে যাচ্ছে অজস্র প্রাণ। তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরদের শোকাবহ মৃত্যু জানিয়ে গেল, সরকারি অবহেলা জনজীবনের জন্য কতটা বিপর্যয় নিয়ে আসতে পারে।
No comments