আরপিওতে পাঁচ সংশোধনের প্রস্তাব করছে ইসি by নিয়াজ মোর্শেদ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এলজিআরডি, জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনা, তৃণমূলের সমর্থন ছাড়া কেউ প্রার্থী হলে তার মনোনয়নপত্র বাতিল, প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় পর্যবেক্ষণে মনিটরিং টিম গঠন, হলফনামায় ভুল তথ্য দিয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতাসহ গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এ সংশোধনী প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সরকারের কাছে এ মাসেই প্রস্তাবটি পাঠানো হবে বলে ইসি সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে। বিষয়টি সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এটিএম শামসুল হুদা বলেন, আরপিওতে এ পাঁচটি বিষয়ে বড় ধরনের সংশোধনী আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব সংশোধনী প্রস্তাব দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারের কাছে পাঠানো হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এলজিআরডি, জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন কমিশনের অধীনে কেন আনা প্রয়োজন_ এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করলেও আরও অনেকের সহায়তা প্রয়োজন হয়। বিশাল জনবল বাইরে থেকে ধার করতে হয়। ডিসি-এসপিদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এখন জনপ্রশাসন যদি ইসির মতামত না নিয়ে হঠাৎ তাদের বদলি করে, তাহলে
সমস্যা
দেখা দেয়। বিভিন্ন কারণে এসব মন্ত্রণালয়কে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ফল ঘোষণা পর্যন্ত ইসির অধীনে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিচারপতি লতিফুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাতারাতি কয়েকশ' কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। ফলে নির্বাচন করতে গিয়ে কমিশনকে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। ইসি সচিবালয়ের ওই সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় পর্যবেক্ষণ করেছে একটি বিশেষ কমিটি। এ কমিটিতে ইসির নিজস্ব প্রতিনিধি, রাজস্ব বিভাগসহ কয়েকটি বিভাগের প্রতিনিধি ছিল। ব্যয় মনিটরিং কমিটির সুফল পাওয়া গেছে। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এটা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তিনি জানান, প্রার্থীরা একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহ করবেন_ ইসির এ আইনটি ভারতের নির্বাচন কমিশনও গ্রহণ করেছে।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইলে তাকে তৃণমূলের সমর্থন নিয়ে আসতে হবে_ এমন আইন থাকলেও তার বাস্তবায়ন নেই। এটি বাধ্যমূলক করতে আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। হঠাৎ করে দলে যোগ নিয়ে বা তৃণমূলের মতামত না নিয়েই অনেকে বিভিন্ন উপায়ে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ফলে তৃণমূলে যারা রাজনীতি করেন তারা হতাশায় ভোগেন।
হলফনামায় ভুল তথ্য দিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর বিজয়ী সাংসদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা নেই ইসির। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাকা চৌধুরী, রুহুল আমিন হাওলাদারসহ বেশ কয়েকজন সাংসদ ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ইসি তাদের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারেনি। এ কারণে এ সংশোধনী। সচিবালয়ের আইন শাখার ওই কর্মকর্তা বলেন, সংশোধনী কার্যকর হলে বিজয়ীর সদস্য পদ স্থগিত, মামলা করার সুযোগ থাকবে ইসির হাতে।
আর নির্বাচনী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাহী হাকিমরা যেন দ্রুত বিচারের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সাজা দিতে পারেন সে জন্য অনেক অপরাধের সাজা কমিয়ে আনা হয়েছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এলজিআরডি, জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্বাচন কমিশনের অধীনে কেন আনা প্রয়োজন_ এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করলেও আরও অনেকের সহায়তা প্রয়োজন হয়। বিশাল জনবল বাইরে থেকে ধার করতে হয়। ডিসি-এসপিদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এখন জনপ্রশাসন যদি ইসির মতামত না নিয়ে হঠাৎ তাদের বদলি করে, তাহলে
সমস্যা
দেখা দেয়। বিভিন্ন কারণে এসব মন্ত্রণালয়কে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ফল ঘোষণা পর্যন্ত ইসির অধীনে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিচারপতি লতিফুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাতারাতি কয়েকশ' কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। ফলে নির্বাচন করতে গিয়ে কমিশনকে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। ইসি সচিবালয়ের ওই সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় পর্যবেক্ষণ করেছে একটি বিশেষ কমিটি। এ কমিটিতে ইসির নিজস্ব প্রতিনিধি, রাজস্ব বিভাগসহ কয়েকটি বিভাগের প্রতিনিধি ছিল। ব্যয় মনিটরিং কমিটির সুফল পাওয়া গেছে। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এটা অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তিনি জানান, প্রার্থীরা একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহ করবেন_ ইসির এ আইনটি ভারতের নির্বাচন কমিশনও গ্রহণ করেছে।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইলে তাকে তৃণমূলের সমর্থন নিয়ে আসতে হবে_ এমন আইন থাকলেও তার বাস্তবায়ন নেই। এটি বাধ্যমূলক করতে আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। হঠাৎ করে দলে যোগ নিয়ে বা তৃণমূলের মতামত না নিয়েই অনেকে বিভিন্ন উপায়ে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ফলে তৃণমূলে যারা রাজনীতি করেন তারা হতাশায় ভোগেন।
হলফনামায় ভুল তথ্য দিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর বিজয়ী সাংসদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা নেই ইসির। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাকা চৌধুরী, রুহুল আমিন হাওলাদারসহ বেশ কয়েকজন সাংসদ ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ইসি তাদের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারেনি। এ কারণে এ সংশোধনী। সচিবালয়ের আইন শাখার ওই কর্মকর্তা বলেন, সংশোধনী কার্যকর হলে বিজয়ীর সদস্য পদ স্থগিত, মামলা করার সুযোগ থাকবে ইসির হাতে।
আর নির্বাচনী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাহী হাকিমরা যেন দ্রুত বিচারের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সাজা দিতে পারেন সে জন্য অনেক অপরাধের সাজা কমিয়ে আনা হয়েছে।
No comments