বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সরকার প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে: বিএনপি
সেনা অভ্যুত্থান সফল না হওয়ায় আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানিয়েছে বিএনপি। তবে একই সঙ্গে বলা হয়েছে, তদন্তাধীন বিষয়ে সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ ভাষায় অসম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করে ঘটনার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। দলটি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে তা প্রকাশের দাবি জানিয়েছে।
গতকাল রোববার বিকেলে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন। তিনি বলেন, জাতীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল করতে বিডিআর হত্যাকাণ্ড ও সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা একই সূত্রে গাঁথা।
লিখিত বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, সরকার ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের হীন উদ্দেশ্যে একটি স্পর্শকাতর ঘটনাকে ব্যবহার করতে চাইছে। সশস্ত্র বাহিনীকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াসের অংশ হিসেবে তারা ঘটনার বিবরণের সঙ্গে বিরোধী দলের দিকে ইঙ্গিত করার নির্দেশনা দিয়েছে। সেনাসদরের সংবাদ সম্মেলনে এমন কিছু মন্তব্য চলে এসেছে, যেগুলো রাজনৈতিক রঙে রঞ্জিত। কিছু কটাক্ষমূলক মন্তব্য ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক প্রচারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকার মহাসংকটে পড়েছে। তাই গত ডিসেম্বরে সংঘটিত একটি পুরোনো কাহিনির অসম্পূর্ণ প্রচার করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য, জনগণের দৃষ্টিকে অন্য খাতে প্রবাহিত করা। তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যবহার করা এবং তাদের দলীয় স্বার্থ উদ্ধারের হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহারের বিপজ্জনক খেলা থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ-ও বলেন, ‘একটি ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় বিএনপি গভীরভাবে উৎকণ্ঠিত। অভ্যুত্থান সফল না হওয়ায় আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাই। তাঁর অপার অনুগ্রহে রক্তপাত ও সংঘাতের কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং অসামরিক শাসন ও সাংবিধানিক ধারা বজায় রয়েছে।’ তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীতে কোনো বিভেদ-বিভাজন, হঠকারিতা-বিশৃঙ্খলা বিএনপি দেখতে চায় না। সেনা ছাউনিগুলোতে অবিশ্বাস, হানাহানি, দ্বন্দ্ব, সংঘাত চায় না। তিনি সেনাবাহিনীকে সতর্ক করে বলেন, যেকোনো উসকানির মুখে হঠকারিতা পরিহার করুন। ভেতরে শত্রুর গুপ্তচরেরা ঢুকে যেন কোনো ধরনের নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
অভ্যুত্থান-চেষ্টা সফল না হওয়ায় আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায়, আবার এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা স্ববিরোধিতা কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির বক্তব্যে পরস্পরবিরোধী কিছু নেই। বিএনপি সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ঘটনাটি প্রকাশের পর থেকে খোদ প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরাসহ শাসক দলের বিভিন্ন ব্যক্তি এবং ভারতীয় প্রচারমাধ্যম যেভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে অসত্য, বিভ্রান্তিকর, দায়িত্বজ্ঞানহীন, উসকানিমূলক, আক্রমণাত্মক একতরফা মন্তব্য করে চলেছেন, তার জবাব দেওয়া বিএনপির প্রয়োজন।
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অভিযোগ করেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা, গুম, খুন, হত্যা-অপহরণ যখন নিত্যকার ঘটনা, তখন এসব সংকট নিরসনে ব্যর্থ সরকার দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।
বিএনপির এই নেতার অভিযোগ, বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য শাসক দলের চিন্তারই প্রতিফলন। ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তাকে লগ এরিয়ায় সংযুক্ত করার খবর এসেছে। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে শুধু মধ্যম সারির কয়েকজন কর্মকর্তা ব্যর্থ অভ্যুত্থান-চেষ্টায় জড়িত বলে জানানো হয়েছে। প্রচারিত তথ্যে তদন্ত আদালত কাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে, জানানো হয়নি। কিছু যোগাযোগের তথ্য ছাড়া অভ্যুত্থান-চেষ্টার বিশদ কোনো বিবরণও দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, একটি গুরুতর ও স্পর্শকাতর বিষয় উপস্থাপনের সময় রাজনৈতিক ধাঁচের বক্তব্য দিয়ে যাতে বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা ও প্রাতিষ্ঠানিক নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
