সিরিয়ায় বিদেশি সেনা চান কাতারের আমির-পক্ষত্যাগী জেনারেলের নেতৃত্বে সামরিক পরিষদ
সিরিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে দেশটিতে আরব দেশগুলোর সেনা পাঠানো উচিত বলে জানিয়েছেন কাতারের আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল থানি। শুক্রবার মার্কিন সিবিএস টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে সেখানে কিছু সেনা পাঠানো উচিত আরব দেশগুলোর। কাতারের আমিরই প্রথম ব্যক্তি, যিনি সিরিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে প্রকাশ্যে বললেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা সেসব দেশের জনগণকে সমর্থন করছি, যারা মর্যাদা ও ন্যায়ের জন্য লড়াই করছে। এদিকে দেশটিতে আরব লীগ পর্যবেক্ষকদের গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা প্রকাশের মধ্যেও চলছে ট্যাংক হামলা। শুক্রবারের সহিংসতায় সিরিয়ায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছে। একটি সামরিক পরিষদ গঠন করতে যাচ্ছেন সিরিয়ার পক্ষত্যাগী এক শীর্ষ জেনারেল। সরকারের বিরুদ্ধে পরিচালিত সামরিক অভিযান তদারক করবে এ কাউন্সিল। গতকাল শনিবার তার মিডিয়া উপদেষ্টা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসি, এএফপি এবং আলজাজিরার।
এ শীর্ষ জেনারেল হচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষত্যাগী সেনাদের মধ্যে সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ। মোস্তফা আহমদ আল শেখ নামের এ জেনারেল চলতি মাসে তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছেন। তার মিডিয়া উপদেষ্টা জানান, আল শেখের নেতত্বাধীন কাউন্সিলটি পক্ষত্যাগী সেনাদের সংগঠন ফ্রি সিরিয়ান আর্মির (এফএসএ) সঙ্গে মিলে সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান তদারক করবে। এ কাউন্সিল পরিকল্পনা করবে আর তা বাস্তবায়ন করবে এফএসএ। এ সংগঠনের অধীনে প্রায় ৪০ হাজার সেনা রয়েছে বলে দাবি করা হয়।
লেবানন সীমান্তবর্তী জাবাদানি শহরে সেনারা ট্যাংক নিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিরোধী নেতারা। আরব লীগ নেতারা গত মাসে সিরিয়ায় পেঁৗছানোর পর এটিই দেশটিতে সবচেয়ে বড় সামরিক হামলা। আরব লীগের প্রধান সিরিয়ায় ১০ মাসের সহিংসতা গৃহযুদ্ধে মোড় নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ আশঙ্কার মধ্যেই শহরে শহরে চলছে ট্যাংকের গোলা হামলা। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, সাত বেসামরিক নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে হোমসে নিহত হয়েছে চারজন। নিহত হয়েছে অন্য আরও তিনজন।
এদিকে সিরিয়ার সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে সহায়তা করতে দামেস্কে অস্ত্র সরবরাহ করছে ইরান। তেহরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধানের মাধ্যমে তারা এ কাজ করছে বলে মনে করছে ওয়াশিংটন। শুক্রবার সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তারা এ কথা জানান। এক কর্মকর্তা জানান, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান কাশেম সোলাইমানি এ মাসে সিরিয়ার রাজধানী গিয়েছিলেন। তবে ইরান যে সিরিয়াকে সামরিক সহযোগিতা দিচ্ছে, ওয়াশিংটন এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত প্রমাণ পায়নি। ওই কর্মকর্তা বলেন, 'আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, সিরিয়ার বিক্ষোভ দমনের সরকারি প্রাচ্যের প্রতি ইরানের সমর্থন রয়েছে। এ কথা মনে করার কারণ ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধানকে প্রেসিডেন্ট আসাদসহ সিরীয় সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা অভ্যর্থনা জানান।' ওই কর্মকর্তা বলেন, ইরান সিরিয়ার সরকারি বাহিনীকে 'গোলাবারুদসহ' নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামাদি সরবরাহ করছে_ এমন কথা ওয়াশিংটনের বিশ্বাস করার যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে।
