প্রতিক্রিয়া-‘জনসংখ্যা শুমারির স্বাধীনতা ও পরাধীনতা’ by অধ্যাপক নুরুল ইসলাম
‘জনসংখ্যা শুমারির স্বাধীনতা ও পরাধীনতা’ শিরোনামে ফরিদা আখতারের একটি লেখা ছাপা হয়েছিল গত ২৫ জুলাই। এই লেখায় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল ইসলামের লেখা একটি বই থেকে উদ্ধৃতি ব্যবহার করা হয়েছিল।
লেখাটি পড়ে তিনি এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন
গত ২৫ জুলাই প্রথম আলোয় প্রকাশিত ফরিদা আখতারের ‘জনসংখ্যা শুমারির স্বাধীনতা ও পরাধীনতা’ নিবন্ধের সূত্র ধরে আমার এ লেখার অবতারণা।
আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপনের ব্যাপারে আমি সচরাচর প্রতিক্রিয়া জানাই না, যদি না তা সুস্পষ্টভাবে আমার লেখার ওপর ভিত্তি করে রচিত কিংবা আমার লেখায় বিষয়টি চিহ্নিত হয়। এ ক্ষেত্রে লেখক আমার বই (ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানিং ইন বাংলাদেশ: অ্যা স্টাডি ইন পলিটিক্যাল ইকোনমি, ১৯৭৯, পৃ. ১১৭-১১৮) থেকে উদ্ধৃত করে আদমশুমারিতে প্রাপ্ত জনসংখ্যাবিষয়ক সাম্প্রতিক বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে তা নিয়ে এসেছেন। তাই আমি এই প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছি।
১৯৭৪ সালের আদমশুমারিতে জনসংখ্যার যে হিসাব পাওয়া গিয়েছিল, পরিকল্পনা কমিশন তার ঊর্ধ্বতর পরিবর্তন করেছিল সংখ্যাটিকে বাস্তবায়ন করার উদ্দেশ্যে। লেখক ইঙ্গিত দিয়েছেন অথবা পরোক্ষ বলতে চেয়েছেন যে এটা করা হয়েছিল দাতাদের দাবি কিংবা চাপের পরিপ্রেক্ষিতে। কিন্তু এই পরিবর্তনের যে কারণ তিনি দর্শিয়েছেন, তা সঠিক কারণ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে আমি আমার বই থেকে প্রাসঙ্গিক অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করছি (পৃ. ১১৭-১৮)
‘বাংলাদেশের প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। তখনো পর্যন্ত জনসংখ্যা হিসাব করা হতো এক দশক আগের সর্বশেষ আদমশুমারির প্রক্ষেপণের ওপর ভিত্তি করে। এবং ইতিমধ্যে সম্পন্ন বিভিন্ন জরিপের ফলাফল এই হিসাবে গ্রহণ করা হতো। ১৯৭৪-৭৫ সালে প্রথম আদমশুমারির প্রাথমিক ফলাফলের সঙ্গে অতীত প্রক্ষেপণভিত্তিক জনসংখ্যার হিসাবের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়। আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাবে জনসংখ্যা দাঁড়ায় সাত কোটি ১৩ লাখ। অন্যদিকে, ১৯৭৪-৭৫ সালের বার্ষিক পরিকল্পনায় জনসংখ্যা হিসাব করা হয়েছিল সাত কোটি ৮৬ লাখ এবং খাদ্য বাজেট প্রণয়নে এই সংখ্যাটি ব্যবহূত হয়। এর ফলে অনেকের মনে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছিল, বিশেষত বৈদেশিক খাদ্য সাহায্যদাতাদের মধ্যে। কেননা, খাদ্য ঘাটতির পরিমাণ নির্ধারণে এবং বাংলাদেশকে কী পরিমাণ খাদ্য সহায়তা দিতে হবে—দাতাদের সে সিদ্ধান্ত নেওয়া নির্ভরশীল ছিল জনসংখ্যার হিসাবের ওপর। পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক এই বর্ধিত সংখ্যাটি ব্যবহার করার কারণটি এখানে তুলে ধরা হলো:
