সালিসকারীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে-সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা
অপমান, ক্ষোভ, অসহায়ত্ব কতটা গভীর ও তীব্র হলে মানুষ এমন মরিয়াভাবে আত্মবিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে! হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আন্দিউরা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের গৃহবধূ ফেরদৌসী আক্তার চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে শুধু নিজের জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটাননি; সঙ্গে নিয়ে গেছেন চার সন্তানের দুটিকে।
চার সন্তান নিয়েই তিনি আত্মহত্যার জন্য ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়েছিলেন, কিন্তু দুটি সন্তান প্রাণে বেঁচে গেছে।
মানুষ নিজেকে ভালোবাসে, মা সন্তানদের ভালোবাসেন নিজের চেয়েও বেশি। কিন্তু ফেরদৌসী আক্তারের জীবন এতটাই বিষিয়ে তোলা হয়েছিল যে তিনি সন্তানদেরসহ ওই চরম পদক্ষেপটি নিতে বাধ্য হয়েছেন।
ফেরদৌসী আক্তারের স্বামী আড়াই বছর ধরে দুবাইপ্রবাসী। চারটি সন্তান নিয়ে তাঁর সামাজিক অবস্থা স্বভাবতই নাজুক। এমন পরিস্থিতিতে একজন নারীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ তোলা খুবই সহজ কাজ। গ্রামাঞ্চলে এমনটি প্রায়ই ঘটে। ফেরদৌসী আক্তারের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ এনে গ্রামের মাতব্বরেরা সালিস বসিয়েছিলেন। সেই সালিসে তাঁরা জনসমক্ষে কান ধরে ওঠবস করিয়েছেন চার সন্তানের মা এই নারীকে। এ অপমান সইতে পারেননি তিনি। ফলে, সন্তানসহ প্রাণ দিয়ে তিনি জাতীয় সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েছেন। সেই সংবাদে সাড়া পড়ে গেছে দেশের উচ্চ আদালতে। খোদ হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছেন। ঘটনা সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে তলব করেছেন নয় ব্যক্তিকে, যাঁদের মধ্যে আছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন সদস্য, থানার ওসি, এসআই প্রমুখ। ২৩ আগস্ট তাঁদের হাইকোর্টে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। সন্তান নিয়ে ফেরদৌসী আক্তারের এই আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না—হাইকোর্টের রুলে এটা জানতে চাওয়া হয়েছে।
উচ্চ আদালতের এই স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ অবশ্যই আশার সঞ্চার করে যে, এই মর্মন্তুদ বিয়োগান্ত ঘটনাটি কারও কোনো জবাবদিহি ছাড়াই পার পেয়ে যাবে না। যে সালিসে ফেরদৌসী আক্তারকে কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছে, এর সভাপতি ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান। আরও কয়েকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সবার এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত, যেন এ ধরনের অপরাধ সংঘটনে আর কেউ সাহস না পায়।
মানুষ নিজেকে ভালোবাসে, মা সন্তানদের ভালোবাসেন নিজের চেয়েও বেশি। কিন্তু ফেরদৌসী আক্তারের জীবন এতটাই বিষিয়ে তোলা হয়েছিল যে তিনি সন্তানদেরসহ ওই চরম পদক্ষেপটি নিতে বাধ্য হয়েছেন।
ফেরদৌসী আক্তারের স্বামী আড়াই বছর ধরে দুবাইপ্রবাসী। চারটি সন্তান নিয়ে তাঁর সামাজিক অবস্থা স্বভাবতই নাজুক। এমন পরিস্থিতিতে একজন নারীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ তোলা খুবই সহজ কাজ। গ্রামাঞ্চলে এমনটি প্রায়ই ঘটে। ফেরদৌসী আক্তারের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ এনে গ্রামের মাতব্বরেরা সালিস বসিয়েছিলেন। সেই সালিসে তাঁরা জনসমক্ষে কান ধরে ওঠবস করিয়েছেন চার সন্তানের মা এই নারীকে। এ অপমান সইতে পারেননি তিনি। ফলে, সন্তানসহ প্রাণ দিয়ে তিনি জাতীয় সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েছেন। সেই সংবাদে সাড়া পড়ে গেছে দেশের উচ্চ আদালতে। খোদ হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছেন। ঘটনা সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে তলব করেছেন নয় ব্যক্তিকে, যাঁদের মধ্যে আছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন সদস্য, থানার ওসি, এসআই প্রমুখ। ২৩ আগস্ট তাঁদের হাইকোর্টে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। সন্তান নিয়ে ফেরদৌসী আক্তারের এই আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না—হাইকোর্টের রুলে এটা জানতে চাওয়া হয়েছে।
উচ্চ আদালতের এই স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ অবশ্যই আশার সঞ্চার করে যে, এই মর্মন্তুদ বিয়োগান্ত ঘটনাটি কারও কোনো জবাবদিহি ছাড়াই পার পেয়ে যাবে না। যে সালিসে ফেরদৌসী আক্তারকে কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছে, এর সভাপতি ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান। আরও কয়েকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সবার এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত, যেন এ ধরনের অপরাধ সংঘটনে আর কেউ সাহস না পায়।
No comments