নিজে 'চোরের রাজা':ছাত্রদেরও দলে টানার অভিযোগ by ফিরোজ শিবলী
চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদকসহ অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধে পদক্ষেপ নিতেই তাকে নিয়োগ দিয়েছিল সরকার। বিনিময়ে প্রতি মাসে তাকে দেওয়া হতো বেতন ও নানা সুবিধা। পুলিশের পোশাক পরে গত আট বছর ধরে এমন সুবিধা নিয়ে এসেছেন পুলিশ কনস্টেবল শাহজালাল রিপন। অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করা তো দূরের কথা, নিজেই কলেজছাত্রদের চুরিতে উদ্বুদ্ধ করতেন এভাবে_ 'আমি রাতকে দিন, দিনকে রাত করব। তোদের কিছু হবে না।
' গ্রেফতার হওয়া মোটরসাইকেল কারিগর আরিফ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে কনস্টেবল শাহজালালের তাদের উদ্বুদ্ধ করার এ বর্ণনা দেন। এদিকে শাহজালালের মতো পুলিশের নজর এড়িয়ে বিত্তবান পরিবারের ছেলেরা নেশার টাকা জোগাড় করতে মোটরসাইকেল চুরিতে জড়িয়ে পড়ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন-চার বছর ধরে কনস্টেবল শাহজালাল চোরাই গাড়ি কেনাবেচা করছেন। আট বছর আগে পুলিশ কনস্টেবল পদে যোগ দেওয়া শাহজালাল বর্তমানে চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশে কর্মরত। তার বাড়ি ভোলা জেলায়। নগরীর লালখান বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, এলাকায় মাদক, পতিতাবৃত্তিসহ বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে তিনি জড়িত। মোটরসাইকেল চুরিসহ বিভিন্ন অবৈধ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে শিল্প পুলিশ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে বিভাগীয় ব্যবস্থা। গ্রেফতার হওয়ার পর শাহজালাল সাজা হওয়ার ভয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। গ্রেফতার হওয়া চার ছাত্র ২ অক্টোবর মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের খাস কামরায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা হলো_ কলেজছাত্র মোঃ আরিফ, মোঃ রাকিব উদ্দিন, শাহেদুল ইসলাম, আফতাব আইয়ুব ও মেহরাজ উদ্দিন। কনস্টেবল শাহজালালের প্ররোচনায় তারা চোরাই মোটরসাইকেল কেনাবেচায় অংশ নেয় বলে স্বীকার করে।
মোটরসাইকেলের কারিগর আরিফ জবানবন্দিতে জানায়, 'কনস্টেবল শাহজালাল আমাকেসহ জাহেদ, রাকিব ও আবেদকে মোটরসাইকেল চুরি করতে উৎসাহ দেন। তার উৎসাহে ২১ সেপ্টেম্বর দেওয়ানহাট মোড়ের আরমান হোটেলের সামনে থেকে একটি পালসার মোটরসাইকেল চুরি করি।'
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই নেজাম উদ্দিন সমকালকে জানান, কনস্টেবল শাহজালাল কুমিল্লার ভারত সীমান্ত থেকে চোরাইপথে বেশির ভাগ মোটরসাইকেল চট্টগ্রামে এনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করতেন। তা ছাড়া তিনি নিজে একেক সময় একেকটি মোটরসাইকেল ব্যবহার করতেন। ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে নগরীতে ছয় সহযোগীকে নিয়ে একটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন কনস্টেবল শাহজালাল।
নেশার টাকার জন্য চুরি করছে অভিজাত পরিবারের ছেলেরাও
রাজুর বাবার নাম অলিউল্লাহ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তাদের আছে ১৭টি গাড়ি। রয়েছে দামি বাড়িও। অর্থকষ্টের মুখ না দেখা রাজুকে তাই কোরআনে হাফেজ বানিয়েছেন পরিবারের লোকজন; কিন্তু সে পথ ছেড়ে রাজু হাঁটছে ভিন্ন পথে। মোটরসাইকেল চুরি করে তা অন্যের কাছে বিক্রি করাই রাজুর পছন্দ।
শুধু রাজু নয়, এভাবে চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে অভিজাত ও বিত্তবান ঘরের অনেক ছেলে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও ফেনী জেলায় অভিযান চালিয়ে তিনটি চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। ধৃত রাজু ও আলী মর্তুজা এ চক্রের দুই সক্রিয় সদস্য। অন্যরা হলো_ আবদুস শুক্কুর, মোঃ বিপ্লব, আনোয়ার হোসেন, আলী মর্তুজা ও মোঃ আলমগীর। চট্টগ্রামের বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক কাউসারের নেতৃত্বে সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বন্দরের পুলিশ কর্মকর্তা কাউসার উদ্দিন জানান, চট্টগ্রামে মোটরসাইকেল চুরির একটি বড় চক্র রয়েছে। এ চক্রের সদস্যসংখ্যা প্রায় অর্ধশত। মূলত মাদকের টাকা জোগাড় করতে বিত্তশালী পরিবারের ছেলেরা মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে।
