পাট ও চা : দুটি খাতেই ব্যাপক সহায়তা দরকার by ড. মুহাম্মদ আশকার ইবনে শাইখ
একসময়ের সোনালি আঁশ বলে খ্যাত পাটের দুর্দিন কিভাবে এবং কেন ঘনীভূত হলো, সে অনেক কথা। কিন্তু সম্প্রতি আশার কথা হলো, দেশে পাটের হারানো গৌরব ফিরে আসছে। বিশ্ববাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। আমাদের জাতীয় অর্থনীতির জন্য এ এক সুসংবাদ বটে।
কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অন্যতম আরেকটি পণ্য চায়ের সোনালি দিনগুলো ক্রমেই ফিকে হয়ে আসছে। আমাদের জাতীয় অর্থনীতির ইতিহাসে দেখা যায় পাট, চা ও চামড়ার অবদান ছিল অনেকখানি, যা এখন আর অব্যাহত নেই। কিন্তু পাট ও পাটজাত পণ্য নিয়ে আবার শুরু হয়েছে স্বপ্ন দেখার পালা; যদিও পাটের বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আমাদের উদ্যোগ-আয়োজন যথেষ্ট নয়। দাতা সংস্থাগুলোর চাপে আন্তর্জাতিক বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্য নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করার পথটা সংকুচিত হয়ে আছে।
পাটের বাজারে একেবারে অপ্রত্যাশিত মন্দা নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। কেউ কেউ পাটের মানকে দায়ী করছেন, আবার কেউ কেউ বলছেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিকল্পিত উদ্যোগ ও দূরদর্শিতার অভাব রয়েছে। কোনটা সত্য_এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হতেই পারে; কিন্তু সর্বাগ্রে জরুরি এর সমাধান সূত্র বের করা। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের মানসম্পন্ন পাটের চাহিদা বরাবরই বেশি। আমরা এও জানি, সব ধরনের বিতর্ক সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত গুণগত দিক দিয়ে বাংলাদেশের পাট অন্য যেকোনো দেশের পাটের তুলনায় উৎকৃষ্ট। এখন হঠাৎ করে পাটের মান নেমে যাওয়ার কারণ কী? বেশি লাভের আশায় বিভিন্ন পথে পাটের উৎপাদন বাড়ানোই কি এ জন্য দায়ী? এ কথা সত্য, অধিক লাভের আশায় বিকল্প পথে উৎপাদন বাড়ানোর প্রচেষ্টার কুফল বহুবিধ। পাটের ক্ষেত্রেও হয়েছে তা-ই। অপরিকল্পিত উৎপাদনব্যবস্থার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এ খাতে। বাংলাদেশে ক্রমেই মানুষ বাড়ছে, কৃষিজমি কমছে। এ জন্য পরিকল্পিত উপায়ে কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নজর দিতে হবে জরুরি ভিত্তিতে। পাটের বাজারে বর্তমানে যে মন্দা বিরাজ করছে, তা হয়তো সাময়িক। কোনো মন্দাই দীর্ঘস্থায়ী নয়। মন্দা বিশেষ বিশেষ কারণে কখনো কখনো দেখা দেয় বটে; কিন্তু তা আবার কেটেও যায়। বাজার চাঙ্গা করারও কিছু সূত্র আছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। পাটচাষিরা যাতে আগ্রহ না হারান এবং পরিকল্পিত উপায়ে যাতে তাঁরা চাষাবাদ চালিয়ে যেতে পারেন সে লক্ষ্যে সহযোগিতাদানও জরুরি। তাঁদের আর্থিক সহায়তাসহ নানা ধরনের সাহায্য প্রদান জাতীয় স্বার্থেই দরকার। সরকারি পাটকলগুলোয় অর্থের জোগান দেওয়া দরকার, যাতে কৃষকরা সহজে উৎপাদিত পাট বিক্রি করতে পারেন এবং ন্যায্য মূল্য পান। কৃষক হতাশ হলে সব সম্ভাবনাই মরে যাবে। পাশাপাশি দাতা সংস্থাগুলোর মারপ্যাঁচ থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তা বের করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। পাটের মান বজায় রাখতে হবে। পাটজাত পণ্যের উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনতে হবে।
