খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে আরেক দফাঃ ঢিলেঢালা মনিটরিংয়ে কাজ হচ্ছে না
আরেক দফা বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম। অথচ দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বরাবরের মতো এর কারণ হিসেবে পাইকার ও খুচরা বিক্রেতারা পরস্পরকে দায়ী করছেন। কিন্তু উভয় পক্ষই স্বীকার করছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ পর্যাপ্ত আছে।
এ অবস্থায় ব্যবসায়ীদের অনেকে মনে করছেন, বিক্রেতারা দাম বাড়াচ্ছেন সরকারের যথাযথ মনিটরিংয়ের অভাবে। সরকারের পূর্বঘোষিত কোনো উদ্যোগই টেনে ধরতে পারছে না দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার লাগাম। আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ায় স্বভাবতই সাধারণ ক্রেতার মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
জানা গেছে, রাজধানীর বাজারে গত ১৮ ডিসেম্বর আবার বেড়েছে চাল, ডাল, ভোজ্যতেলসহ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। সরু ও মোটা চাল কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা। অর্থাত্ প্রকারভেদে চালের সর্বনিম্ন দাম ২৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা (মিনিকেট)। এদিকে রাজশাহীর বিভিন্ন বাজারেও চালের দাম অযৌক্তিকভাবে বেড়েছে। রোপা আমন ধানের দাম বেশি—এমন ফালতু অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। টিসিবির তথ্যমতে, গত এক মাসে চালের দাম বেড়েছে ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে রাজশাহীর বাজারে বিভিন্ন চাল বস্তাপ্রতি ২০০-৩২০ টাকা বেড়েছে। অথচ প্রতিবছর আমন ধান বাজারে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই চালের দাম কমে। কিন্তু এবার তার উল্টো। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, একশ্রেণীর চাল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে। এখন পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে সরকারি পর্যায়ে কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।
ঢাকার বাজারে সবচেয়ে আক্রা হয়েছে মসুর ডালের বাজার। আক্ষরিক অর্থেই সাধারণ মানুষের পক্ষে আর ‘ডাল-ভাত’ খাওয়ার উপায় নেই। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, মসুর ডাল এখন রীতিমত ভোজনরসিক সচ্ছল লোকের বিলাসী আইটেম। বহুদিন আগেই অবশ্য মসুর ডাল সাধারণ মধ্যবিত্তের কেনার ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ঈদুল আজহার আগে প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ছিল ১১০ টাকা। তাতে ২৫ টাকা যোগ হয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। শীত মৌসুমে সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও দাম বেড়েছে পটল, শসার। আবার বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। তেলের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী।
অযৌক্তিকভাবে বাজারের এই ঊর্ধ্বগতি দেখে মনে হচ্ছে, সত্যিকার অর্থেই সরকার ঘোষিত বাজার মনিটরিংয়ে আদতে কিছুই হচ্ছে না। এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী মাঝেমধ্যেই বাজার নিয়ন্ত্রণে যে বজ্র আঁটুনির কথা বলেছিলেন, তাও আরেক দফা ফসকা গেরোতে পরিণত হতে চলেছে। গত ১১ আগস্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি মনিটরিংয়ের পাশাপাশি এও বলেছিলেন যে, এ সরকার গণতান্ত্রিক সরকার। আমরা মিলিটারি সরকার নই যে, ব্যবসায়ীদের ডেকে এনে বেঁধে বাজার নিয়ন্ত্রণ করব। কিন্তু বেঁধে আনা এবং সিন্ডিকেট দমন করে বাজার স্থিতিশীল রাখা এক কথা নয়। মনিটরিং যথাযথ না হলে ব্যবসায়ীরা সে সুযোগ নেবেন না—এমন কোনো নজির এদেশে ছিল না, নেই। কাজেই সাধারণ ব্যবসায়ী, পাইকার ও মধ্যস্বত্বভোগীদের ঘাড়ে দোষ না চাপিয়ে সরকারকে কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। কেন বাজারে পণ্যমূল্য বাড়ছে, কারা বাড়াচ্ছে ইত্যাদি তথ্য-উপাত্ত নিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু কথায় অসাধুচক্র তত্পরতা বন্ধ করবে না। তাছাড়া একথা তো তর্কাতীত সত্য যে, বাজারের লাগাম টেনে ধরা সরকারের কাজ। কোনো বিশেষ সিন্ডিকেট, পাইকার বা খুচরা ব্যবসায়ীর কাজ নয়।
