দলীয়করণ বন্ধের উপায় বের করতে হবে-সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ
সাংবিধানিক এবং সংবিধিবদ্ধ সংস্থাগুলোতে কীভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। বর্তমানে এসব সাংবিধানিক পদে সরকার তথা প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেন। তাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দলীয় বিবেচনা কাজ করে।
তাই বাছাই কমিটি গঠনের ব্যাপারে রাজনৈতিক মহলে কিছু বিকল্প চিন্তাভাবনার কথাও শোনা গিয়েছিল; কিন্তু এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আসেনি। বিবদমান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও মতৈক্য নেই। সংবিধানে দিকনির্দেশনা না থাকায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক লোকেরাই পদায়ন হয়ে আসছেন। এ কারণে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে, তেমনি কখনোই পুরোপুরি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি।
দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিরা দলের কাছেই দায়বদ্ধ থাকেন। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের কাজকর্মে রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তিরই প্রতিফলন ঘটেছে। সাংবিধানিক পদ থেকে দলীয় লোক পদায়নের কারণে অনেক সময় দেশ অস্থিতিশীল হয়েছে, রাজনৈতিক সংঘাত বেড়েছে। তা ছাড়া, নিয়োগে দলীয় বিবেচনা কাজ করলে যোগ্য ব্যক্তিদের চেয়ে অযোগ্যরাই এসব পদে আসীন হন। দেশ ও জনগণ যোগ্যদের সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। যেকোনো প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতা ও দক্ষতা বহুলাংশে নির্ভর করে কীভাবে এবং কাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তার ওপর। সব দলের নির্বাচনী ইশতেহারে সাংবিধানিক পদগুলো স্বাধীনভাবে পরিচালনার কথা থাকলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন সামান্যই ঘটেছে।
এই সমস্যার সমাধান হওয়া প্রয়োজন। গত শনিবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে একটি বিশেষ সংসদীয় কমিটি গঠনের সুপারিশ এসেছে। এটা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা যেতে পারে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ সরকার ও বিরোধী—উভয় পক্ষের জনপ্রতিনিধিদের মতামত থাকা প্রয়োজন। এ ধরনের কমিটি গঠনের ব্যাপারে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হতে হবে। একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কেননা, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর করতে দলীয়করণ বন্ধের বিকল্প নেই।
দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিরা দলের কাছেই দায়বদ্ধ থাকেন। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের কাজকর্মে রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তিরই প্রতিফলন ঘটেছে। সাংবিধানিক পদ থেকে দলীয় লোক পদায়নের কারণে অনেক সময় দেশ অস্থিতিশীল হয়েছে, রাজনৈতিক সংঘাত বেড়েছে। তা ছাড়া, নিয়োগে দলীয় বিবেচনা কাজ করলে যোগ্য ব্যক্তিদের চেয়ে অযোগ্যরাই এসব পদে আসীন হন। দেশ ও জনগণ যোগ্যদের সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। যেকোনো প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতা ও দক্ষতা বহুলাংশে নির্ভর করে কীভাবে এবং কাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তার ওপর। সব দলের নির্বাচনী ইশতেহারে সাংবিধানিক পদগুলো স্বাধীনভাবে পরিচালনার কথা থাকলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন সামান্যই ঘটেছে।
এই সমস্যার সমাধান হওয়া প্রয়োজন। গত শনিবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে একটি বিশেষ সংসদীয় কমিটি গঠনের সুপারিশ এসেছে। এটা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা যেতে পারে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ সরকার ও বিরোধী—উভয় পক্ষের জনপ্রতিনিধিদের মতামত থাকা প্রয়োজন। এ ধরনের কমিটি গঠনের ব্যাপারে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হতে হবে। একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কেননা, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর করতে দলীয়করণ বন্ধের বিকল্প নেই।
No comments