বুড়িগঙ্গা বেড়িবাঁধ-প্রদীপের নিচেই অন্ধকার

সোয়ারীঘাট থেকে শুরু করে বুড়িগঙ্গা নদীর পাড় ঘেঁষে চলে যাওয়া রাস্তাটির বেহাল দশা ও আবর্জনার স্তূপ দেখে 'প্রদীপের নিচে অন্ধকার' প্রবচনটির মাহাত্ম্য বোঝা যায়। এই রাস্তা ধরেই নিত্যঝুঁকি নিয়ে মালবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসসহ সবধরনের যানবাহন চলাচল করে।


বুধবার সমকালের রাজধানী পাতায় প্রকাশিত এ সম্পর্কিত সচিত্র প্রতিবেদনে রাস্তার প্রায় সর্বত্র খানাখন্দ ছাড়াও যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ থাকার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ করেও রাস্তাটি সংস্কারের কোনো কিনারা করতে পারেননি। এর ফলে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মানুষকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকায় বসবাসকারী মানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও ময়লা-দুর্গন্ধের নারকীয় যন্ত্রণা সইতে হচ্ছে। অথচ কর্তৃপক্ষ একটু নজর দিলেই নদী ঘেঁষে চলে যাওয়া রাস্তাটি ফুরফুরে মেজাজে পার হওয়া যেত। সড়কটির ওপর ইটের সলিং ও এখানে-সেখানে সৃষ্ট হওয়া গর্ত দেখেই বোঝা যায় অনেকদিন থেকেই এটি কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি বঞ্চিত। যত্রতত্র জমে থাকা ময়লা-আবর্জনার স্তূপ নগর কর্তৃপক্ষের মহানগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার অঙ্গীকার যে অসার তাই প্রমাণ করে। বস্তুত সড়ক করলেই হয় না, এটিকে চলনসই রাখার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থাপনারও প্রয়োজন পড়ে। কোনো দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষই সড়ক ও পরিবেশের ব্যাপারে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব এভাবে অবহেলা করতে পারে না। সোয়ারীঘাট থেকে শুরু হয়ে বুড়িগঙ্গা বেড়িবাঁধ ঘেঁষে চলে যাওয়া কয়েক কিলোমিটার বিস্তৃত রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থসংস্থান একেবারে অসাধ্য হওয়ার কথা নয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ তৎপর হলে রাস্তাটি ঝকঝকে-তকতকে না হোক অন্তত নতুন শ্রী পেতে পারে। ঢাকা সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ময়লা-আবর্জনার স্তূপ সরানোর কাজটি সম্পন্ন করে রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী ও রাস্তা সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের দুর্গন্ধজাত যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে পারে। আর এটা নগর কর্তৃপক্ষের কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে।

No comments

Powered by Blogger.