‘এই উপমহাদেশে আদমশুমারির অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, আদমশুমারিতে সাধারণত প্রকৃত জনসংখ্যার থেকে গণনায় কম আসে। গ্রামীণ ও নারী জনসংখ্যার ক্ষেত্রে এটা বিশেষভাবে ঘটে। পাকিস্তানে ১৯৬১ সালের আদমশুমারির প্রাপ্ত সংখ্যাও বাড়িয়ে সমন্বয় করতে হয়েছিল জনসংখ্যাতাত্ত্বিক গবেষণায় প্রাপ্ত স্পষ্ট নিদর্শনের আলোকে। গণনায় ৫ থেকে ৮ শতাংশ কম আসাকে স্বাভাবিক বিবেচনা করা হয়। আদমশুমারি বিশেষজ্ঞরা এমন মনে করেন। ১৯৭৪ সালের প্রথম দিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না। এর ফলেও আদমশুমারির গণনা প্রভাবিত হয়ে থাকতে পারে। ৭ শতাংশ মানুষ গণনায় বাদ পড়েছে এই ভিত্তিতে ১৯৭৪ সালের জানুয়ারি মাসের জনসংখ্যা হিসাব করা হয় সাত কোটি ৭০ লাখ। এরই প্রক্ষেপণে ১৯৭৪-৭৫ বছরের মাঝামাঝি (অর্থাৎ ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে) দেশের জনসংখ্যা সাত কোটি ৮৬ লাখ হওয়া তাই যুক্তিসংগত।’
উল্লিখিত অনুচ্ছেদে বর্ণিত বিভ্রান্তি কেবল দাতাদের মনেই ছিল না, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যেও এই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। কারণ, তাদের সামনে তখন দুটি ভিন্ন হিসাব। একটি ১৯৭৪ সালের আদমশুমারি থেকে প্রাপ্ত সংখ্যা আর অন্যটি পরিকল্পনা কমিশনের তৈরি করা বার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নে ব্যবহূত জনসংখ্যার হিসাব। সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মতো দাতারাও বুঝতে পারছিল না, কোন হিসাবকে সঠিক ধরে তারা কাজ করবে। তাই, পরিকল্পনা কমিশন সংশ্লিষ্ট সবার কাছে স্পষ্ট করে জানিয়েছিল (উল্লিখিত অনুচ্ছেদে দেখানো হয়েছে), ১৯৭৪ সালের আদমশুমারিতে প্রাপ্ত জনসংখ্যার হিসাবের পরিবর্তে পরিকল্পনা কমিশনের বার্ষিক পরিকল্পনায় উল্লিখিত সংখ্যাটিই ব্যবহার করা উচিত।
এই সূত্রে একটি কথা বলা যায়। বাংলাদেশের প্রথম দিকে যখন দেশ আজকালকার চেয়ে আরও দরিদ্র ছিল এবং সব দিক থেকেই অনুন্নত ছিল (সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহসহ) তখন নীতিনির্ধারণ এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারকদের পেশাদারি বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে দাতাদের প্রভাব কার্যত অনুপস্থিত ছিল। অনেকে মনে করতে পারেন যে এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তবে সত্য অনেক সময় গল্পের চেয়েও বিচিত্র। বিদেশি সাহায্যের প্রভাবের অনুপস্থিতি নিয়ে আমি এবং আমার সহকর্মীরা অনেক লিখেছি। এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে আমার এই বক্তব্য বোধগম্য।
দৃশ্যত স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে প্রথম আদমশুমারির ৩৭ বছর পরও গুরুত্বপূর্ণ বহু অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান বিষয়ে বিতর্কের প্রকৃতি এবং অনিশ্চয়তার মাত্রায় বিশেষ পরিবর্তন আসেনি। এই ঘটনা অতীব শোকাবহ। প্রত্যাশা ছিল, মাঝের তিন দশকে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা এবং আদমশুমারি সম্পাদনের কৌশলের ক্ষেত্রে বাস্তবিক উন্নতি ঘটবে, যাতে করে জনসংখ্যার হিসাবের প্রতি আস্থা বাড়ানো যায়।
