স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সন্তোষঃ বাস্তবতার সঙ্গে মিল নেই
রাজধানীসহ সারাদেশে খুন-খারাবি, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই-সন্ত্রাসের ঘটনা জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুললেও সরকার যে নির্বিকার সেটা বোঝা গেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখের কথায়। তিনি বুধবার যশোরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে জেলার পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
অথচ একই দিনে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রপত্রিকায় যশোরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির খবর ছাপা হয়েছে। গত নয় মাসে যশোর জেলায় ৮৪ জন খুন হয়েছে। অর্থাত্ প্রতি মাসে প্রায় ১০টি খুনের ঘটনার পরও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সন্তোষ প্রকাশ সবাইকে বিস্মিত না করে পারেনি। সভায় নিজ দলের স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তাদের বক্তব্যও বিবেচনা করার প্রয়োজবোধ করেননি মন্ত্রী।
সংসদ সদস্য শেখ আফিলউদ্দিন কোনো রাখঢাক না করে সীমান্ত দিয়ে দেদারসে মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র আসার কথা বলেছেন। তার দেয়া চমকে ওঠার মতো তথ্য হচ্ছে, আটক সব বেআইনি মালামালের ৩০ শতাংশই তুলে দেয়া হয় কথিত সোর্সদের হাতে যারা সেগুলো বিক্রি করে দেয়। উপস্থিত খান টিপু সুলতান এমপি এসব চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সমর্থন করলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেন কানে তুলো দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের সাবেক জেলা সম্পাদক শরীফ আবদুর রাকিব সর্ষের মধ্যে ভূতের বাসা উল্লেখ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেই পরিস্থিতির অবনতির জন্য খোলাখুলিভাবে দায়ী করেন। মাদকসহ আটক মালামাল শুধু বিক্রি করে দেয়া হয় তা নয়, দায়েরকৃত মামলার এজাহার আসামিদের পক্ষে লেখারও অভিযোগ তোলেন তিনি। উপস্থিত ২২ রাইফেল ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বিভাগীয় কমিশনার দেশে মাদক পাচার বৃদ্ধির কথা স্বীকার করেন। এতকিছুর পরও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার ভাষণে যেভাবে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাতে ধরে নেয়া যায়, তিনি এসবের কিছুই বিশ্বাসযোগ্য মনে করেননি। উত্থাপিত অভিযোগগুলোকে বিরোধী দলের অপপ্রচার বলতে পারলেই খুব সম্ভবত তিনি খুশি হতেন। কিন্তু বক্তাদের সবাই সরকারি কর্মকর্তা এবং নিজ দলের নেতা হওয়ায় সে সুযোগ তিনি পাননি। তবে সবকিছুকে হাল্কা করে দিয়ে তিনি সুশীল নেতার মতোই বক্তব্য দিয়েছেন। শুধু পুলিশ দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা যাবে না। জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষকে এ কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। পোষাপাখির বুলির মতো তার মুখে শোনা গিয়েছে, বিগত সাত বছর ক্ষমতাসীনরা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তার ফল বহন করতে হচ্ছে বর্তমান সরকারকে। এ যেন সেই ধান ভানতে শিবের গীত। ব্যর্থতা ঢেকে রাখার আর কোনো পথ খুঁজে না পেয়ে সেই ভাঙা রেকর্ডই আবার শুনিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অথচ অতি সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানা গেছে, দেশে গত ১১ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় ২০৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন চার হাজারেরও বেশি। ১৮৮ নারী ও ২২২ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত ১০ মাসে সারা দেশে খুন হয়েছে তিন হাজার ২২২ জন, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে ৯ হাজার ৭১২টি, ডাকাতি হয়েছে ৭১৬টি, অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন ১২ হাজার লোক। এসব তথ্য দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে মোটেই সন্তোষজনক প্রমাণ করে না। পরিস্থিতি এমন হওয়ার কারণগুলো খুঁজে বের করে দূর করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণের পরিবর্তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষণে সত্য ধামাচাপা দেয়ার প্রবণতাই প্রাধান্য পেয়েছে। এতে অপরাধীরা শুধু উত্সাহিতই হবে না, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অসত্ ও দুর্নীতিগ্রস্ত সদস্যরাও দুঃসাহসী হয়ে উঠবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এভাবে উটপাখির মতো বালুতে মাথা গুঁজে মরুঝড়কে অস্বীকার করার মধ্যে আর যাই হোক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকারের উচ্চকিত প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে, এমন আস্থা রাখা খুবই কঠিন।
