শিশু শিক্ষা :কঠোরতা নয়, দরদ চাই by মুফতি এনায়েতুল্লাহ
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'আমি শিক্ষক হিসেবে আগমন করেছি।' এ হাদিসের মাধ্যমে উপলব্ধি করা যায়, শিক্ষকতা শুধু একটি পেশার নামই নয়, এটি একটি পবিত্র কাজও বটে। যিনি এ কাজ করে থাকেন তিনিই শিক্ষক। তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বহু শিক্ষার্থীর জীবন পরিচালিত হয়।
তিনি ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রকৃত নির্মাতা। শিক্ষকের মর্যাদা কারও সঙ্গে তুলনা করা যায় না। শিক্ষকরা হলেন মানুষ গড়ার মহান কারিগর।
শিক্ষকের শুধু বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান থাকলেই হয় না, ওই জ্ঞান ছাত্রদের মধ্যে সঞ্চারিত করার দক্ষতাও থাকতে হয়। যথাযথ পদ্ধতি না জানার কারণে অনেক ভালো ছাত্র ভালো শিক্ষক হতে পারেন না। শিক্ষার্থীকে সুন্দরভাবে গড়া বিচক্ষণ ও দক্ষ শিক্ষক ছাড়া সম্ভব নয়। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকৃষ্ট করে রাখা এবং তাদের বিষয়ানুরাগী করে তোলা খুব সহজ কাজ নয়। এখানে যাদের ঘাটতি আছে তারা এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করেন বেত। বেত মেরে শিক্ষার্থীদের মুখ বন্ধ করা যায়। তাদের মন-মস্তিষ্কের ক্রিয়া বন্ধ করা যায় না। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক আচরণ স্বাভাবিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অস্বাভাবিক পন্থায় নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে তাদের মন অসুস্থ হয়ে উঠবে। ওই অসুস্থতা একদিন বিদ্রোহে পরিণত হবে। তাই বিচক্ষণতার পরিবর্তে বেত নয়, বরং বেতের পরিবর্তে বিচক্ষণতা দিয়েই শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
আদর্শ সমাজ গঠন করতে হলে শিশুদের উন্নত চরিত্র ও আদর্শের অধিকারী করে গড়ে তুলতে হবে। কেননা শিশুদের আদর্শবান করে গড়ে তুলতে না পারলে আদর্শ সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব নয়। যদি কারও চরিত্র নষ্ট হয়ে যায় তাহলে এ জন্য সেই শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, বরং এ ক্ষতির প্রভাব ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র_ সবকিছু পরিব্যাপ্ত হয়ে উপরোক্ত ক্ষেত্রগুলোতে বিরাট অকল্যাণ ডেকে আনে। কাজেই শিশুর চরিত্র গঠনের ব্যাপারে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সদা সচেতন থাকা আবশ্যক।
সম্প্রতি শিক্ষকের বেতে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী সুমি আকতারের চোখ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার মহিপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে পায়ে শিকল ও কাঁধে গাছের গুঁড়ি বাঁধা এক শিশু শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম আবদুল আউয়াল (১০)। গত মঙ্গলবার পুলিশ ওই শিশুকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ মাদ্রাসার প্রধান হাফেজ মোঃ আনোয়ার জাহিদ এবং অন্য এক শিক্ষার্থী মোঃ নেছার উদ্দিনকেও আটক করে। অথচ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তি দেওয়া নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সরকারি নির্দেশ মোতাবেক শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তি দেওয়া অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করা হবে। শারীরিক শাস্তি প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে শিশু আইন অনুযায়ী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নেবেন।
সরকারি ওই নির্দেশের পরও বিভিন্ন সময় শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায়। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের ওপর এমন নির্যাতন কাম্য নয়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক কেমন আচরণ করবেন তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকরা বন্ধুসুলভ আচরণ দিয়েই পাঠদান করে থাকেন। আমাদের সেই চিরায়ত বিশ্বাসে কতিপয় শিক্ষক চিড় ধরাচ্ছেন। তারা শিক্ষার্থীর সঙ্গে চরম অমানবিক আচরণ করছেন। তা মোটেও শোভন তো নয়ই, বরং দেশের প্রচলিত আইন ও ধর্মের পরিপন্থী কাজ।