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রামের মোটরসাইকেল চোর চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে নোয়াখালীর সেনবাগের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, এক মন্ত্রীর ছেলেসহ দুই নারী। অভিযানে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হলেও তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। চট্টগ্রাম থেকে চুরি করা মোটরসাইকেল লাকসাম ও চৌদ্দগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন-চার বছর ধরে কনস্টেবল শাহজালাল চোরাই গাড়ি কেনাবেচা করছেন। আট বছর আগে পুলিশ কনস্টেবল পদে যোগ দেওয়া শাহজালাল বর্তমানে চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশে কর্মরত। তার বাড়ি ভোলা জেলায়। নগরীর লালখান বাজার এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, এলাকায় মাদক, পতিতাবৃত্তিসহ বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে তিনি জড়িত। মোটরসাইকেল চুরিসহ বিভিন্ন অবৈধ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে শিল্প পুলিশ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে বিভাগীয় ব্যবস্থা। গ্রেফতার হওয়ার পর শাহজালাল সাজা হওয়ার ভয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। গ্রেফতার হওয়া চার ছাত্র ২ অক্টোবর মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের খাস কামরায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা হলো_ কলেজছাত্র মোঃ আরিফ, মোঃ রাকিব উদ্দিন, শাহেদুল ইসলাম, আফতাব আইয়ুব ও মেহরাজ উদ্দিন। কনস্টেবল শাহজালালের প্ররোচনায় তারা চোরাই মোটরসাইকেল কেনাবেচায় অংশ নেয় বলে স্বীকার করে।
মোটরসাইকেলের কারিগর আরিফ জবানবন্দিতে জানায়, 'কনস্টেবল শাহজালাল আমাকেসহ জাহেদ, রাকিব ও আবেদকে মোটরসাইকেল চুরি করতে উৎসাহ দেন। তার উৎসাহে ২১ সেপ্টেম্বর দেওয়ানহাট মোড়ের আরমান হোটেলের সামনে থেকে একটি পালসার মোটরসাইকেল চুরি করি।'
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই নেজাম উদ্দিন সমকালকে জানান, কনস্টেবল শাহজালাল কুমিল্লার ভারত সীমান্ত থেকে চোরাইপথে বেশির ভাগ মোটরসাইকেল চট্টগ্রামে এনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করতেন। তা ছাড়া তিনি নিজে একেক সময় একেকটি মোটরসাইকেল ব্যবহার করতেন। ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে নগরীতে ছয় সহযোগীকে নিয়ে একটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন কনস্টেবল শাহজালাল।
নেশার টাকার জন্য চুরি করছে অভিজাত পরিবারের ছেলেরাও
রাজুর বাবার নাম অলিউল্লাহ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তাদের আছে ১৭টি গাড়ি। রয়েছে দামি বাড়িও। অর্থকষ্টের মুখ না দেখা রাজুকে তাই কোরআনে হাফেজ বানিয়েছেন পরিবারের লোকজন; কিন্তু সে পথ ছেড়ে রাজু হাঁটছে ভিন্ন পথে। মোটরসাইকেল চুরি করে তা অন্যের কাছে বিক্রি করাই রাজুর পছন্দ।
শুধু রাজু নয়, এভাবে চুরি-ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে অভিজাত ও বিত্তবান ঘরের অনেক ছেলে। চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও ফেনী জেলায় অভিযান চালিয়ে তিনটি চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের পর এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। ধৃত রাজু ও আলী মর্তুজা এ চক্রের দুই সক্রিয় সদস্য। অন্যরা হলো_ আবদুস শুক্কুর, মোঃ বিপ্লব, আনোয়ার হোসেন, আলী মর্তুজা ও মোঃ আলমগীর। চট্টগ্রামের বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক কাউসারের নেতৃত্বে সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বন্দরের পুলিশ কর্মকর্তা কাউসার উদ্দিন জানান, চট্টগ্রামে মোটরসাইকেল চুরির একটি বড় চক্র রয়েছে। এ চক্রের সদস্যসংখ্যা প্রায় অর্ধশত। মূলত মাদকের টাকা জোগাড় করতে বিত্তশালী পরিবারের ছেলেরা মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে।
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রামের মোটরসাইকেল চোর চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে নোয়াখালীর সেনবাগের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, এক মন্ত্রীর ছেলেসহ দুই নারী। অভিযানে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হলেও তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। চট্টগ্রাম থেকে চুরি করা মোটরসাইকেল লাকসাম ও চৌদ্দগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়।
No comments