নানা কারণে চা শিল্পও গৌরব হারাতে বসেছে। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন নতুন শিল্প বিকশিত হচ্ছে, সেখানে আমরা দুর্নীতি, অদূরদর্শিতা আর পরিকল্পনার অভাবে একসময়ের চাঙ্গা শিল্পগুলোকে পঙ্গুত্ববরণের পথে ঠেলে দিচ্ছি। কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশের চা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হতো। অর্জিত হতো বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। আগেই বলেছি, এখন আর সেই দিন নেই। এখন স্থানীয় চাহিদা পূরণে চা আমদানি করতে হচ্ছে! রপ্তানি ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে চা রপ্তানি করে আয় হয় প্রায় এক কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার আর ২০০৯-১০ অর্থবছরে তা নেমে যায় মাত্র কয়েক লাখ ডলারে। চা শিল্পের এই বিবর্ণ চিত্রের জন্য দায়ী আমাদের উদাসীনতা ও পরিকল্পনার অভাব। চাহিদা বাড়ছে, কিন্তু বাড়ছে না উৎপাদন। গুণগত মানও বজায় রাখা যাচ্ছে না। সিলেট, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চল ছাড়াও এখন পঞ্চগড় জেলার কয়েকটি স্থানে চা উৎপাদিত হচ্ছে। এক সমীক্ষায় জানা গেল, বর্তমানে দেশে ১৬২টি চা বাগান রয়েছে, যার মধ্যে ৩০টি রুগ্ণ এবং ৫০টিরও বেশির বয়স ষাটোর্ধ্ব। সম্প্রতি সমতলভূমিতে চা উৎপাদন শুরু হলেও তা ব্যাপক প্রসারতা লাভ করেনি। জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণও এ ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তা ছাড়া ছায়াবৃক্ষের অভাব, মাটির উর্বরতাশক্তি হ্রাস, লাখ লাখ চা-গাছের বয়স বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণেও উৎপাদন বাড়ছে না। এর মধ্যে অনেক বাগানে রয়েছে শ্রমিক অসন্তোষ। চা শ্রমিকদের বঞ্চনার ইতিহাস অনেক পুরনো। যাঁদের শ্রমে-ঘামে দেশ সমৃদ্ধ হয়, তাঁরা যদি বঞ্চনার শিকার হন, তাহলে এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কী হতে পারে।
মহাজোট ক্ষমতা গ্রহণের পর পাট খাতে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। আশানুরূপ তেমন কোনো কিছু এখন পর্যন্ত না ঘটলেও এ ব্যাপারে প্রচেষ্টা জোরদার হচ্ছে_আশার কথা সেটিই। পাটের বহুমুখী ব্যবহার বাড়ানোর প্রচেষ্টাও আছে। ইতিমধ্যে অনেক বন্ধ পাটকল চালু করা হয়েছে। পাটকল এলাকাগুলো আবার মুখরিত হয়ে উঠছে। এখন দরকার পরিকল্পিত উপায়ে এগিয়ে যাওয়া। চা শিল্পকে নিয়েও এমন ভাবনা জরুরি। চা শিল্পের বিকাশে ও আন্তর্জাতিক বাজার পুনরুদ্ধারে জোরদার পদক্ষেপ নিতে হবে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে রপ্তানির খাত প্রশস্ত করার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার। জানা গেছে, সরকার চা শিল্পের উন্নয়নে 'ভিশন-২০১১' নামে ১২ বছর মেয়াদি একটি কৌশলগত উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। কিন্তু পরিকল্পনা গ্রহণই যথেষ্ট নয়, দরকার এর যথাযথ বাস্তবায়ন। চা শিল্প বেসরকারি বিনিয়োগনির্ভর। নতুন নতুন