ভারতের গণমাধ্যমে এ ঘটনার সঙ্গে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জড়িত থাকার সংবাদ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেনা অভ্যুত্থান-চেষ্টার ঘটনা নিয়ে ভারতীয় প্রচারমাধ্যম বিভিন্ন মতলবি প্রোপাগান্ডা শুরু করেছে। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা অসত্য, মিথ্যা ও বনোয়াট কাহিনি ছেপেছে।’
লিখিত বক্তব্যে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, সরকার ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের হীন উদ্দেশ্যে একটি স্পর্শকাতর ঘটনাকে ব্যবহার করতে চাইছে। সশস্ত্র বাহিনীকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াসের অংশ হিসেবে তারা ঘটনার বিবরণের সঙ্গে বিরোধী দলের দিকে ইঙ্গিত করার নির্দেশনা দিয়েছে। সেনাসদরের সংবাদ সম্মেলনে এমন কিছু মন্তব্য চলে এসেছে, যেগুলো রাজনৈতিক রঙে রঞ্জিত। কিছু কটাক্ষমূলক মন্তব্য ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক প্রচারণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকার মহাসংকটে পড়েছে। তাই গত ডিসেম্বরে সংঘটিত একটি পুরোনো কাহিনির অসম্পূর্ণ প্রচার করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য, জনগণের দৃষ্টিকে অন্য খাতে প্রবাহিত করা। তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যবহার করা এবং তাদের দলীয় স্বার্থ উদ্ধারের হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহারের বিপজ্জনক খেলা থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ-ও বলেন, ‘একটি ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় বিএনপি গভীরভাবে উৎকণ্ঠিত। অভ্যুত্থান সফল না হওয়ায় আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাই। তাঁর অপার অনুগ্রহে রক্তপাত ও সংঘাতের কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং অসামরিক শাসন ও সাংবিধানিক ধারা বজায় রয়েছে।’ তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীতে কোনো বিভেদ-বিভাজন, হঠকারিতা-বিশৃঙ্খলা বিএনপি দেখতে চায় না। সেনা ছাউনিগুলোতে অবিশ্বাস, হানাহানি, দ্বন্দ্ব, সংঘাত চায় না। তিনি সেনাবাহিনীকে সতর্ক করে বলেন, যেকোনো উসকানির মুখে হঠকারিতা পরিহার করুন। ভেতরে শত্রুর গুপ্তচরেরা ঢুকে যেন কোনো ধরনের নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে, সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।
অভ্যুত্থান-চেষ্টা সফল না হওয়ায় আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায়, আবার এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা স্ববিরোধিতা কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির বক্তব্যে পরস্পরবিরোধী কিছু নেই। বিএনপি সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ঘটনাটি প্রকাশের পর থেকে খোদ প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরাসহ শাসক দলের বিভিন্ন ব্যক্তি এবং ভারতীয় প্রচারমাধ্যম যেভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে অসত্য, বিভ্রান্তিকর, দায়িত্বজ্ঞানহীন, উসকানিমূলক, আক্রমণাত্মক একতরফা মন্তব্য করে চলেছেন, তার জবাব দেওয়া বিএনপির প্রয়োজন।
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অভিযোগ করেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা, গুম, খুন, হত্যা-অপহরণ যখন নিত্যকার ঘটনা, তখন এসব সংকট নিরসনে ব্যর্থ সরকার দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে।
বিএনপির এই নেতার অভিযোগ, বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্য শাসক দলের চিন্তারই প্রতিফলন। ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তাকে লগ এরিয়ায় সংযুক্ত করার খবর এসেছে। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে শুধু মধ্যম সারির কয়েকজন কর্মকর্তা ব্যর্থ অভ্যুত্থান-চেষ্টায় জড়িত বলে জানানো হয়েছে। প্রচারিত তথ্যে তদন্ত আদালত কাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে, জানানো হয়নি। কিছু যোগাযোগের তথ্য ছাড়া অভ্যুত্থান-চেষ্টার বিশদ কোনো বিবরণও দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, একটি গুরুতর ও স্পর্শকাতর বিষয় উপস্থাপনের সময় রাজনৈতিক ধাঁচের বক্তব্য দিয়ে যাতে বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা ও প্রাতিষ্ঠানিক নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
ভারতের গণমাধ্যমে এ ঘটনার সঙ্গে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জড়িত থাকার সংবাদ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সেনা অভ্যুত্থান-চেষ্টার ঘটনা নিয়ে ভারতীয় প্রচারমাধ্যম বিভিন্ন মতলবি প্রোপাগান্ডা শুরু করেছে। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা অসত্য, মিথ্যা ও বনোয়াট কাহিনি ছেপেছে।’
No comments