বাস্তবতার প্রতিফলনই প্রত্যাশিত-সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ
জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে বিরোধী দলকে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। দুই বড় দল যে-ই যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন রাষ্ট্রপতি মোটামুটি একই সুরে সংসদ বয়কটরত বিরোধী দলকে ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়ে থাকেন। কিন্তু সরকারি দলের পক্ষ থেকে তাদের সংসদে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানা যায় না।
বিরোধী দলের চলতি অধিবেশনে যোগদানের নিশ্চিত সম্ভাবনার সূত্রটি হলো, অনুপস্থিতিজনিত কারণে সংসদের আসন শূন্য হওয়া ঠেকানো।
অস্বীকার করার উপায় নেই, সামনে দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের একটি সর্বসম্মত উপায় খুঁজে বের করতে হবে। এই অবস্থা ১৯৯৬ সালের বিএনপির ভোটারবিহীন নির্বাচনের পূর্ববর্তী অবস্থার সঙ্গে তুলনীয় নয়। কারণ, ওই সময় আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দলই সংসদ থেকে একযোগে পদত্যাগ করে রাজপথের আন্দোলনে ছিল, যাতে করে সংসদে সমঝোতার সুযোগ ছিল না। কিন্তু বর্তমানে বিরোধী দল এখনো সংসদকে পুরো নাকচ করে দেয়নি। সরকারি দলও লোক দেখানো হলেও বিরোধী দলকে সংসদে এসে তাদের দাবির কথা জানাতে বলছে।
রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান তাঁর ভাষণে বলেছেন, ‘গণতন্ত্র একটি চলমান প্রক্রিয়া, এখানে কোনো বিশেষ অবস্থানে থমকে যাওয়া, কিংবা রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের চেয়ে জনগণ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালনই মুখ্য। তাই বিরোধী দলকে বলব, আপনাদের সব প্রস্তাব, সুপারিশ ও অভিযোগ সংসদে এসে বলুন। এতে করে গণতন্ত্রই সমৃদ্ধ হবে।’ রাষ্ট্রপতির এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমতের অবকাশ কম। তবে গণতন্ত্রের চলমান প্রক্রিয়ায় বিশেষ অবস্থানে থমকে যাওয়া কিংবা রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব পরিহার করার বিষয়টি সরকারি দলের জন্য বরং অধিকতর প্রযোজ্য। এ মুহূর্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে উভয় পক্ষই একটি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আছে। এর দায়দায়িত্ব কেবল এক পক্ষের ওপর চাপানো চলে না। কিন্তু তুলনামূলক বিশ্লেষণে দায়টা শেষ পর্যন্ত সরকার যারা চালায়, তাদের কাঁধেই বর্তায়।
বিরোধী দলকে সংসদে যাওয়ার সাদামাটা আহ্বান জানানো তেমন তাৎপর্য বহন করে না। সে কারণেই আমরা আশা করব, সময় বয়ে যাওয়ার আগেই সরকারি দল এমন কিছু বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেবে, যাতে বিরোধী দল সংসদে যেতে আগ্রহী হয়।
ইসি গঠনে সংলাপের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতির বর্ণিত ‘স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন’ প্রকৃতপক্ষে সংলাপে বিচার্য ছিল না। এটা দাবি করাও সমীচীন নয়। কারণ, সংলাপ শুধুই অনধিক পাঁচজন ব্যক্তি বাছাইয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটির জন্ম দিয়েছে। যোগ্যতাসম্পন্ন ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি বাছাই করতে পারলে সেটা নিশ্চয়ই বড় অর্জন হবে। এটা রাষ্ট্রপতির কথায় শক্তিশালী ইসি গঠনে সহায়ক হতে পারে।