সংসদ সদস্য শেখ আফিলউদ্দিন কোনো রাখঢাক না করে সীমান্ত দিয়ে দেদারসে মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র আসার কথা বলেছেন। তার দেয়া চমকে ওঠার মতো তথ্য হচ্ছে, আটক সব বেআইনি মালামালের ৩০ শতাংশই তুলে দেয়া হয় কথিত সোর্সদের হাতে যারা সেগুলো বিক্রি করে দেয়। উপস্থিত খান টিপু সুলতান এমপি এসব চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সমর্থন করলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেন কানে তুলো দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের সাবেক জেলা সম্পাদক শরীফ আবদুর রাকিব সর্ষের মধ্যে ভূতের বাসা উল্লেখ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেই পরিস্থিতির অবনতির জন্য খোলাখুলিভাবে দায়ী করেন। মাদকসহ আটক মালামাল শুধু বিক্রি করে দেয়া হয় তা নয়, দায়েরকৃত মামলার এজাহার আসামিদের পক্ষে লেখারও অভিযোগ তোলেন তিনি। উপস্থিত ২২ রাইফেল ব্যাটালিয়ন কমান্ডারের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বিভাগীয় কমিশনার দেশে মাদক পাচার বৃদ্ধির কথা স্বীকার করেন। এতকিছুর পরও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার ভাষণে যেভাবে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাতে ধরে নেয়া যায়, তিনি এসবের কিছুই বিশ্বাসযোগ্য মনে করেননি। উত্থাপিত অভিযোগগুলোকে বিরোধী দলের অপপ্রচার বলতে পারলেই খুব সম্ভবত তিনি খুশি হতেন। কিন্তু বক্তাদের সবাই সরকারি কর্মকর্তা এবং নিজ দলের নেতা হওয়ায় সে সুযোগ তিনি পাননি। তবে সবকিছুকে হাল্কা করে দিয়ে তিনি সুশীল নেতার মতোই বক্তব্য দিয়েছেন। শুধু পুলিশ দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা যাবে না। জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষকে এ কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। পোষাপাখির বুলির মতো তার মুখে শোনা গিয়েছে, বিগত সাত বছর ক্ষমতাসীনরা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তার ফল বহন করতে হচ্ছে বর্তমান সরকারকে। এ যেন সেই ধান ভানতে শিবের গীত। ব্যর্থতা ঢেকে রাখার আর কোনো পথ খুঁজে না পেয়ে সেই ভাঙা রেকর্ডই আবার শুনিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অথচ অতি সম্প্রতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানা গেছে, দেশে গত ১১ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় ২০৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন চার হাজারেরও বেশি। ১৮৮ নারী ও ২২২ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত ১০ মাসে সারা দেশে খুন হয়েছে তিন হাজার ২২২ জন, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে ৯ হাজার ৭১২টি, ডাকাতি হয়েছে ৭১৬টি, অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন ১২ হাজার লোক। এসব তথ্য দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে মোটেই সন্তোষজনক প্রমাণ করে না। পরিস্থিতি এমন হওয়ার কারণগুলো খুঁজে বের করে দূর করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণের পরিবর্তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষণে সত্য ধামাচাপা দেয়ার প্রবণতাই প্রাধান্য পেয়েছে। এতে অপরাধীরা শুধু উত্সাহিতই হবে না, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অসত্ ও দুর্নীতিগ্রস্ত সদস্যরাও দুঃসাহসী হয়ে উঠবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এভাবে উটপাখির মতো বালুতে মাথা গুঁজে মরুঝড়কে অস্বীকার করার মধ্যে আর যাই হোক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকারের উচ্চকিত প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে, এমন আস্থা রাখা খুবই কঠিন।
No comments