ক্ষমার বিকল্প নেই by মাসউদুল কাদির
আল্লাহ ক্ষমাসুন্দর। ক্ষমার সৌন্দর্যে আপল্গুত তিনি। আমরা তারই বান্দা। তবে ক্ষমার এই গুণ আমাদের মধ্যে কতটুকু। দেশ চালাতে, সমাজ চালাতে, পথে চলতে কোথাও আমরা ক্ষমাসুন্দর গুণে নিজেকে ধরে রাখতে পারি না। কেবলই ক্ষমতাবান হয়ে ওঠি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই দেখা যাচ্ছে বিদ্যাচর্চার বদলে অস্ত্রচর্চার মহড়া।
সামান্য কারণে বন্ধুকে অন্য বন্ধু মেরে ফেলছে। স্ত্রী স্বামীকে, স্বামী স্ত্রীকে। এমনকি আপন সন্তানকেও মা হত্যা করতে কুণ্ঠাবোধ করছে না। তেমনি ঘাতক সন্তানের হাত থেকে জন্মদাত্রী মা বা জন্মদাতা বাবাও রেহাই পাচ্ছে না।
কেউ কাউকে ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখতে পারছে না। সমাজে চলছে এক ধরনের অস্থিরতা, যার অবসান দরকার। পরস্পরে ক্ষমার চর্চা বাড়ানো দরকার। কারণ, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ক্ষমার কোনো বিকল্প নেই। এ প্রসঙ্গে নবী আদর্শের একটি ঘটনা উলেল্গখ করার মতো। সাফওয়ান কুরায়শ সরদার। মক্কার প্রভাবশালী এক পরিবারের সন্তান। সে চক্রান্ত করল, আল্লাহর নবীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেবে। হত্যা করবে। (নাউযুবিল্লাহ) এ জন্য আমির বিন ওহাবকে মদিনায় পাঠাল। আমির বিন ওহাব সুবিধা করতে পারল না। ধরা পড়ে গেল। বিষয়টি জানাজানিও হয়ে গেল। কুরাইশ নেতা সাফওয়ান শাস্তির ভয়ে মক্কা থেকে জেদ্দায় পলায়ন করে।
মারার জন্য এলেও দয়ার ভাণ্ডার মহানবী (সা.) আমির বিন ওহাবকে ক্ষমা করে দেন। তখন আমির সাফওয়ানের জন্যও নবীজির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। নবীজিকে হত্যার জন্য যে দূত পাঠিয়েছে তিনি তাকেও ক্ষমা করে দেন। কিন্তু তারপরও সাফওয়ান ভয়ে মদিনায় আসার সাহস পাচ্ছিল না। সে নবীজির আশ্বাসের কোনো নিদর্শন চাচ্ছিল। নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) তাকে শুধু ক্ষমাই করেননি, ক্ষমা ও আশ্বাসের নিদর্শনস্বরূপ নিজের পাগড়ি সাফওয়ানের কাছে পাঠিয়ে দেন। আজকের ব্যস্ত সমাজে-শহরে কেউ কাউকে ক্ষমার চোখে দেখে না। সবাই যেন কেমন আগ্রাসী!
একজন রিকশাচালক ভাই অন্যজনকে শত্রুই মনে করেন। মালিক তার শ্রমিককে ভিন্ন চোখে দেখেন। বিশ্বাস উঠে গেছে। উঠে গেছে ক্ষমার নিয়ম। তাই আমাদের ফিরে আসতে হবে ক্ষমার আদর্শে। তাহলে সমাজও শান্তিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে।
mkadir1983@gmail.com
কেউ কাউকে ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখতে পারছে না। সমাজে চলছে এক ধরনের অস্থিরতা, যার অবসান দরকার। পরস্পরে ক্ষমার চর্চা বাড়ানো দরকার। কারণ, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ক্ষমার কোনো বিকল্প নেই। এ প্রসঙ্গে নবী আদর্শের একটি ঘটনা উলেল্গখ করার মতো। সাফওয়ান কুরায়শ সরদার। মক্কার প্রভাবশালী এক পরিবারের সন্তান। সে চক্রান্ত করল, আল্লাহর নবীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেবে। হত্যা করবে। (নাউযুবিল্লাহ) এ জন্য আমির বিন ওহাবকে মদিনায় পাঠাল। আমির বিন ওহাব সুবিধা করতে পারল না। ধরা পড়ে গেল। বিষয়টি জানাজানিও হয়ে গেল। কুরাইশ নেতা সাফওয়ান শাস্তির ভয়ে মক্কা থেকে জেদ্দায় পলায়ন করে।
মারার জন্য এলেও দয়ার ভাণ্ডার মহানবী (সা.) আমির বিন ওহাবকে ক্ষমা করে দেন। তখন আমির সাফওয়ানের জন্যও নবীজির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। নবীজিকে হত্যার জন্য যে দূত পাঠিয়েছে তিনি তাকেও ক্ষমা করে দেন। কিন্তু তারপরও সাফওয়ান ভয়ে মদিনায় আসার সাহস পাচ্ছিল না। সে নবীজির আশ্বাসের কোনো নিদর্শন চাচ্ছিল। নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) তাকে শুধু ক্ষমাই করেননি, ক্ষমা ও আশ্বাসের নিদর্শনস্বরূপ নিজের পাগড়ি সাফওয়ানের কাছে পাঠিয়ে দেন। আজকের ব্যস্ত সমাজে-শহরে কেউ কাউকে ক্ষমার চোখে দেখে না। সবাই যেন কেমন আগ্রাসী!
একজন রিকশাচালক ভাই অন্যজনকে শত্রুই মনে করেন। মালিক তার শ্রমিককে ভিন্ন চোখে দেখেন। বিশ্বাস উঠে গেছে। উঠে গেছে ক্ষমার নিয়ম। তাই আমাদের ফিরে আসতে হবে ক্ষমার আদর্শে। তাহলে সমাজও শান্তিতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে।
mkadir1983@gmail.com
No comments