বেইলি রোড ও সিদ্ধেশ্বরীতে খোঁড়াখুঁড়ি, দুর্ভোগ by কাজী আনিছ
দীর্ঘ ফুটপাতজুড়ে খোঁড়া হয়েছে গর্ত। স্তূপাকারে রাখা সেই গর্তের মাটি ও কংক্রিট দখল করেছে মূল সড়কের একটা অংশ। এতে শুধু যানবাহন চলাচলই নয়, পথচারীদের চলাচলও হচ্ছে বিঘ্নিত। রাজধানীর শান্তিনগর মোড় হয়ে বেইলি রোডে ঢুকলেই এই দৃশ্য চোখে পড়বে। শুধু বেইলি রোড নয়, সিদ্ধেশ্বরী এলাকার অলিগলিতেও চলছে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ।
ড্রেনেজ লাইন ও সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ঢাকা সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতা রোধে নর্দমা ও সড়ক মেরামতের কাজ করছে। অন্যদিকে অন্তর্বর্তীকালীন জরুরি পয়োনিষ্কাশন, পয়োনালা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ-২ প্রকল্পের অধীনে সুয়ারেজের কাজ করছে ওয়াসা। বেইলি রোড ও সিদ্ধেশ্বরীতে এ কাজ চলছে বেশকিছুদিন ধরে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সিদ্বেশ্বরীতে গিয়ে দেখা যায়, সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ঘেঁষে স্তূপাকারে রাখা হয়েছে বড় নালা ও পাইপ। বিদ্যালয়ের দেয়াল ঘেঁষে অর্ধেক সড়কজুড়ে তৈরি করা হয়েছে শ্রমিকদের থাকার ঘর। খোঁড়াখুঁড়ির কারণে গলিগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে আশপাশের সড়ক ও গলিতে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।
বেইলি রোডে গিয়ে দেখা যায়, ফুটপাতে বড় বড় গর্ত খোঁড়ায় পথচারী, শিক্ষার্থী ও বিপণিবিতানে আসা লোকজনকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, দ্রুত কাজ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ফলে দীর্ঘমেয়াদি দুর্ভোগে পড়তে হতে পারে। তিনি বলেন, দুটি প্রতিষ্ঠান একই সঙ্গে কাজ করায় পুরো এলাকা মাটি ও কংক্রিটে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। রাতে ফুটপাতের কিছু অংশ অন্ধকারে থাকায় পথচারীদের দুর্ঘটনায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, খোঁড়াখুঁড়ির কারণে তাঁদের ব্যবসায় কিছুটা ভাটা পড়েছে। তবে বৃহৎ স্বার্থে তাঁরা তা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু দ্রুত কাজ শেষ না হলে বেশ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
মাহমুদুল আমিন নামের সিদ্ধেশ্বরীর এক বাসিন্দা বলেন, খোঁড়াখুঁড়ি আর বাসাবাড়ির সামনে গর্ত থাকায় অনেকেই নিজস্ব গাড়ি দিনের বেলায় বিভিন্ন সড়ক ঘেঁষে রাখছেন। এতে যানজট আরও বেড়েছে। তিনি বলেন, পুরো এলাকায় একসঙ্গে কাজ শুরু না করে ভাগ করে করলে এত দুর্ভোগে পড়তে হতো না।
বেইলি রোডের সংস্কার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের প্রধান মো. তাহের বলেন, ১০-১৫ দিন ধরে তাঁরা কাজ করছেন। একপাশের ফুটপাতের কাজ শেষ করে অন্য পাশের কাজ শুরু করা হবে। পুরো কাজ শেষ হতে আরও এক মাস সময় লাগবে।
সিদ্ধেশ্বরী রোডে খননকাজের ব্যবস্থাপক খায়রুজ্জামান বলেন, প্রায় সাড়ে ছয় ফুট মাটি কেটে পুরোনো নালা ভেঙে নতুন নালা বসানো হচ্ছে। তা ছাড়া মাটির নিচে বিভিন্ন তার থাকায় মাটি কাটতে সমস্যা হচ্ছে। তাই দেরি হচ্ছে।
জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হাসনাত মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি এক বৈঠকে যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঢাকা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুর রহমান বলেন, এখানে আগে থেকে লাইন না থাকায় নতুন করে গর্ত খুঁড়ে লাইন তৈরি করতে হচ্ছে। এ কারণে দেরি হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সিদ্বেশ্বরীতে গিয়ে দেখা যায়, সিদ্ধেশ্বরী বালক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ঘেঁষে স্তূপাকারে রাখা হয়েছে বড় নালা ও পাইপ। বিদ্যালয়ের দেয়াল ঘেঁষে অর্ধেক সড়কজুড়ে তৈরি করা হয়েছে শ্রমিকদের থাকার ঘর। খোঁড়াখুঁড়ির কারণে গলিগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে আশপাশের সড়ক ও গলিতে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।
বেইলি রোডে গিয়ে দেখা যায়, ফুটপাতে বড় বড় গর্ত খোঁড়ায় পথচারী, শিক্ষার্থী ও বিপণিবিতানে আসা লোকজনকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, দ্রুত কাজ শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ফলে দীর্ঘমেয়াদি দুর্ভোগে পড়তে হতে পারে। তিনি বলেন, দুটি প্রতিষ্ঠান একই সঙ্গে কাজ করায় পুরো এলাকা মাটি ও কংক্রিটে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে। রাতে ফুটপাতের কিছু অংশ অন্ধকারে থাকায় পথচারীদের দুর্ঘটনায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, খোঁড়াখুঁড়ির কারণে তাঁদের ব্যবসায় কিছুটা ভাটা পড়েছে। তবে বৃহৎ স্বার্থে তাঁরা তা মেনে নিয়েছেন। কিন্তু দ্রুত কাজ শেষ না হলে বেশ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
মাহমুদুল আমিন নামের সিদ্ধেশ্বরীর এক বাসিন্দা বলেন, খোঁড়াখুঁড়ি আর বাসাবাড়ির সামনে গর্ত থাকায় অনেকেই নিজস্ব গাড়ি দিনের বেলায় বিভিন্ন সড়ক ঘেঁষে রাখছেন। এতে যানজট আরও বেড়েছে। তিনি বলেন, পুরো এলাকায় একসঙ্গে কাজ শুরু না করে ভাগ করে করলে এত দুর্ভোগে পড়তে হতো না।
বেইলি রোডের সংস্কার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের প্রধান মো. তাহের বলেন, ১০-১৫ দিন ধরে তাঁরা কাজ করছেন। একপাশের ফুটপাতের কাজ শেষ করে অন্য পাশের কাজ শুরু করা হবে। পুরো কাজ শেষ হতে আরও এক মাস সময় লাগবে।
সিদ্ধেশ্বরী রোডে খননকাজের ব্যবস্থাপক খায়রুজ্জামান বলেন, প্রায় সাড়ে ছয় ফুট মাটি কেটে পুরোনো নালা ভেঙে নতুন নালা বসানো হচ্ছে। তা ছাড়া মাটির নিচে বিভিন্ন তার থাকায় মাটি কাটতে সমস্যা হচ্ছে। তাই দেরি হচ্ছে।
জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবুল হাসনাত মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি এক বৈঠকে যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঢাকা ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুর রহমান বলেন, এখানে আগে থেকে লাইন না থাকায় নতুন করে গর্ত খুঁড়ে লাইন তৈরি করতে হচ্ছে। এ কারণে দেরি হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে।
No comments