সব দিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে-অর্থনীতির জটিল সময়
গত বৃহস্পতিবার গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সিপিডির প্রতিবেদনে দেশের অর্থনীতি এক জটিল সময় পার করছে বলে যে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে, তা মোটেই অতিশয়োক্তি নয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি ভিত্তিতে করণীয় ঠিক করার বিষয়টি তাই খুব জরুরি। বিভিন্ন মহলের এই উদ্বেগ দেশের নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারছে কি না, সেটা বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।
দেশের অর্থনীতিতে কিছু পুরোনো সমস্যা দীর্ঘদিন ধরেই বিরাজমান। বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ ও শেয়ারবাজার সমস্যার সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে আরও কিছু সমস্যা। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবও আমাদের ওপর পড়ার সমূহ আশঙ্কা আছে।
সিপিডির পক্ষ থেকে তুলে ধরা পর্যবেক্ষণে বিশ্ব অর্থনীতির সংকটময় পরিস্থিতির প্রভাবসহ উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক লেনদেনের ওপর চাপ, প্রবাসী-আয় কমে যাওয়া ও ভর্তুকির চাপ—এই বিষয়গুলোকে জরুরি বিবেচ্য বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ব্যাপারে বিভিন্ন মহল থেকে যে উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ পেয়েছে, তা বিবেচনায় নিয়ে করণীয় ঠিক করার বিষয়টি এখন জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এসব উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা সরকার খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে, এমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
এই জটিল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সবকিছুর ওপর যে দেশের নীতিনির্ধারকদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, বিষয়টি তেমন নয়। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা তেমনই একটি বিষয়। আগাম প্রস্তুতি সব সময়ই যেকোনো সমস্যা মোকাবিলাকে সহজ করে তোলে। এই বাস্তবতায় বৈদেশিক সাহায্য নিয়ে সমস্যা, ক্রমবর্ধমান ভর্তুকির চাপ—এই বিষয়গুলোর ব্যাপারে সরকারের তৎপরতা ও জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন। ভর্তুকির চাপ কমাতে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করার যে প্রস্তাব করেছে সিপিডি, সে ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা যে সরকারকে অজনপ্রিয় করবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। পরিস্থিতি যেহেতু জটিল, তাই সব দিক বিবেচনা করেই সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে সবার আগে সব মহলের উদ্বেগের বিষয়টি সরকারকে বিবেচনায় নিতে হবে। প্রবৃদ্ধির দোহাই দিয়ে দেশের অর্থনীতির অবস্থাকে ভালো বিবেচনা করে আত্মতৃপ্তির কোনো সুযোগ নেই।
সিপিডির পক্ষ থেকে তুলে ধরা পর্যবেক্ষণে বিশ্ব অর্থনীতির সংকটময় পরিস্থিতির প্রভাবসহ উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক লেনদেনের ওপর চাপ, প্রবাসী-আয় কমে যাওয়া ও ভর্তুকির চাপ—এই বিষয়গুলোকে জরুরি বিবেচ্য বিষয় হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ব্যাপারে বিভিন্ন মহল থেকে যে উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ পেয়েছে, তা বিবেচনায় নিয়ে করণীয় ঠিক করার বিষয়টি এখন জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এসব উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা সরকার খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে, এমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
এই জটিল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির সবকিছুর ওপর যে দেশের নীতিনির্ধারকদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, বিষয়টি তেমন নয়। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা তেমনই একটি বিষয়। আগাম প্রস্তুতি সব সময়ই যেকোনো সমস্যা মোকাবিলাকে সহজ করে তোলে। এই বাস্তবতায় বৈদেশিক সাহায্য নিয়ে সমস্যা, ক্রমবর্ধমান ভর্তুকির চাপ—এই বিষয়গুলোর ব্যাপারে সরকারের তৎপরতা ও জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন। ভর্তুকির চাপ কমাতে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করার যে প্রস্তাব করেছে সিপিডি, সে ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা যে সরকারকে অজনপ্রিয় করবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। পরিস্থিতি যেহেতু জটিল, তাই সব দিক বিবেচনা করেই সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে সবার আগে সব মহলের উদ্বেগের বিষয়টি সরকারকে বিবেচনায় নিতে হবে। প্রবৃদ্ধির দোহাই দিয়ে দেশের অর্থনীতির অবস্থাকে ভালো বিবেচনা করে আত্মতৃপ্তির কোনো সুযোগ নেই।
No comments