তাকস্ফওয়ার তাৎপর্য by মোঃ কামরুজ্জামান সোহাগ
তাকস্ফওয়া অর্থ খোদাভীরু হওয়া। অর্থাৎ আল্লাহতায়ালার ভয়ে যাবতীয় গুনাহ বর্জন করাকে তাকস্ফওয়া বলা হয়। আল্লাহতায়ালা কোরআনে তাকস্ফওয়া অর্জন করার জন্য জোর তাগিদ প্রদান করেন। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে শুরুতেই বলেন_ 'এই পবিত্র কোরআন মুত্তাকিদের (তাকস্ফওয়া অবলম্বনকারীদের) জন্য হিদায়াতস্বরূপ।'
হজরত মোহাম্মদ (সা.) ইরশাদ করেন_ 'রোজ কিয়ামতে তাকস্ফওয়া বা খোদাভীরু লোকদের থেকে আল্লাহ পাক হিসাব গ্রহণ করতে লজ্জাবোধ করবেন।'
তাকস্ফওয়া বা খোদাভীরু অর্জন ও পূর্ণতা লাভের জন্য দশটি গুণ ও বৈশিষ্ট্য থাকা অপরিহার্য। যেমন_
১. পাঁচওয়াক্ত নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি শরয়ী রীতিনীতি যথাযথভাবে আদায় করা। আল্লাহপাক বলেন_ 'তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করো।' ২. সিরাতে মুস্তাকিমের অনুসরণ করা। আল্লাহতায়ালা বলেন_ 'নিশ্চয় এটা আমার সরল পথ। তোমরা এর ওপর চলো। অন্য রাস্তা অবলম্বন করো না।' ৩. নিজের ওপর আল্লাহর ইহসান ও দয়া স্মরণ করে কৃতজ্ঞ হওয়া। আল্লাহপাক বলেন_ 'তোমাদের ওপর আল্লাহর ইহসান যে, তিনি তোমাদের ইমানের পথ দেখিয়েছেন।' ৪. ধন-সম্পদ অযথা পথে ব্যয় না করা। আল্লাহতায়ালা বলেন_ '(মুমিনদের আরও পরিচয় হলো) যখন তারা খরচ করে তখন অযথা অপাত্রে খরচ করে না এবং কৃপণতা করে না।' ৫. সর্বদা সত্য কথা বলা। আল্লাহতায়ালা বলেন_ 'যখন কোনো কথা বলো, সত্য বলো।' ৬. হারাম ও নাজায়িজ দৃশ্য হতে দৃষ্টি ফিরিয়ে রাখা। আল্লাহতায়ালা বলেন_'ইমানদারদের বলুন, তারা যেন চোখের দৃষ্টি নিচু রাখে...।' ৭. কাউকে নিয়ে উপহাস না করা। আল্লাহতায়ালা বলেন_ 'কেউ অন্যকে নিয়ে যেন উপহাস না করে।' ৮. অন্যের প্রতি খারাপ ধারণা করা হতে বিরত থাকা। কেননা কারও ব্যাপারে কুধারণা করা পাপ। আল্লাহতায়ালা বলেন_ 'তোমরা অধিকাংশ ধারণাকে পরিহার করো। কেননা কিছু কিছু ধারণা গুনাহ।' রাসূল (সা.) বলেন_ 'তোমরা ধারণা করা হতে দূরে থাক। কেননা, ধারণা এক প্রকার মিথ্যার শামিল।' ৯. পরনিন্দা হতে জবানকে সংযত রাখা । আল্লাহপাক বলেন, 'তোমরা একে অন্যের গিবত করো না।' ১০. অহঙ্কার না করা এবং গর্ব না করা। আল্লাহপাক বলেন, 'আমি পরকালের ঘর (বেহেশত) এমন লোকদের দিই, যারা দুনিয়াতে তাকাব্বুরি না করে এবং ঝগড়া-কলহে লিপ্ত না হয়।' তাকওয়া বা পরহেজগারি অতি মূল্যবান গুণ, যা অর্জন করা আমাদের সকলের জন্যই কর্তব্য। তাকস্ফওয়া বা পরহেজগারির গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে হজরত মোহাম্মদের (সা.) বহু হাদিস রয়েছে।
রাসূল (সা.) বলেন, 'তোমার নিকট হতে হিসাব নেওয়ার আগে তোমার হিসাব তুমিই গ্রহণ করো। তোমার আমলগুলো ওজন দেওয়ার পূর্বে নিজেই তুমি তোমার আমল ওজন করে দেখো।' রাসূল (সা.) বলেন, 'সন্দেজনক কাজ পরিত্যাগ করো এবং সন্দেহমুক্ত কাজে তাৎপর হও।'
হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন_ 'হে লোকসকল! জীবিকা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তোমাদের কেউ মৃত্যুবরণ করবে না। অতএব, জীবিকা অর্জনে তাড়াহুড়া করো না, বরং আল্লাহকে ভয় করো এবং জীবিকা অর্জনে সৎপথ অবলম্বন করো। যা হালাল তা গ্রহণ করো এবং যা হারাম তা বর্জন করো।' কোরআন ও হাদিসের আলোচনা দ্বারা পরহেজগারির গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্য সম্পর্কে জানা গেল। আমাদের প্রতিটি কাজে আল্লাহর ভয় তথা পরহেজগারিতা অবলম্বন করতে হবে। এমনকি সন্দেহজনক বস্তু বা কর্ম থেকে দূরে থাকা উত্তম তাকস্ফওয়া বা পরহেজগারি।