সর্বোপরি, রাষ্ট্রপতির ভাষণে সরকারের সাফল্যের কথাই শুধু বিবৃত হয়েছে। এতে সাফল্যের পাশাপাশি ভুলত্রুটির কথা থাকলে ক্ষমতাসীনেরা শুধরে নেওয়ার সুযোগ পেতেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণে দেশবাসী দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি নয়, দেশের আর্থসামাজিক রাজনৈতিক অবস্থার প্রতিফলনই দেখতে চায়।
অস্বীকার করার উপায় নেই, সামনে দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের একটি সর্বসম্মত উপায় খুঁজে বের করতে হবে। এই অবস্থা ১৯৯৬ সালের বিএনপির ভোটারবিহীন নির্বাচনের পূর্ববর্তী অবস্থার সঙ্গে তুলনীয় নয়। কারণ, ওই সময় আওয়ামী লীগসহ সব বিরোধী দলই সংসদ থেকে একযোগে পদত্যাগ করে রাজপথের আন্দোলনে ছিল, যাতে করে সংসদে সমঝোতার সুযোগ ছিল না। কিন্তু বর্তমানে বিরোধী দল এখনো সংসদকে পুরো নাকচ করে দেয়নি। সরকারি দলও লোক দেখানো হলেও বিরোধী দলকে সংসদে এসে তাদের দাবির কথা জানাতে বলছে।
রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান তাঁর ভাষণে বলেছেন, ‘গণতন্ত্র একটি চলমান প্রক্রিয়া, এখানে কোনো বিশেষ অবস্থানে থমকে যাওয়া, কিংবা রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের চেয়ে জনগণ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালনই মুখ্য। তাই বিরোধী দলকে বলব, আপনাদের সব প্রস্তাব, সুপারিশ ও অভিযোগ সংসদে এসে বলুন। এতে করে গণতন্ত্রই সমৃদ্ধ হবে।’ রাষ্ট্রপতির এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমতের অবকাশ কম। তবে গণতন্ত্রের চলমান প্রক্রিয়ায় বিশেষ অবস্থানে থমকে যাওয়া কিংবা রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব পরিহার করার বিষয়টি সরকারি দলের জন্য বরং অধিকতর প্রযোজ্য। এ মুহূর্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে উভয় পক্ষই একটি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আছে। এর দায়দায়িত্ব কেবল এক পক্ষের ওপর চাপানো চলে না। কিন্তু তুলনামূলক বিশ্লেষণে দায়টা শেষ পর্যন্ত সরকার যারা চালায়, তাদের কাঁধেই বর্তায়।
বিরোধী দলকে সংসদে যাওয়ার সাদামাটা আহ্বান জানানো তেমন তাৎপর্য বহন করে না। সে কারণেই আমরা আশা করব, সময় বয়ে যাওয়ার আগেই সরকারি দল এমন কিছু বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেবে, যাতে বিরোধী দল সংসদে যেতে আগ্রহী হয়।
ইসি গঠনে সংলাপের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতির বর্ণিত ‘স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন’ প্রকৃতপক্ষে সংলাপে বিচার্য ছিল না। এটা দাবি করাও সমীচীন নয়। কারণ, সংলাপ শুধুই অনধিক পাঁচজন ব্যক্তি বাছাইয়ে একটি অনুসন্ধান কমিটির জন্ম দিয়েছে। যোগ্যতাসম্পন্ন ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি বাছাই করতে পারলে সেটা নিশ্চয়ই বড় অর্জন হবে। এটা রাষ্ট্রপতির কথায় শক্তিশালী ইসি গঠনে সহায়ক হতে পারে।
সর্বোপরি, রাষ্ট্রপতির ভাষণে সরকারের সাফল্যের কথাই শুধু বিবৃত হয়েছে। এতে সাফল্যের পাশাপাশি ভুলত্রুটির কথা থাকলে ক্ষমতাসীনেরা শুধরে নেওয়ার সুযোগ পেতেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণে দেশবাসী দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি নয়, দেশের আর্থসামাজিক রাজনৈতিক অবস্থার প্রতিফলনই দেখতে চায়।
No comments