উদ্যোক্তা যাতে এ খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসেন, সে রাস্তাও করে দিতে হবে। অন্য রপ্তানি খাতকে যেভাবে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, চা খাতকেও একইভাবে তা দিতে হবে জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থেই। ব্যাংকঋণের পথ সুগম করতে হবে, ঢেলে সাজাতে হবে চা বোর্ডকে। পাট ও চা শিল্পের সমস্যাগুলো যেহেতু অচিহ্নিত নয়, সেহেতু এর প্রতিকারও কঠিন কিছু নয়।
লেখক : লন্ডনপ্রবাসী গবেষক
পাটের বাজারে একেবারে অপ্রত্যাশিত মন্দা নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলছেন। কেউ কেউ পাটের মানকে দায়ী করছেন, আবার কেউ কেউ বলছেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিকল্পিত উদ্যোগ ও দূরদর্শিতার অভাব রয়েছে। কোনটা সত্য_এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হতেই পারে; কিন্তু সর্বাগ্রে জরুরি এর সমাধান সূত্র বের করা। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের মানসম্পন্ন পাটের চাহিদা বরাবরই বেশি। আমরা এও জানি, সব ধরনের বিতর্ক সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত গুণগত দিক দিয়ে বাংলাদেশের পাট অন্য যেকোনো দেশের পাটের তুলনায় উৎকৃষ্ট। এখন হঠাৎ করে পাটের মান নেমে যাওয়ার কারণ কী? বেশি লাভের আশায় বিভিন্ন পথে পাটের উৎপাদন বাড়ানোই কি এ জন্য দায়ী? এ কথা সত্য, অধিক লাভের আশায় বিকল্প পথে উৎপাদন বাড়ানোর প্রচেষ্টার কুফল বহুবিধ। পাটের ক্ষেত্রেও হয়েছে তা-ই। অপরিকল্পিত উৎপাদনব্যবস্থার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এ খাতে। বাংলাদেশে ক্রমেই মানুষ বাড়ছে, কৃষিজমি কমছে। এ জন্য পরিকল্পিত উপায়ে কৃষিজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নজর দিতে হবে জরুরি ভিত্তিতে। পাটের বাজারে বর্তমানে যে মন্দা বিরাজ করছে, তা হয়তো সাময়িক। কোনো মন্দাই দীর্ঘস্থায়ী নয়। মন্দা বিশেষ বিশেষ কারণে কখনো কখনো দেখা দেয় বটে; কিন্তু তা আবার কেটেও যায়। বাজার চাঙ্গা করারও কিছু সূত্র আছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। পাটচাষিরা যাতে আগ্রহ না হারান এবং পরিকল্পিত উপায়ে যাতে তাঁরা চাষাবাদ চালিয়ে যেতে পারেন সে লক্ষ্যে সহযোগিতাদানও জরুরি। তাঁদের আর্থিক সহায়তাসহ নানা ধরনের সাহায্য প্রদান জাতীয় স্বার্থেই দরকার। সরকারি পাটকলগুলোয় অর্থের জোগান দেওয়া দরকার, যাতে কৃষকরা সহজে উৎপাদিত পাট বিক্রি করতে পারেন এবং ন্যায্য মূল্য পান। কৃষক হতাশ হলে সব সম্ভাবনাই মরে যাবে। পাশাপাশি দাতা সংস্থাগুলোর মারপ্যাঁচ থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তা বের করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। পাটের মান বজায় রাখতে হবে। পাটজাত পণ্যের উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনতে হবে।
