বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নেই মনোযোগী হতে হবে-শোকাবহ ১৫ আগস্ট
আগস্ট মাসটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে শোকের মাসে পরিণত হয়েছে আজকের এই দিনটির জন্য। বাংলাদেশ নামে যে রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছে একাত্তরে, তার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এ দিনটিতে প্রাণ দিতে হয়েছে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে।
অথচ পুরো জীবনই তিনি উৎসর্গ করেছেন এ দেশের মানুষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের জন্য। আন্দোলন-সংগ্রাম, ত্যাগ ও অসাধারণ নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীনতাকে সম্ভব করে তুলেছিলেন।সেদিন ঘাতকচক্র তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও রেহাই দেয়নি। দুই মেয়ে শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান। পঁচাত্তরের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের এ দিনটি আজ জাতীয় শোক দিবস।
একাত্তরে বাংলাদেশের যে স্বাধীনতা এসেছে, তার প্রস্তুতিটা শুরু হয়েছিল সেই ’৪৮ সাল থেকেই। ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে যে নয়া উপনিবেশ, সেটা বুঝতে এ দেশবাসীর সময় লাগেনি। বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাঙালি জীবন দিয়েযে আন্দোলনের সূচনা করেছিল, বাষট্টির ছাত্র-আন্দোলন,ছেষট্টির ছয় দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তা বেগবান হয়। এরপর ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পথ ধরেশেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একাত্তরের মার্চে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’—এমন বজ্র ঘোষণার পর বাঙালিকে ঠেকানোর সাধ্য যে আর কোনো শক্তির ছিল না, তার প্রমাণ মিলেছে এ দেশের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে ব্রতী হন, তখনই তাঁর বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত চলতে থাকে। পনেরোই আগস্টের হত্যাকাণ্ড ছিল সেই চক্রান্তের চূড়ান্ত পর্যায়। এরপর দীর্ঘদিন দেশের ওপর জেঁকে বসেছে সেনাশাসন, ক্ষতবিক্ষত হয় সাংবিধানিক শাসন। সবচেয়ে দুঃখজনক যে হত্যাকারীদের বিচার করা যাবে না, এমন একটি কলঙ্কিত আইনও জারি করা হয়েছিল। বিলম্বে হলেও আমরা সেই কলঙ্ক থেকে মুক্তি পেয়েছি। ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, বিচারের রায়ও আংশিক কার্যকর হয়েছে। এখনো যারা পলাতক রয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি কার্যকর করার মধ্য দিয়ে এই পর্ব শেষ হোক—সেটাই সবার প্রত্যাশা।
আজ জাতীয় শোক দিবসের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি এই মহান নেতাকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। তবে আমরা মনে করি, তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর বড় উপায় হচ্ছে, যে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন তা বাস্তব রূপ দেওয়া। স্বপ্নটি হলো, এমন একটি দেশ গড়ে তোলা, যেখানে সব মানুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা পাবে; দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই সে কাজটি করা সম্ভব। বঙ্গবন্ধু তাঁর কাজ করে গেছেন, এখন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত তাঁর দল আওয়ামী লীগের দায়িত্ব তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়া, গণমানুষের কল্যাণে ব্রতী হওয়া।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের ঘটনায় নিহত সবার প্রতি রইল আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।
একাত্তরে বাংলাদেশের যে স্বাধীনতা এসেছে, তার প্রস্তুতিটা শুরু হয়েছিল সেই ’৪৮ সাল থেকেই। ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে যে নয়া উপনিবেশ, সেটা বুঝতে এ দেশবাসীর সময় লাগেনি। বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাঙালি জীবন দিয়েযে আন্দোলনের সূচনা করেছিল, বাষট্টির ছাত্র-আন্দোলন,ছেষট্টির ছয় দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তা বেগবান হয়। এরপর ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পথ ধরেশেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একাত্তরের মার্চে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’—এমন বজ্র ঘোষণার পর বাঙালিকে ঠেকানোর সাধ্য যে আর কোনো শক্তির ছিল না, তার প্রমাণ মিলেছে এ দেশের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে ব্রতী হন, তখনই তাঁর বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত চলতে থাকে। পনেরোই আগস্টের হত্যাকাণ্ড ছিল সেই চক্রান্তের চূড়ান্ত পর্যায়। এরপর দীর্ঘদিন দেশের ওপর জেঁকে বসেছে সেনাশাসন, ক্ষতবিক্ষত হয় সাংবিধানিক শাসন। সবচেয়ে দুঃখজনক যে হত্যাকারীদের বিচার করা যাবে না, এমন একটি কলঙ্কিত আইনও জারি করা হয়েছিল। বিলম্বে হলেও আমরা সেই কলঙ্ক থেকে মুক্তি পেয়েছি। ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, বিচারের রায়ও আংশিক কার্যকর হয়েছে। এখনো যারা পলাতক রয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি কার্যকর করার মধ্য দিয়ে এই পর্ব শেষ হোক—সেটাই সবার প্রত্যাশা।
আজ জাতীয় শোক দিবসের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি এই মহান নেতাকে আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। তবে আমরা মনে করি, তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর বড় উপায় হচ্ছে, যে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন তা বাস্তব রূপ দেওয়া। স্বপ্নটি হলো, এমন একটি দেশ গড়ে তোলা, যেখানে সব মানুষের সমান অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা পাবে; দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়েই সে কাজটি করা সম্ভব। বঙ্গবন্ধু তাঁর কাজ করে গেছেন, এখন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত তাঁর দল আওয়ামী লীগের দায়িত্ব তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়া, গণমানুষের কল্যাণে ব্রতী হওয়া।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের ঘটনায় নিহত সবার প্রতি রইল আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।
No comments