জানা গেছে, রাজধানীর বাজারে গত ১৮ ডিসেম্বর আবার বেড়েছে চাল, ডাল, ভোজ্যতেলসহ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। সরু ও মোটা চাল কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা। অর্থাত্ প্রকারভেদে চালের সর্বনিম্ন দাম ২৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪৫ টাকা (মিনিকেট)। এদিকে রাজশাহীর বিভিন্ন বাজারেও চালের দাম অযৌক্তিকভাবে বেড়েছে। রোপা আমন ধানের দাম বেশি—এমন ফালতু অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। টিসিবির তথ্যমতে, গত এক মাসে চালের দাম বেড়েছে ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে রাজশাহীর বাজারে বিভিন্ন চাল বস্তাপ্রতি ২০০-৩২০ টাকা বেড়েছে। অথচ প্রতিবছর আমন ধান বাজারে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই চালের দাম কমে। কিন্তু এবার তার উল্টো। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, একশ্রেণীর চাল ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে। এখন পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে সরকারি পর্যায়ে কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।
ঢাকার বাজারে সবচেয়ে আক্রা হয়েছে মসুর ডালের বাজার। আক্ষরিক অর্থেই সাধারণ মানুষের পক্ষে আর ‘ডাল-ভাত’ খাওয়ার উপায় নেই। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, মসুর ডাল এখন রীতিমত ভোজনরসিক সচ্ছল লোকের বিলাসী আইটেম। বহুদিন আগেই অবশ্য মসুর ডাল সাধারণ মধ্যবিত্তের কেনার ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ঈদুল আজহার আগে প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ছিল ১১০ টাকা। তাতে ২৫ টাকা যোগ হয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। শীত মৌসুমে সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও দাম বেড়েছে পটল, শসার। আবার বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। তেলের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী।
অযৌক্তিকভাবে বাজারের এই ঊর্ধ্বগতি দেখে মনে হচ্ছে, সত্যিকার অর্থেই সরকার ঘোষিত বাজার মনিটরিংয়ে আদতে কিছুই হচ্ছে না। এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী মাঝেমধ্যেই বাজার নিয়ন্ত্রণে যে বজ্র আঁটুনির কথা বলেছিলেন, তাও আরেক দফা ফসকা গেরোতে পরিণত হতে চলেছে। গত ১১ আগস্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি মনিটরিংয়ের পাশাপাশি এও বলেছিলেন যে, এ সরকার গণতান্ত্রিক সরকার। আমরা মিলিটারি সরকার নই যে, ব্যবসায়ীদের ডেকে এনে বেঁধে বাজার নিয়ন্ত্রণ করব। কিন্তু বেঁধে আনা এবং সিন্ডিকেট দমন করে বাজার স্থিতিশীল রাখা এক কথা নয়। মনিটরিং যথাযথ না হলে ব্যবসায়ীরা সে সুযোগ নেবেন না—এমন কোনো নজির এদেশে ছিল না, নেই। কাজেই সাধারণ ব্যবসায়ী, পাইকার ও মধ্যস্বত্বভোগীদের ঘাড়ে দোষ না চাপিয়ে সরকারকে কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। কেন বাজারে পণ্যমূল্য বাড়ছে, কারা বাড়াচ্ছে ইত্যাদি তথ্য-উপাত্ত নিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু কথায় অসাধুচক্র তত্পরতা বন্ধ করবে না। তাছাড়া একথা তো তর্কাতীত সত্য যে, বাজারের লাগাম টেনে ধরা সরকারের কাজ। কোনো বিশেষ সিন্ডিকেট, পাইকার বা খুচরা ব্যবসায়ীর কাজ নয়।
No comments