নানা কারণে চা শিল্পও গৌরব হারাতে বসেছে। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন নতুন শিল্প বিকশিত হচ্ছে, সেখানে আমরা দুর্নীতি, অদূরদর্শিতা আর পরিকল্পনার অভাবে একসময়ের চাঙ্গা শিল্পগুলোকে পঙ্গুত্ববরণের পথে ঠেলে দিচ্ছি। কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশের চা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হতো। অর্জিত হতো বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা। আগেই বলেছি, এখন আর সেই দিন নেই। এখন স্থানীয় চাহিদা পূরণে চা আমদানি করতে হচ্ছে! রপ্তানি ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে চা রপ্তানি করে আয় হয় প্রায় এক কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার আর ২০০৯-১০ অর্থবছরে তা নেমে যায় মাত্র কয়েক লাখ ডলারে। চা শিল্পের এই বিবর্ণ চিত্রের জন্য দায়ী আমাদের উদাসীনতা ও পরিকল্পনার অভাব। চাহিদা বাড়ছে, কিন্তু বাড়ছে না উৎপাদন। গুণগত মানও বজায় রাখা যাচ্ছে না। সিলেট, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চল ছাড়াও এখন পঞ্চগড় জেলার কয়েকটি স্থানে চা উৎপাদিত হচ্ছে। এক সমীক্ষায় জানা গেল, বর্তমানে দেশে ১৬২টি চা বাগান রয়েছে, যার মধ্যে ৩০টি রুগ্ণ এবং ৫০টিরও বেশির বয়স ষাটোর্ধ্ব। সম্প্রতি সমতলভূমিতে চা উৎপাদন শুরু হলেও তা ব্যাপক প্রসারতা লাভ করেনি। জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণও এ ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তা ছাড়া ছায়াবৃক্ষের অভাব, মাটির উর্বরতাশক্তি হ্রাস, লাখ লাখ চা-গাছের বয়স বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণেও উৎপাদন বাড়ছে না। এর মধ্যে অনেক বাগানে রয়েছে শ্রমিক অসন্তোষ। চা শ্রমিকদের বঞ্চনার ইতিহাস অনেক পুরনো। যাঁদের শ্রমে-ঘামে দেশ সমৃদ্ধ হয়, তাঁরা যদি বঞ্চনার শিকার হন, তাহলে এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কী হতে পারে।
মহাজোট ক্ষমতা গ্রহণের পর পাট খাতে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। আশানুরূপ তেমন কোনো কিছু এখন পর্যন্ত না ঘটলেও এ ব্যাপারে প্রচেষ্টা জোরদার হচ্ছে_আশার কথা সেটিই। পাটের বহুমুখী ব্যবহার বাড়ানোর প্রচেষ্টাও আছে। ইতিমধ্যে অনেক বন্ধ পাটকল চালু করা হয়েছে। পাটকল এলাকাগুলো আবার মুখরিত হয়ে উঠছে। এখন দরকার পরিকল্পিত উপায়ে এগিয়ে যাওয়া। চা শিল্পকে নিয়েও এমন ভাবনা জরুরি। চা শিল্পের বিকাশে ও আন্তর্জাতিক বাজার পুনরুদ্ধারে জোরদার পদক্ষেপ নিতে হবে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে রপ্তানির খাত প্রশস্ত করার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার। জানা গেছে, সরকার চা শিল্পের উন্নয়নে 'ভিশন-২০১১' নামে ১২ বছর মেয়াদি একটি কৌশলগত উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। কিন্তু পরিকল্পনা গ্রহণই যথেষ্ট নয়, দরকার এর যথাযথ বাস্তবায়ন। চা শিল্প বেসরকারি বিনিয়োগনির্ভর। নতুন নতুন উদ্যোক্তা যাতে এ খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসেন, সে রাস্তাও করে দিতে হবে। অন্য রপ্তানি খাতকে যেভাবে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, চা খাতকেও একইভাবে তা দিতে হবে জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থেই। ব্যাংকঋণের পথ সুগম করতে হবে, ঢেলে সাজাতে হবে চা বোর্ডকে। পাট ও চা শিল্পের সমস্যাগুলো যেহেতু অচিহ্নিত নয়, সেহেতু এর প্রতিকারও কঠিন কিছু নয়।
লেখক : লন্ডনপ্রবাসী গবেষক
No comments