বান্দরবানে ৫০০ ফুট খাদে বাস নিহত ১৭
বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবান থানছি উপজেলার বিনতেপাড়ায় একটি যাত্রীবাহী বাস ৫০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে নিহত হয়েছে ১৭ জন। এ ঘটনায় আহত ৩৫ জনের মধ্যে ২৫ জনকে পৃষ্ঠা ৮ কলাম ১
বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাসের চালক সুভাস দাশসহ ১০ জনকে মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর পর সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও রেডক্রিসেন্টের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালায়। বিজিবি’র বলিপাড়া ১০ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল নুরুল মোমেন চৌধুরী জানান, সকাল ৮টায় ‘পাহাড়িকা’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস (চট্ট-মেট্টো-গ-১১-০২৭৬) বান্দরবানের উদ্দেশ্যে থানছি থেকে যাত্রা করে। সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা শহর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে এই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি। থানছি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়ামত-উল করিম পাটোয়ারী জানান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি ৫০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সিভিল সার্জন ডা. মংতেঝ-এর নেতৃত্বে চিকিৎসকরা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর চিকিৎসক ও নার্সরাও রোগীদের চিকিৎসায় এগিয়ে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতদের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন, উহ্লাচিং মেম্বার, ডচিংনু, কিসিংনু মারমা, ক্যাচিং, চিংসাঅং, সশং ত্রিপুরা, ফ্রাইনসিস ত্রিপুরা, মামা থুই, রিন্টু চাকমা, জ্যাকব ত্রিপুরা। বাকিদের পরিচয় জানা জায়নি। নিহতদের মধ্যে ৪ জন পর্যটক রয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা করিতাসের ২ জন এবং স্বাস্থ্য বিভাগে মাঠকর্মী রয়েছেন।
স্থানীয় জনগণের সহায়তায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও রেডক্রিসেন্টের সদস্যরা আহতদের সেবায় এগিয়ে আসেন। বান্দরবান সফররত চট্টগ্রামে অতিরিক্ত ডিআইজি বিশ্বাস আফজাল হোসেন, পুলিশ সুপার মো. কামরুল আহসান, বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জাবেদ রেজা আহতদের দেখতে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ছুটে যান। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত পরিবার প্রতি নগদ ৫ হাজার টাকা এবং ৫০০ কেজি চাল দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। বিজিবি, পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, থানচি থেকে বান্দরবান যাওয়ার পথে বিনতেপাড়া এলাকায় উঁচু পাহাড়ি পথ দিয়ে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি কমপক্ষে ৫০০ ফুট নিচে খাদে পড়ে যায়।
সিরাজগঞ্জে নিহত ৩, আহত ১
ওদিকে সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের সলঙ্গা থানার রামারচর নামক স্থানে দ্রুতগামী যানবাহন ও শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ভুটভুটির সংঘর্ষে চালকসহ ৩ জন নিহত ও ১ যাত্রী আহত হয়েছে। এরা হলো- ভুটভুটির চালক তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের হারু সেখের ছেলে হাসান শেখ (৪০), ভুটভুটির যাত্রী একই উপজেলার মাধাইনগর গ্রামের আফসার আলীর ছেলে আবদুল খালেক (৩৫) ও সলঙ্গা থানার শ্রীরামপাড়ার মৃত শুকুর আলীর ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (২৮)। আহত সলঙ্গা থানার শ্রীরামপাড়ার মোক্তার হোসেনের ছেলে লাবু শেখ (২৫)কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত চাঁদপুরের দু’জনের
বাড়িতে মাতম
চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, বান্দরবানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দু’জনের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। গতকাল সকালে ওই সড়ক দুর্ঘটনায় চাঁদপুরের রাজীব চৌধুরী (৪০) ও মো. হাসান (৩৯) নামের দু’জন নিহত হন। রাজীব চৌধুরী শহরের জোড়পুকুরপাড় এলাকার মৃত ওদুদ চৌধুরীর ছেলে। তারা ৪ ভাই ও ৩ বোন। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। রাজীব পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী ছিল। দুর্ঘটনায় অপর নিহত মো. হাসান (৩৯) চাঁদপুর শহরের পালপাড়া এলাকায় থাকে। হাসান পেশায় একজন ঠিকাদার ও অবিবাহিত।
বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাসের চালক সুভাস দাশসহ ১০ জনকে মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর পর সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও রেডক্রিসেন্টের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালায়। বিজিবি’র বলিপাড়া ১০ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল নুরুল মোমেন চৌধুরী জানান, সকাল ৮টায় ‘পাহাড়িকা’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস (চট্ট-মেট্টো-গ-১১-০২৭৬) বান্দরবানের উদ্দেশ্যে থানছি থেকে যাত্রা করে। সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা শহর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে এই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি। থানছি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়ামত-উল করিম পাটোয়ারী জানান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি ৫০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সিভিল সার্জন ডা. মংতেঝ-এর নেতৃত্বে চিকিৎসকরা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর চিকিৎসক ও নার্সরাও রোগীদের চিকিৎসায় এগিয়ে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১০ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহতদের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন, উহ্লাচিং মেম্বার, ডচিংনু, কিসিংনু মারমা, ক্যাচিং, চিংসাঅং, সশং ত্রিপুরা, ফ্রাইনসিস ত্রিপুরা, মামা থুই, রিন্টু চাকমা, জ্যাকব ত্রিপুরা। বাকিদের পরিচয় জানা জায়নি। নিহতদের মধ্যে ৪ জন পর্যটক রয়েছেন। নিহতদের মধ্যে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা করিতাসের ২ জন এবং স্বাস্থ্য বিভাগে মাঠকর্মী রয়েছেন।
স্থানীয় জনগণের সহায়তায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও রেডক্রিসেন্টের সদস্যরা আহতদের সেবায় এগিয়ে আসেন। বান্দরবান সফররত চট্টগ্রামে অতিরিক্ত ডিআইজি বিশ্বাস আফজাল হোসেন, পুলিশ সুপার মো. কামরুল আহসান, বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জাবেদ রেজা আহতদের দেখতে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ছুটে যান। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত পরিবার প্রতি নগদ ৫ হাজার টাকা এবং ৫০০ কেজি চাল দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। বিজিবি, পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, থানচি থেকে বান্দরবান যাওয়ার পথে বিনতেপাড়া এলাকায় উঁচু পাহাড়ি পথ দিয়ে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি কমপক্ষে ৫০০ ফুট নিচে খাদে পড়ে যায়।
সিরাজগঞ্জে নিহত ৩, আহত ১
ওদিকে সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের সলঙ্গা থানার রামারচর নামক স্থানে দ্রুতগামী যানবাহন ও শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ভুটভুটির সংঘর্ষে চালকসহ ৩ জন নিহত ও ১ যাত্রী আহত হয়েছে। এরা হলো- ভুটভুটির চালক তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের হারু সেখের ছেলে হাসান শেখ (৪০), ভুটভুটির যাত্রী একই উপজেলার মাধাইনগর গ্রামের আফসার আলীর ছেলে আবদুল খালেক (৩৫) ও সলঙ্গা থানার শ্রীরামপাড়ার মৃত শুকুর আলীর ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (২৮)। আহত সলঙ্গা থানার শ্রীরামপাড়ার মোক্তার হোসেনের ছেলে লাবু শেখ (২৫)কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত চাঁদপুরের দু’জনের
বাড়িতে মাতম
চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, বান্দরবানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দু’জনের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। গতকাল সকালে ওই সড়ক দুর্ঘটনায় চাঁদপুরের রাজীব চৌধুরী (৪০) ও মো. হাসান (৩৯) নামের দু’জন নিহত হন। রাজীব চৌধুরী শহরের জোড়পুকুরপাড় এলাকার মৃত ওদুদ চৌধুরীর ছেলে। তারা ৪ ভাই ও ৩ বোন। তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। রাজীব পেশায় কাপড় ব্যবসায়ী ছিল। দুর্ঘটনায় অপর নিহত মো. হাসান (৩৯) চাঁদপুর শহরের পালপাড়া এলাকায় থাকে। হাসান পেশায় একজন ঠিকাদার ও অবিবাহিত।
No comments