হাদিসে আছে, 'বিদ্বানগণ (আলেম) হলেন নবীদের ওয়ারিশ।' প্রত্যেক শিক্ষকই বিদ্বান তথা আলেম। সে হিসেবে শিক্ষক হবেন মানবহিতৈষী। তিনি হবেন শিক্ষার্থীদের দরদি অভিভাবক। শিক্ষার্থীরা তার কাছে নিজেদের নিরাপদ ভাববে। পক্ষান্তরে শিক্ষক যদি বদমেজাজি ও কঠোর মনোভাবাপন্ন হন তাহলে শিক্ষার্থীরা এমন শিক্ষকের সঙ্গে আন্তরিক হতে পারে না, বরং তাকে এড়িয়ে চলে। ফলে লেখাপড়ার উপযুক্ত পরিবেশ বিঘি্নত হয়। তা কোনো অভিভাবকেরই কাম্য নয়।
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 'আমার উম্মতের আলেমের মর্যাদা বনি ইসরাইলের নবীর মর্যাদার সমান।' এ বাণী শিক্ষকের মর্যাদা আরও উন্নত মর্যাদাসম্পন্ন করেছে। সে হিসেবে বলতে হয়, আদর্শ শিক্ষক হবেন সুস্থ ও কোমল মনের অধিকারী। তিনি সব শিক্ষার্থীকে সমান চোখে দেখবেন। সবাইকেই স্নেহ করবেন। সবাইকেই উন্নত করার চেষ্টা চালাবেন। ছাত্রদের প্রতি তিনি স্নেহশীল হবেন_ এটিই স্বাভাবিক। হজরত ইমাম গাজ্জালি (রহ.) বলেন, 'শিক্ষক হবেন পিতার মতো।' পিতা যেমনভাবে সন্তানকে আদর করে লালন-পালন করেন, তেমনি শিক্ষকও ছাত্রকে গঠন করবেন। এক্ষেত্রে ইসলামের অনুপম শিক্ষা ও নীতিমালা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'যে ছোটকে স্নেহ-মমতা করে না এবং বড়কে শ্রদ্ধা করে না সে আমাদের দলভুক্ত নয়' (বুখারি ও তিরমিজি)। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, 'তোমরা নিজেদের সন্তানদের স্নেহ করো এবং তাদের শিষ্টাচার শিক্ষা দান করো।' এ হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এক সঙ্গে স্নেহ ও শিষ্টাচারের কথা বলেছেন। সেই হিসেবে বলা যায়, শিশুদের শিক্ষা দিতে হবে স্নেহপূর্ণ পরিবেশে, ভালোবাসা দিয়ে_ বেত দিয়ে মেরে আহত বা রক্তাক্ত করে নয়। ছাত্রকে শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে শাসন করবেন একটি নির্দিষ্ট সীমা রেখে। শাসন যেন ওই শিশুর জীবনবিনাশী না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এমনও দেখা গেছে, শিক্ষকের মাত্রা অতিরিক্ত প্রহারের ফলে অনেক শিশু স্কুল বা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়। তার আর লেখাপড়া করা হয় না। এ বিষয়টির প্রতি শিক্ষককে গভীরভাবে নজর রাখতে হবে।
আগেই বলেছি, শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। এ পেশার সঙ্গে নবীদের কাজের যথেষ্ট মিল রয়েছে। সুতরাং শিক্ষককে সেভাবেই শ্রেণীকক্ষে পাঠদানে মনোযোগী ও ব্রতী হতে হবে।
muftianaet@gmail.com
শিক্ষকের শুধু বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান থাকলেই হয় না, ওই জ্ঞান ছাত্রদের মধ্যে সঞ্চারিত করার দক্ষতাও থাকতে হয়। যথাযথ পদ্ধতি না জানার কারণে অনেক ভালো ছাত্র ভালো শিক্ষক হতে পারেন না। শিক্ষার্থীকে সুন্দরভাবে গড়া বিচক্ষণ ও দক্ষ শিক্ষক ছাড়া সম্ভব নয়। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ আকৃষ্ট করে রাখা এবং তাদের বিষয়ানুরাগী করে তোলা খুব সহজ কাজ নয়। এখানে যাদের ঘাটতি আছে তারা এর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করেন বেত। বেত মেরে শিক্ষার্থীদের মুখ বন্ধ করা যায়। তাদের মন-মস্তিষ্কের ক্রিয়া বন্ধ করা যায় না। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক আচরণ স্বাভাবিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অস্বাভাবিক পন্থায় নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে তাদের মন অসুস্থ হয়ে উঠবে। ওই অসুস্থতা একদিন বিদ্রোহে পরিণত হবে। তাই বিচক্ষণতার পরিবর্তে বেত নয়, বরং বেতের পরিবর্তে বিচক্ষণতা দিয়েই শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
আদর্শ সমাজ গঠন করতে হলে শিশুদের উন্নত চরিত্র ও আদর্শের অধিকারী করে গড়ে তুলতে হবে। কেননা শিশুদের আদর্শবান করে গড়ে তুলতে না পারলে আদর্শ সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব নয়। যদি কারও চরিত্র নষ্ট হয়ে যায় তাহলে এ জন্য সেই শুধু ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, বরং এ ক্ষতির প্রভাব ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র_ সবকিছু পরিব্যাপ্ত হয়ে উপরোক্ত ক্ষেত্রগুলোতে বিরাট অকল্যাণ ডেকে আনে। কাজেই শিশুর চরিত্র গঠনের ব্যাপারে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সদা সচেতন থাকা আবশ্যক।