তাকস্ফওয়া বা খোদাভীরু অর্জন ও পূর্ণতা লাভের জন্য দশটি গুণ ও বৈশিষ্ট্য থাকা অপরিহার্য। যেমন_
১. পাঁচওয়াক্ত নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ইত্যাদি শরয়ী রীতিনীতি যথাযথভাবে আদায় করা। আল্লাহপাক বলেন_ 'তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করো।' ২. সিরাতে মুস্তাকিমের অনুসরণ করা। আল্লাহতায়ালা বলেন_ 'নিশ্চয় এটা আমার সরল পথ। তোমরা এর ওপর চলো। অন্য রাস্তা অবলম্বন করো না।' ৩. নিজের ওপর আল্লাহর ইহসান ও দয়া স্মরণ করে কৃতজ্ঞ হওয়া। আল্লাহপাক বলেন_ 'তোমাদের ওপর আল্লাহর ইহসান যে, তিনি তোমাদের ইমানের পথ দেখিয়েছেন।' ৪. ধন-সম্পদ অযথা পথে ব্যয় না করা। আল্লাহতায়ালা বলেন_ '(মুমিনদের আরও পরিচয় হলো) যখন তারা খরচ করে তখন অযথা অপাত্রে খরচ করে না এবং কৃপণতা করে না।' ৫. সর্বদা সত্য কথা বলা। আল্লাহতায়ালা বলেন_ 'যখন কোনো কথা বলো, সত্য বলো।' ৬. হারাম ও নাজায়িজ দৃশ্য হতে দৃষ্টি ফিরিয়ে রাখা। আল্লাহতায়ালা বলেন_'ইমানদারদের বলুন, তারা যেন চোখের দৃষ্টি নিচু রাখে...।' ৭. কাউকে নিয়ে উপহাস না করা। আল্লাহতায়ালা বলেন_ 'কেউ অন্যকে নিয়ে যেন উপহাস না করে।' ৮. অন্যের প্রতি খারাপ ধারণা করা হতে বিরত থাকা। কেননা কারও ব্যাপারে কুধারণা করা পাপ। আল্লাহতায়ালা বলেন_ 'তোমরা অধিকাংশ ধারণাকে পরিহার করো। কেননা কিছু কিছু ধারণা গুনাহ।' রাসূল (সা.) বলেন_ 'তোমরা ধারণা করা হতে দূরে থাক। কেননা, ধারণা এক প্রকার মিথ্যার শামিল।' ৯. পরনিন্দা হতে জবানকে সংযত রাখা । আল্লাহপাক বলেন, 'তোমরা একে অন্যের গিবত করো না।' ১০. অহঙ্কার না করা এবং গর্ব না করা। আল্লাহপাক বলেন, 'আমি পরকালের ঘর (বেহেশত) এমন লোকদের দিই, যারা দুনিয়াতে তাকাব্বুরি না করে এবং ঝগড়া-কলহে লিপ্ত না হয়।' তাকওয়া বা পরহেজগারি অতি মূল্যবান গুণ, যা অর্জন করা আমাদের সকলের জন্যই কর্তব্য। তাকস্ফওয়া বা পরহেজগারির গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্পর্কে হজরত মোহাম্মদের (সা.) বহু হাদিস রয়েছে।
রাসূল (সা.) বলেন, 'তোমার নিকট হতে হিসাব নেওয়ার আগে তোমার হিসাব তুমিই গ্রহণ করো। তোমার আমলগুলো ওজন দেওয়ার পূর্বে নিজেই তুমি তোমার আমল ওজন করে দেখো।' রাসূল (সা.) বলেন, 'সন্দেজনক কাজ পরিত্যাগ করো এবং সন্দেহমুক্ত কাজে তাৎপর হও।'
হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন_ 'হে লোকসকল! জীবিকা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তোমাদের কেউ মৃত্যুবরণ করবে না। অতএব, জীবিকা অর্জনে তাড়াহুড়া করো না, বরং আল্লাহকে ভয় করো এবং জীবিকা অর্জনে সৎপথ অবলম্বন করো। যা হালাল তা গ্রহণ করো এবং যা হারাম তা বর্জন করো।' কোরআন ও হাদিসের আলোচনা দ্বারা পরহেজগারির গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্য সম্পর্কে জানা গেল। আমাদের প্রতিটি কাজে আল্লাহর ভয় তথা পরহেজগারিতা অবলম্বন করতে হবে। এমনকি সন্দেহজনক বস্তু বা কর্ম থেকে দূরে থাকা উত্তম তাকস্ফওয়া বা পরহেজগারি।
No comments