বান্দরবানে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে নিহত ১৭
বান্দরবানের থানচিতে শনিবার এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ ১৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩১ জন। জেলা শহরগামী পাহাড়িকা পরিবহনের যাত্রীবাসটি শিলাঝিরি নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের খাদে চারশ' ফুট নিচে পড়ে গেলে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে কয়েক পর্যটকও রয়েছেন।
এদিকে দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে থানচি থানা পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীসহ দমকল বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত উদ্ধারকাজে নেমে পড়েন। দুর্গম পাহাড়ি পথে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন_ থানচি উপজেলা আওয়ামী লীগের
সভাপতি উহ্লাচিং মার্মা, তার মেয়ে কিকিনু মার্মা, কারিতাস সংস্থার কর্মী রিন্টু চাকমা, সেশান্ত ত্রিপুরা, কান্তি ত্রিপুরা, ফান্সিস ত্রিপুরা, থানচি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী চিংসাঅং মার্মা, পর্যটক তরিকুল ইসলাম, রেজাউল করিম, সুজন, মাইনুল, মাসাথুই মার্মা, অংহ্লাপ্রু মার্মা, জ্যাকব ত্রিপুরা, নুরুল ইসলাম ও অজ্ঞাতপরিচয় দু'জন।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জনের লাশ এবং আহত ৩১ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও চার জন মারা যান।
জেলা সদর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. উইলিয়াম জানান, গুরুতর আহত ১০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তারা হলেন_ পর্যটক সালেহীন, স্ব্বাস্থ্থ্যকর্মী মেসাং, গাড়ির চালক সুভাষ দাশ, গঙ্গাচন্দ্র ত্রিপুরা, রিরংমা মার্মা, চাকোয়াই ম্রো, অংসিংমে, অজ্ঞাত দুই মহিলা ও একজন পুরুষ।
এদিকে দুর্ঘটনার পর পরই পুলিশ ও দমকলবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজে নেমে পড়ে। প্রায় চারশ' ফুট পাহাড়ের খাদে পড়ে যাওয়ায় হতাহতদের উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীদের বেশ বেগ পেতে হয়। দুপুর ১টার দিকে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হয়।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান জানান, দুর্ঘটনার পর পরই থানচি পুলিশ ও বলিপাড়া বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত উদ্ধারকাজে নেমে পড়েন। তাদের সহযোগিতায় অনেকে প্রাণে বেঁচে গেছেন।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শী উম্যামং মার্মা জানান, শনিবার সকালে বাসটি শিলাঝিরি আসার পর এলোমেলোভাবে চলতে থাকে। এক পর্যায়ে পাহাড়ের খাদে পড়ে যায়। এ সময় গাড়ির ভেতরে ও ছাদে লোক ভর্তি ছিল।
থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালেহ আহম্মদ জানান, ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে দূর্গম উঁচুনিচু পাহাড়ি পথে বাস চলাচল অসম্ভব। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
তবে থানচি বাস কাউন্টারের ম্যানেজার মংসানু মার্মা জানান, তিনি থানচি থেকে বান্দরবানের উদ্দেশে ২০ জনের টিকিট বিক্রি করেছেন। অতিরিক্ত যাত্রী হওয়ার কথা নয়। বাসের হেলপার তাকে জানিয়েছে, ব্রেক ফেল হয়ে বাসটি পাহাড়ের খাদে পড়ে গেছে। চালক সুভাষ বাসটি চালাচ্ছিল।
সভাপতি উহ্লাচিং মার্মা, তার মেয়ে কিকিনু মার্মা, কারিতাস সংস্থার কর্মী রিন্টু চাকমা, সেশান্ত ত্রিপুরা, কান্তি ত্রিপুরা, ফান্সিস ত্রিপুরা, থানচি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী চিংসাঅং মার্মা, পর্যটক তরিকুল ইসলাম, রেজাউল করিম, সুজন, মাইনুল, মাসাথুই মার্মা, অংহ্লাপ্রু মার্মা, জ্যাকব ত্রিপুরা, নুরুল ইসলাম ও অজ্ঞাতপরিচয় দু'জন।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জনের লাশ এবং আহত ৩১ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও চার জন মারা যান।
জেলা সদর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. উইলিয়াম জানান, গুরুতর আহত ১০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তারা হলেন_ পর্যটক সালেহীন, স্ব্বাস্থ্থ্যকর্মী মেসাং, গাড়ির চালক সুভাষ দাশ, গঙ্গাচন্দ্র ত্রিপুরা, রিরংমা মার্মা, চাকোয়াই ম্রো, অংসিংমে, অজ্ঞাত দুই মহিলা ও একজন পুরুষ।
এদিকে দুর্ঘটনার পর পরই পুলিশ ও দমকলবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজে নেমে পড়ে। প্রায় চারশ' ফুট পাহাড়ের খাদে পড়ে যাওয়ায় হতাহতদের উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীদের বেশ বেগ পেতে হয়। দুপুর ১টার দিকে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হয়।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান জানান, দুর্ঘটনার পর পরই থানচি পুলিশ ও বলিপাড়া বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত উদ্ধারকাজে নেমে পড়েন। তাদের সহযোগিতায় অনেকে প্রাণে বেঁচে গেছেন।
দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শী উম্যামং মার্মা জানান, শনিবার সকালে বাসটি শিলাঝিরি আসার পর এলোমেলোভাবে চলতে থাকে। এক পর্যায়ে পাহাড়ের খাদে পড়ে যায়। এ সময় গাড়ির ভেতরে ও ছাদে লোক ভর্তি ছিল।
থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালেহ আহম্মদ জানান, ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে দূর্গম উঁচুনিচু পাহাড়ি পথে বাস চলাচল অসম্ভব। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
তবে থানচি বাস কাউন্টারের ম্যানেজার মংসানু মার্মা জানান, তিনি থানচি থেকে বান্দরবানের উদ্দেশে ২০ জনের টিকিট বিক্রি করেছেন। অতিরিক্ত যাত্রী হওয়ার কথা নয়। বাসের হেলপার তাকে জানিয়েছে, ব্রেক ফেল হয়ে বাসটি পাহাড়ের খাদে পড়ে গেছে। চালক সুভাষ বাসটি চালাচ্ছিল।
No comments