অধ্যাপক নুরুল ইসলাম: সাবেক ডেপুটি চেয়ারম্যান, প্রথম পরিকল্পনা কমিশন (১৯৭২-৭৫)। বর্তমানে রিসার্চ ফেলো ইমেরিটাস, ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (আইএফপিআরআই)।
গত ২৫ জুলাই প্রথম আলোয় প্রকাশিত ফরিদা আখতারের ‘জনসংখ্যা শুমারির স্বাধীনতা ও পরাধীনতা’ নিবন্ধের সূত্র ধরে আমার এ লেখার অবতারণা।
আমার বক্তব্যকে ভুলভাবে উপস্থাপনের ব্যাপারে আমি সচরাচর প্রতিক্রিয়া জানাই না, যদি না তা সুস্পষ্টভাবে আমার লেখার ওপর ভিত্তি করে রচিত কিংবা আমার লেখায় বিষয়টি চিহ্নিত হয়। এ ক্ষেত্রে লেখক আমার বই (ডেভেলপমেন্ট প্ল্যানিং ইন বাংলাদেশ: অ্যা স্টাডি ইন পলিটিক্যাল ইকোনমি, ১৯৭৯, পৃ. ১১৭-১১৮) থেকে উদ্ধৃত করে আদমশুমারিতে প্রাপ্ত জনসংখ্যাবিষয়ক সাম্প্রতিক বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে তা নিয়ে এসেছেন। তাই আমি এই প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছি।
১৯৭৪ সালের আদমশুমারিতে জনসংখ্যার যে হিসাব পাওয়া গিয়েছিল, পরিকল্পনা কমিশন তার ঊর্ধ্বতর পরিবর্তন করেছিল সংখ্যাটিকে বাস্তবায়ন করার উদ্দেশ্যে। লেখক ইঙ্গিত দিয়েছেন অথবা পরোক্ষ বলতে চেয়েছেন যে এটা করা হয়েছিল দাতাদের দাবি কিংবা চাপের পরিপ্রেক্ষিতে। কিন্তু এই পরিবর্তনের যে কারণ তিনি দর্শিয়েছেন, তা সঠিক কারণ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে আমি আমার বই থেকে প্রাসঙ্গিক অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করছি (পৃ. ১১৭-১৮)
‘বাংলাদেশের প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। তখনো পর্যন্ত জনসংখ্যা হিসাব করা হতো এক দশক আগের সর্বশেষ আদমশুমারির প্রক্ষেপণের ওপর ভিত্তি করে। এবং ইতিমধ্যে সম্পন্ন বিভিন্ন জরিপের ফলাফল এই হিসাবে গ্রহণ করা হতো। ১৯৭৪-৭৫ সালে প্রথম আদমশুমারির প্রাথমিক ফলাফলের সঙ্গে অতীত প্রক্ষেপণভিত্তিক জনসংখ্যার হিসাবের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়। আদমশুমারির প্রাথমিক হিসাবে জনসংখ্যা দাঁড়ায় সাত কোটি ১৩ লাখ। অন্যদিকে, ১৯৭৪-৭৫ সালের বার্ষিক পরিকল্পনায় জনসংখ্যা হিসাব করা হয়েছিল সাত কোটি ৮৬ লাখ এবং খাদ্য বাজেট প্রণয়নে এই সংখ্যাটি ব্যবহূত হয়। এর ফলে অনেকের মনে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছিল, বিশেষত বৈদেশিক খাদ্য সাহায্যদাতাদের মধ্যে। কেননা, খাদ্য ঘাটতির পরিমাণ নির্ধারণে এবং বাংলাদেশকে কী পরিমাণ খাদ্য সহায়তা দিতে হবে—দাতাদের সে সিদ্ধান্ত নেওয়া নির্ভরশীল ছিল জনসংখ্যার হিসাবের ওপর। পরিকল্পনা কমিশন কর্তৃক এই বর্ধিত সংখ্যাটি ব্যবহার করার কারণটি এখানে তুলে ধরা হলো:
‘এই উপমহাদেশে আদমশুমারির অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, আদমশুমারিতে সাধারণত প্রকৃত জনসংখ্যার থেকে গণনায় কম আসে। গ্রামীণ ও নারী জনসংখ্যার ক্ষেত্রে এটা বিশেষভাবে ঘটে। পাকিস্তানে ১৯৬১ সালের আদমশুমারির প্রাপ্ত সংখ্যাও বাড়িয়ে সমন্বয় করতে হয়েছিল জনসংখ্যাতাত্ত্বিক গবেষণায় প্রাপ্ত স্পষ্ট নিদর্শনের আলোকে। গণনায় ৫ থেকে ৮ শতাংশ কম আসাকে স্বাভাবিক বিবেচনা করা হয়। আদমশুমারি বিশেষজ্ঞরা এমন মনে করেন। ১৯৭৪ সালের প্রথম দিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল না। এর ফলেও আদমশুমারির গণনা প্রভাবিত হয়ে থাকতে পারে। ৭ শতাংশ মানুষ গণনায় বাদ পড়েছে এই ভিত্তিতে ১৯৭৪ সালের জানুয়ারি মাসের জনসংখ্যা হিসাব করা হয় সাত কোটি ৭০ লাখ। এরই প্রক্ষেপণে ১৯৭৪-৭৫ বছরের মাঝামাঝি (অর্থাৎ ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে) দেশের জনসংখ্যা সাত কোটি ৮৬ লাখ হওয়া তাই যুক্তিসংগত।’
উল্লিখিত অনুচ্ছেদে বর্ণিত বিভ্রান্তি কেবল দাতাদের মনেই ছিল না, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যেও এই বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। কারণ, তাদের সামনে তখন দুটি ভিন্ন হিসাব। একটি ১৯৭৪ সালের আদমশুমারি থেকে প্রাপ্ত সংখ্যা আর অন্যটি পরিকল্পনা কমিশনের তৈরি করা বার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়নে ব্যবহূত জনসংখ্যার হিসাব। সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মতো দাতারাও বুঝতে পারছিল না, কোন হিসাবকে সঠিক ধরে তারা কাজ করবে। তাই, পরিকল্পনা কমিশন সংশ্লিষ্ট সবার কাছে স্পষ্ট করে জানিয়েছিল (উল্লিখিত অনুচ্ছেদে দেখানো হয়েছে), ১৯৭৪ সালের আদমশুমারিতে প্রাপ্ত জনসংখ্যার হিসাবের পরিবর্তে পরিকল্পনা কমিশনের বার্ষিক পরিকল্পনায় উল্লিখিত সংখ্যাটিই ব্যবহার করা উচিত।
এই সূত্রে একটি কথা বলা যায়। বাংলাদেশের প্রথম দিকে যখন দেশ আজকালকার চেয়ে আরও দরিদ্র ছিল এবং সব দিক থেকেই অনুন্নত ছিল (সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহসহ) তখন নীতিনির্ধারণ এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারকদের পেশাদারি বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে দাতাদের প্রভাব কার্যত অনুপস্থিত ছিল। অনেকে মনে করতে পারেন যে এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তবে সত্য অনেক সময় গল্পের চেয়েও বিচিত্র। বিদেশি সাহায্যের প্রভাবের অনুপস্থিতি নিয়ে আমি এবং আমার সহকর্মীরা অনেক লিখেছি। এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে আমার এই বক্তব্য বোধগম্য।
দৃশ্যত স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে প্রথম আদমশুমারির ৩৭ বছর পরও গুরুত্বপূর্ণ বহু অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান বিষয়ে বিতর্কের প্রকৃতি এবং অনিশ্চয়তার মাত্রায় বিশেষ পরিবর্তন আসেনি। এই ঘটনা অতীব শোকাবহ। প্রত্যাশা ছিল, মাঝের তিন দশকে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা এবং আদমশুমারি সম্পাদনের কৌশলের ক্ষেত্রে বাস্তবিক উন্নতি ঘটবে, যাতে করে জনসংখ্যার হিসাবের প্রতি আস্থা বাড়ানো যায়।
অধ্যাপক নুরুল ইসলাম: সাবেক ডেপুটি চেয়ারম্যান, প্রথম পরিকল্পনা কমিশন (১৯৭২-৭৫)। বর্তমানে রিসার্চ ফেলো ইমেরিটাস, ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (আইএফপিআরআই)।
No comments