দ্রুত খননের দাবি এলাকাবাসীর-মুন্সিগঞ্জে চার খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অব্যাহত
মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম পৌরসভার চারটি খাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকাজ গতকাল বৃহস্পতিবারও অব্যাহত ছিল। তবে গতকাল জেলা প্রশাসন না করলেও স্থানীয় পৌর মেয়রের উদ্যোগে উচ্ছেদকাজ চলে। মেয়র শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়র হিসেবে পৌরসভা ঠিক রাখতে এখন আমাকেই উদ্যোগ নিতে হবে।
তাই আমার লোকজন দিয়েই উচ্ছেদকাজ চালিয়েছি।’ গত মঙ্গলবার নয়নের খাল, গোপপাড়া খাল, রিকাবীবাজার খাল ও ফেচন্নীর খালের ওপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। প্রথম দুই দিনে ৮৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
গতকাল প্রশাসনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদকাজ না চালানো প্রসঙ্গে রিকাবীবাজার ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা দানেসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাইকোর্টের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিতে আমরা ব্যস্ত ছিলাম। তাই উচ্ছেদকাজ বন্ধ রাখা হয়।’
খালগুলো থেকে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে ভূমি অফিসের জরিপ নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগের বিষয়ে কর্মকর্তা দানেসুর রহমান বলেন, চিহ্নিতকরণ কাজ সার্ভেয়াররা করেছেন। এ নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে চারটি খালেরই জরিপকাজ প্রয়োজনে আবারও করা হবে।
এলাকাবাসীর দাবি, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শেষে দ্রুত খনন করে খালগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। নইলে এ উদ্যোগ বিফলে যাবে। কেননা, স্থাপনাগুলো আংশিক উচ্ছেদ করে ফেলে রাখা হয়েছে। এনায়েতনগর এলাকার মিরাজ হোসেন বলেন, ‘যেসব ভূমিদস্যু খাল ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে, তাদের দিয়েই এখন খননকাজ করানো উচিত। এ ছাড়া ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা উচিত।’
মিরকাদিম খাল রক্ষা কমিটির সদস্যসচিব মাহফুজ আহমেদ বলেন, ‘খালের জরিপকাজ সঠিক হয়নি। যে পরিমাণ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে, এ সংখ্যা আরও বেশি হবে। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে লাল পতাকা ঠিকভাবে দেওয়াও হয়নি। তাই আমরা সঠিকভাবে খালগুলোর সীমানা নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছি।’
১৯ জানুয়ারি প্রথম আলোর শেষ পাতায় ‘নয়নের খাল আর নয়ন জুড়ায় না’ শিরোনামে মুন্সিগঞ্জের চারটি খাল নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সংবাদটি নজরে এলে ওই দিন রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে ছয়জন দখলবাজকে ২৬ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া দুই সপ্তাহের মধ্যে মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এ ছাড়া প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিরকাদিম খাল রক্ষা কমিটি চারটি খাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও পুনর্খননের দাবিতে পাঁচ দিনের কর্মসূচি পালন করে।
গতকাল প্রশাসনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদকাজ না চালানো প্রসঙ্গে রিকাবীবাজার ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা দানেসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাইকোর্টের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিতে আমরা ব্যস্ত ছিলাম। তাই উচ্ছেদকাজ বন্ধ রাখা হয়।’
খালগুলো থেকে অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে ভূমি অফিসের জরিপ নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগের বিষয়ে কর্মকর্তা দানেসুর রহমান বলেন, চিহ্নিতকরণ কাজ সার্ভেয়াররা করেছেন। এ নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে চারটি খালেরই জরিপকাজ প্রয়োজনে আবারও করা হবে।
এলাকাবাসীর দাবি, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শেষে দ্রুত খনন করে খালগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। নইলে এ উদ্যোগ বিফলে যাবে। কেননা, স্থাপনাগুলো আংশিক উচ্ছেদ করে ফেলে রাখা হয়েছে। এনায়েতনগর এলাকার মিরাজ হোসেন বলেন, ‘যেসব ভূমিদস্যু খাল ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে, তাদের দিয়েই এখন খননকাজ করানো উচিত। এ ছাড়া ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা উচিত।’
মিরকাদিম খাল রক্ষা কমিটির সদস্যসচিব মাহফুজ আহমেদ বলেন, ‘খালের জরিপকাজ সঠিক হয়নি। যে পরিমাণ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে, এ সংখ্যা আরও বেশি হবে। যেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে লাল পতাকা ঠিকভাবে দেওয়াও হয়নি। তাই আমরা সঠিকভাবে খালগুলোর সীমানা নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছি।’
১৯ জানুয়ারি প্রথম আলোর শেষ পাতায় ‘নয়নের খাল আর নয়ন জুড়ায় না’ শিরোনামে মুন্সিগঞ্জের চারটি খাল নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সংবাদটি নজরে এলে ওই দিন রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে ছয়জন দখলবাজকে ২৬ জানুয়ারি আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া দুই সপ্তাহের মধ্যে মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এ ছাড়া প্রতিবেদন প্রকাশের পর মিরকাদিম খাল রক্ষা কমিটি চারটি খাল থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও পুনর্খননের দাবিতে পাঁচ দিনের কর্মসূচি পালন করে।
No comments