প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেনাপ্রধানের বৈঠক-গিলানির বক্তব্য প্রত্যাহার চান কায়ানি
পাকিস্তানে সেনাপ্রধান ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানকে নিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির মন্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানি। প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর মন্তব্য বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে, তা না হলে ওই মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার নির্দেশ দিতে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারিকে অনুরোধ করেছেন সেনাপ্রধান।
গতকাল শনিবার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের সময় এ অনুরোধ জানান সেনাপ্রধান কায়ানি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিভেদ সৃষ্টিকারী এবং তা দেশকে অস্থিতিশীল করেছে।
বিতর্কিত ‘গোপন চিঠি (মেমো)’ নিয়ে সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রথম গতকাল সেনাপ্রধান কায়ানির সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রেসিডেন্ট জারদারি। বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সে ব্যাপারে অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র শুধু জানান, ‘বর্তমান নিরাপত্তা-পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হয়েছে।’
পাকিস্তানের গণমাধ্যম জানায়, বিতর্কিত সেই গোপন চিঠি ও জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনে প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধানের এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা ও বিদেশি কূটনীতিকেরা।
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী গিলানির সঙ্গেও গতকাল সেনাপ্রধান কায়ানির সাক্ষাৎ হয়েছে। প্রতিরক্ষাবিষয়ক মন্ত্রিপরিষদ কমিটির বৈঠকে হাজির ছিলেন দুজনই। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন গিলানি। টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট হাসিমুখে কথা বলছেন সেনাপ্রধানের সঙ্গে। জারদারির সঙ্গে কায়ানি এর আগে সর্বশেষ কথা বলেন গত ১৬ ডিসেম্বর। জারদারি তখন চিকিৎসার জন্য দুবাই ছিলেন। দুজনের মধ্যে সেদিন কথা হয়েছিল ফোনে।
ডন পত্রিকা জানায়, কায়ানির সঙ্গে জারদারির বৈঠক প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হয়। এ সময় বিতর্কিত সেই গোপন চিঠির বিষয়ে সম্প্রতি সেনাপ্রধান ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির মন্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কায়ানি। ওই মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশ দিতে তিনি জারদারির প্রতি অনুরোধ জানান।
গত সোমবার চীন সফরের সময় এক সাক্ষাৎকারে গিলানি বলেন, গোপন চিঠির ঘটনা তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সেনাপ্রধান কায়ানি ও আইএসআইয়ের প্রধান আহমেদ সুজা পাশা সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের জবাবে সেনাবাহিনী গত বুধবার জানায়, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য দেশের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
প্রতিরক্ষাবিষয়ক কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী গিলানি বলেন, ‘আমাদের সরকার ও পার্লামেন্ট এবং সবকিছুর ওপর দেশের জনগণ আমাদের সাহসী সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের পেছনে আছে।’ প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সৃষ্ট দূরত্ব কমিয়ে আনা এবং সমঝোতার আভাস পাওয়া যায়।
দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা নিয়ে কোনো আপস করার সুযোগ নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে তাদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়াই আমার সরকারের নীতি।’
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের পর মার্কিন প্রশাসনের আরেকজন শীর্ষ কর্মকর্তাও জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বেসামরিক সরকারের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড গত শুক্রবার বলেন, পাকিস্তানের বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এবং তাদের গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুব পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি।’
আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পর দেশটিতে সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য অভ্যুত্থান রোধে এবং সেনাবাহিনীর ক্ষমতা কাটছাঁটে সহযোগিতা চেয়ে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া একটি গোপন চিঠি গত অক্টোবরে প্রকাশ হওয়ার পর থেকে পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন অভিযোগে জারদারির বেসামরিক সরকার ও সেনাবাহিনী এখন প্রায় মুখোমুখি অবস্থানে। আর এ পরিস্থিতিতেই উত্তেজনা হ্রাসে সেনাপ্রধানের অনুরোধে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর গতকাল এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স ও ডন।
বিতর্কিত ‘গোপন চিঠি (মেমো)’ নিয়ে সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের পরিপ্রেক্ষিতে এই প্রথম গতকাল সেনাপ্রধান কায়ানির সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রেসিডেন্ট জারদারি। বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সে ব্যাপারে অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। প্রেসিডেন্টের একজন মুখপাত্র শুধু জানান, ‘বর্তমান নিরাপত্তা-পরিস্থিতি নিয়েই আলোচনা হয়েছে।’
পাকিস্তানের গণমাধ্যম জানায়, বিতর্কিত সেই গোপন চিঠি ও জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনে প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধানের এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ক্ষমতাসীন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা ও বিদেশি কূটনীতিকেরা।
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী গিলানির সঙ্গেও গতকাল সেনাপ্রধান কায়ানির সাক্ষাৎ হয়েছে। প্রতিরক্ষাবিষয়ক মন্ত্রিপরিষদ কমিটির বৈঠকে হাজির ছিলেন দুজনই। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন গিলানি। টেলিভিশনে প্রচারিত ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, প্রেসিডেন্ট হাসিমুখে কথা বলছেন সেনাপ্রধানের সঙ্গে। জারদারির সঙ্গে কায়ানি এর আগে সর্বশেষ কথা বলেন গত ১৬ ডিসেম্বর। জারদারি তখন চিকিৎসার জন্য দুবাই ছিলেন। দুজনের মধ্যে সেদিন কথা হয়েছিল ফোনে।
ডন পত্রিকা জানায়, কায়ানির সঙ্গে জারদারির বৈঠক প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হয়। এ সময় বিতর্কিত সেই গোপন চিঠির বিষয়ে সম্প্রতি সেনাপ্রধান ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রধানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির মন্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কায়ানি। ওই মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশ দিতে তিনি জারদারির প্রতি অনুরোধ জানান।
গত সোমবার চীন সফরের সময় এক সাক্ষাৎকারে গিলানি বলেন, গোপন চিঠির ঘটনা তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সেনাপ্রধান কায়ানি ও আইএসআইয়ের প্রধান আহমেদ সুজা পাশা সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের জবাবে সেনাবাহিনী গত বুধবার জানায়, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য দেশের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
প্রতিরক্ষাবিষয়ক কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী গিলানি বলেন, ‘আমাদের সরকার ও পার্লামেন্ট এবং সবকিছুর ওপর দেশের জনগণ আমাদের সাহসী সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের পেছনে আছে।’ প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সৃষ্ট দূরত্ব কমিয়ে আনা এবং সমঝোতার আভাস পাওয়া যায়।
দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা নিয়ে কোনো আপস করার সুযোগ নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে তাদের দায়িত্ব পালনের সুযোগ দেওয়াই আমার সরকারের নীতি।’
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের পর মার্কিন প্রশাসনের আরেকজন শীর্ষ কর্মকর্তাও জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বেসামরিক সরকারের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড গত শুক্রবার বলেন, পাকিস্তানের বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এবং তাদের গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুব পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি।’
আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার পর দেশটিতে সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য অভ্যুত্থান রোধে এবং সেনাবাহিনীর ক্ষমতা কাটছাঁটে সহযোগিতা চেয়ে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া একটি গোপন চিঠি গত অক্টোবরে প্রকাশ হওয়ার পর থেকে পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন অভিযোগে জারদারির বেসামরিক সরকার ও সেনাবাহিনী এখন প্রায় মুখোমুখি অবস্থানে। আর এ পরিস্থিতিতেই উত্তেজনা হ্রাসে সেনাপ্রধানের অনুরোধে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর গতকাল এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স ও ডন।
No comments