র ঙ বে র ঙ-উদ্ভট সব আইন!
মানুষ বড্ড বেয়াড়া। সুযোগ পেলেই হলো। অন্যায় কিছু করে বসবেই। মানুষের এ খেয়ালিপনার কথা সভ্যতার বিকাশলগ্নেই কিছু মানুষ উপলব্ধি করেছিল। নেতৃত্বস্থানীয় সে ব্যক্তিরা সুশৃঙ্খলভাবে জীবনযাপনের জন্য কিছু নিয়ম-নীতিও তৈরি করে। প্রাচীনকালের সেই নিয়ম-নীতিগুলো গোষ্ঠীভেদে ছিল একেক রকম। এখন রাষ্ট্রভেদে একেক দেশে একেক আইন। তবে আইন যা-ই হোক না কেন, তা দেশ স্থিতিশীল এবং নৈরাশ্যবাদীদের হাত থেকে নাগরিকদের রক্ষার জন্যই। কিন্তু পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশে এমন কিছু আইন আছে, যা নিতান্তই হাস্যকর।
আজ থেকে প্রায় একশ' বছর আগে গ্রেট ব্রিটেনে প্রচলিত ছিল দুই হাজারের ওপরে নানা ধরনের উদ্ভট আইন। সেসব আইনের বেড়াজালে পড়ে ঔপনিবেশিক অঞ্চলগুলোর সাধারণ মানুষের জীবন হয়ে উঠেছিল অতিষ্ঠ। ব্রিটেনে একসময় মৃত ব্যক্তিদের নিয়ে আইনসভা বসত। বিশ্বাস করা হতো, নানা জটিল সমস্যার সমাধান তারাও দিতে পারে! ভাবছেন, এটা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়। সত্যি তাই। এমন আইনসভা নিয়ে বিশ্ববাসী কম হাসেনি। ব্রিটেনের এক বিচারপতির সচিব জ্যাক স্ট্র অনেকটা যুদ্ধ করেই উদ্ভট কালা-কানুন রহিত করতে অনেকটা বাধ্য করেন সরকারকে।
জাপানিরা পরিবারের প্র্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। গুরুজনদের সম্মানের রীতি দেশটিতে হাজার বছরের পুরনো। এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মতোই পরিবারের সম্মতিতে বিয়েশাদি হয়। ছোট ভাইকে হাত করে প্রণয়ীরা বড় ভাইয়ের কাছে প্রেম নিবেদন করে। পরিবারের সবার সম্মতিতে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এমন রীতির কথা ইউরোপ কিংবা আমেরিকার অধিবাসীরা ভাবতেই পারেন না।
রাস্তায় গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে ফিলিপাইনে আছে মজার এক আইন। যেসব গাড়ির লাইসেন্সের নম্বর শেষ হয়েছে ১ ও ২ দিয়ে, সেগুলো সোমবার, ৩ ও ৪ মঙ্গলবার, ৫ ও ৬ বুধবার, ৭ ও ৮ বৃহস্পতিবার এবং ৯ ও ০ শুক্রবারে রাস্তায় চলতে পারবে না! কেন এমন আইন, এর কোনো ব্যাখ্যা নেই। তবে আইনটি এত সূক্ষ্ম ও অপ্রাসঙ্গিক যে, এর গভীরতা নির্ণয় করা অত্যন্ত কঠিন। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রচলিত আছে এক অদ্ভুত আইন। দেশটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গির্জার কমপক্ষে পনেরোশ' ফুটের ভেতরে কোনো প্রাণী মেলামেশা করতে পারবে না! সুইজারল্যান্ডের নারীরা এমন সব বিদঘুটে পোশাক পরিধান করে, যা দেখলেই হাসি পায়। এমন পোশাক আবার রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত! বাচ্চারা পড়াশোনার চেয়ে বিদ্যুৎচালিত যন্ত্র দিয়ে খেলার প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়ায় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে ইলেকট্রিক ওইসব সামগ্রী তৈরি ও আমদানি নিষিদ্ধ করে দেশটি। বিশাল আয়তনের দেশ চীনে ক্রমে লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে সরকার বাধ্য হয়েই একটির বেশি সন্তান নেওয়া নিষিদ্ধ করে!
হ আশরাফুল আলম মিলন
জাপানিরা পরিবারের প্র্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। গুরুজনদের সম্মানের রীতি দেশটিতে হাজার বছরের পুরনো। এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মতোই পরিবারের সম্মতিতে বিয়েশাদি হয়। ছোট ভাইকে হাত করে প্রণয়ীরা বড় ভাইয়ের কাছে প্রেম নিবেদন করে। পরিবারের সবার সম্মতিতে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এমন রীতির কথা ইউরোপ কিংবা আমেরিকার অধিবাসীরা ভাবতেই পারেন না।
রাস্তায় গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে ফিলিপাইনে আছে মজার এক আইন। যেসব গাড়ির লাইসেন্সের নম্বর শেষ হয়েছে ১ ও ২ দিয়ে, সেগুলো সোমবার, ৩ ও ৪ মঙ্গলবার, ৫ ও ৬ বুধবার, ৭ ও ৮ বৃহস্পতিবার এবং ৯ ও ০ শুক্রবারে রাস্তায় চলতে পারবে না! কেন এমন আইন, এর কোনো ব্যাখ্যা নেই। তবে আইনটি এত সূক্ষ্ম ও অপ্রাসঙ্গিক যে, এর গভীরতা নির্ণয় করা অত্যন্ত কঠিন। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রচলিত আছে এক অদ্ভুত আইন। দেশটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গির্জার কমপক্ষে পনেরোশ' ফুটের ভেতরে কোনো প্রাণী মেলামেশা করতে পারবে না! সুইজারল্যান্ডের নারীরা এমন সব বিদঘুটে পোশাক পরিধান করে, যা দেখলেই হাসি পায়। এমন পোশাক আবার রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত! বাচ্চারা পড়াশোনার চেয়ে বিদ্যুৎচালিত যন্ত্র দিয়ে খেলার প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়ায় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে ইলেকট্রিক ওইসব সামগ্রী তৈরি ও আমদানি নিষিদ্ধ করে দেশটি। বিশাল আয়তনের দেশ চীনে ক্রমে লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার ফলে সরকার বাধ্য হয়েই একটির বেশি সন্তান নেওয়া নিষিদ্ধ করে!
হ আশরাফুল আলম মিলন
No comments