ওবামা-এরদোগান ফোনালাপ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সিরিয়ার পরিস্থিতি ও ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে শুক্রবার তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেফ তায়েফ এরদোগানের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন।
হোয়াইট হাউসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'সিরিয়ার জনগণের বৈধ দাবির প্রতি অব্যাহত সমর্থনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।' এ ছাড়া উভয় নেতা সিরিয়ার আসাদ সরকারের বর্বর পদক্ষেপেরও নিন্দা জানান।
এ শীর্ষ জেনারেল হচ্ছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষত্যাগী সেনাদের মধ্যে সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ। মোস্তফা আহমদ আল শেখ নামের এ জেনারেল চলতি মাসে তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছেন। তার মিডিয়া উপদেষ্টা জানান, আল শেখের নেতত্বাধীন কাউন্সিলটি পক্ষত্যাগী সেনাদের সংগঠন ফ্রি সিরিয়ান আর্মির (এফএসএ) সঙ্গে মিলে সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান তদারক করবে। এ কাউন্সিল পরিকল্পনা করবে আর তা বাস্তবায়ন করবে এফএসএ। এ সংগঠনের অধীনে প্রায় ৪০ হাজার সেনা রয়েছে বলে দাবি করা হয়।
লেবানন সীমান্তবর্তী জাবাদানি শহরে সেনারা ট্যাংক নিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিরোধী নেতারা। আরব লীগ নেতারা গত মাসে সিরিয়ায় পেঁৗছানোর পর এটিই দেশটিতে সবচেয়ে বড় সামরিক হামলা। আরব লীগের প্রধান সিরিয়ায় ১০ মাসের সহিংসতা গৃহযুদ্ধে মোড় নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ আশঙ্কার মধ্যেই শহরে শহরে চলছে ট্যাংকের গোলা হামলা। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, সাত বেসামরিক নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে হোমসে নিহত হয়েছে চারজন। নিহত হয়েছে অন্য আরও তিনজন।
এদিকে সিরিয়ার সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে সহায়তা করতে দামেস্কে অস্ত্র সরবরাহ করছে ইরান। তেহরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধানের মাধ্যমে তারা এ কাজ করছে বলে মনে করছে ওয়াশিংটন। শুক্রবার সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তারা এ কথা জানান। এক কর্মকর্তা জানান, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান কাশেম সোলাইমানি এ মাসে সিরিয়ার রাজধানী গিয়েছিলেন। তবে ইরান যে সিরিয়াকে সামরিক সহযোগিতা দিচ্ছে, ওয়াশিংটন এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত প্রমাণ পায়নি। ওই কর্মকর্তা বলেন, 'আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, সিরিয়ার বিক্ষোভ দমনের সরকারি প্রাচ্যের প্রতি ইরানের সমর্থন রয়েছে। এ কথা মনে করার কারণ ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধানকে প্রেসিডেন্ট আসাদসহ সিরীয় সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা অভ্যর্থনা জানান।' ওই কর্মকর্তা বলেন, ইরান সিরিয়ার সরকারি বাহিনীকে 'গোলাবারুদসহ' নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামাদি সরবরাহ করছে_ এমন কথা ওয়াশিংটনের বিশ্বাস করার যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে।
ওবামা-এরদোগান ফোনালাপ : মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সিরিয়ার পরিস্থিতি ও ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে শুক্রবার তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেফ তায়েফ এরদোগানের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন।
হোয়াইট হাউসের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'সিরিয়ার জনগণের বৈধ দাবির প্রতি অব্যাহত সমর্থনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।' এ ছাড়া উভয় নেতা সিরিয়ার আসাদ সরকারের বর্বর পদক্ষেপেরও নিন্দা জানান।
No comments