ওয়ানডে সিরিজ-দ্বিতীয় ম্যাচেও হার শ্রীলঙ্কার

প্রথম ম্যাচে দু-দুটি লজ্জার রেকর্ড গড়ে হার। নিজেদের সর্বনিম্ন ৪৩ রানে গুঁড়িয়ে যাওয়ার পর নিজেদের সর্বোচ্চ ২৫৮ রানের বিশাল পরাজয়। কাল এমন লজ্জাজনক কিছু হয়তো হয়নি, তবে শ্রীলঙ্কা রয়ে গেছ ব্যর্থতার বৃত্তেই। কাল দ্বিতীয় ম্যাচেও হেরে গেছে তিলকরত্নে দিলশানের দল। ইস্ট লন্ডনে কাল ৫ উইকেটে জিতে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে গেল ২-০-তে।


টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২১ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা। এর পরও শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে ২৩৬ রানের পুঁজি পায় ওপেনার উপুল থারাঙ্গা ও দিনেশ চান্ডিমালের কল্যাণে। ক্যারিয়ারের ২১তম হাফ সেঞ্চুরি করে থারাঙ্গা ৬৬ রানে আউট। চান্ডিমাল ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরিটি তৃতীয় সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারেননি নির্ধারিত ৫০ ওভার ফুরিয়ে যাওয়ায়। তিনি অপরাজিত থাকেন ৯২ রানে। এই ইনিংসের পথে তৃতীয় উইকেটে থারাঙ্গার সঙ্গে ৮৪ ও সপ্তম উইকেটে ম্যাথুসের (২৮) সঙ্গে চান্ডিমালের ৭২ রানের জুটি দুটিই শ্রীলঙ্কাকে পাইয়ে দেয় লড়াই করার মতো পুঁজি।
আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান হাশিম আমলা আর ডুমিনির জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে চড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পেয়েছে ৮ বল বাকি থাকতেই। তবে বাস্তবে জয়ের রাস্তাটা তাদের মোটেও এমন সহজ ছিল না। মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকারও কিছু স্নায়ুক্ষয়ী মুহূর্ত গেছে। আমলা ৫৫ রানে আউট হলেও অপরাজিত ৬৬ রান করে ডুমিনি ফিরেছেন জয় নিয়ে, ম্যাচ শেষে যে ইনিংসটি তাঁকে দিয়েছে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৩৬/৬ (চান্ডিমাল ৯২*, থারাঙ্গা ৬৬, ম্যাথুস ২৮, কুলাসেকারা ২২, জয়াবর্ধনে ১৯; মরনে মরকেল ২/৩৯, সতসোবে ২/৪৩, স্টেইন ১/৫৪)। দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৮.৪ ওভারে ২৩৭/৫ (ডুমিনি ৬৬*, আমলা ৫৫, ক্যালিস ৩৭, স্মিথ ২৮, ডু প্লেসিস ১৮, ডি ভিলিয়ার্স ১৭, অ্যালবি মরকেল ১২*; প্রসাদ ৩/৪৬, মালিঙ্গা ১/৩৮)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ উইকেটে জয়ী।

No comments

Powered by Blogger.