সম্প্রতি শিক্ষকের বেতে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী সুমি আকতারের চোখ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার মহিপুর হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে পায়ে শিকল ও কাঁধে গাছের গুঁড়ি বাঁধা এক শিশু শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম আবদুল আউয়াল (১০)। গত মঙ্গলবার পুলিশ ওই শিশুকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ মাদ্রাসার প্রধান হাফেজ মোঃ আনোয়ার জাহিদ এবং অন্য এক শিক্ষার্থী মোঃ নেছার উদ্দিনকেও আটক করে। অথচ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তি দেওয়া নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সরকারি নির্দেশ মোতাবেক শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তি দেওয়া অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করা হবে। শারীরিক শাস্তি প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে শিশু আইন অনুযায়ী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নেবেন।
সরকারি ওই নির্দেশের পরও বিভিন্ন সময় শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায়। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের ওপর এমন নির্যাতন কাম্য নয়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক কেমন আচরণ করবেন তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকরা বন্ধুসুলভ আচরণ দিয়েই পাঠদান করে থাকেন। আমাদের সেই চিরায়ত বিশ্বাসে কতিপয় শিক্ষক চিড় ধরাচ্ছেন। তারা শিক্ষার্থীর সঙ্গে চরম অমানবিক আচরণ করছেন। তা মোটেও শোভন তো নয়ই, বরং দেশের প্রচলিত আইন ও ধর্মের পরিপন্থী কাজ।
হাদিসে আছে, 'বিদ্বানগণ (আলেম) হলেন নবীদের ওয়ারিশ।' প্রত্যেক শিক্ষকই বিদ্বান তথা আলেম। সে হিসেবে শিক্ষক হবেন মানবহিতৈষী। তিনি হবেন শিক্ষার্থীদের দরদি অভিভাবক। শিক্ষার্থীরা তার কাছে নিজেদের নিরাপদ ভাববে। পক্ষান্তরে শিক্ষক যদি বদমেজাজি ও কঠোর মনোভাবাপন্ন হন তাহলে শিক্ষার্থীরা এমন শিক্ষকের সঙ্গে আন্তরিক হতে পারে না, বরং তাকে এড়িয়ে চলে। ফলে লেখাপড়ার উপযুক্ত পরিবেশ বিঘি্নত হয়। তা কোনো অভিভাবকেরই কাম্য নয়।
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 'আমার উম্মতের আলেমের মর্যাদা বনি ইসরাইলের নবীর মর্যাদার সমান।' এ বাণী শিক্ষকের মর্যাদা আরও উন্নত মর্যাদাসম্পন্ন করেছে। সে হিসেবে বলতে হয়, আদর্শ শিক্ষক হবেন সুস্থ ও কোমল মনের অধিকারী। তিনি সব শিক্ষার্থীকে সমান চোখে দেখবেন। সবাইকেই স্নেহ করবেন। সবাইকেই উন্নত করার চেষ্টা চালাবেন। ছাত্রদের প্রতি তিনি স্নেহশীল হবেন_ এটিই স্বাভাবিক। হজরত ইমাম গাজ্জালি (রহ.) বলেন, 'শিক্ষক হবেন পিতার মতো।' পিতা যেমনভাবে সন্তানকে আদর করে লালন-পালন করেন, তেমনি শিক্ষকও ছাত্রকে গঠন করবেন। এক্ষেত্রে ইসলামের অনুপম শিক্ষা ও নীতিমালা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, 'যে ছোটকে স্নেহ-মমতা করে না এবং বড়কে শ্রদ্ধা করে না সে আমাদের দলভুক্ত নয়' (বুখারি ও তিরমিজি)। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, 'তোমরা নিজেদের সন্তানদের স্নেহ করো এবং তাদের শিষ্টাচার শিক্ষা দান করো।' এ হাদিসে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এক সঙ্গে স্নেহ ও শিষ্টাচারের কথা বলেছেন। সেই হিসেবে বলা যায়, শিশুদের শিক্ষা দিতে হবে স্নেহপূর্ণ পরিবেশে, ভালোবাসা দিয়ে_ বেত দিয়ে মেরে আহত বা রক্তাক্ত করে নয়। ছাত্রকে শিক্ষক শ্রেণীকক্ষে শাসন করবেন একটি নির্দিষ্ট সীমা রেখে। শাসন যেন ওই শিশুর জীবনবিনাশী না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এমনও দেখা গেছে, শিক্ষকের মাত্রা অতিরিক্ত প্রহারের ফলে অনেক শিশু স্কুল বা মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়। তার আর লেখাপড়া করা হয় না। এ বিষয়টির প্রতি শিক্ষককে গভীরভাবে নজর রাখতে হবে।
আগেই বলেছি, শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। এ পেশার সঙ্গে নবীদের কাজের যথেষ্ট মিল রয়েছে। সুতরাং শিক্ষককে সেভাবেই শ্রেণীকক্ষে পাঠদানে মনোযোগী ও ব্রতী হতে হবে।
muftianaet@gmail.com
No comments