জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে দুর্নীতি-খালেদার মামলা বাতিল আর্জির রায় আজ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা বাতিল হবে কি না, সে বিষয়ে আজ বুধবার রায় দেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার মামলাটি বাতিলে খালেদা জিয়ার আবেদনের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ ও বিচারপতি এস এইচ মো. নূরুল হুদা জায়গীরদারের বেঞ্চ রায়ের দিন ধার্য করেন। গত সোমবার খালেদা জিয়ার আবেদন আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে সুপ্রিম কোর্টের
আপিল বিভাগ নির্দেশ দেন। এক দিন পরই খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও সরকারপক্ষ শুনানি করে। আপিল বিভাগ আবেদনটি শুনানির জন্য বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ ও বিচারপতি এস এইচ মো. নুরুল হুদা জায়গীরদারের বেঞ্চকে দায়িত্ব দেন। এর আগে মামলা বাতিলের আবেদনটি বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার-উল হক ও বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়ার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির অপেক্ষায় ছিল। ওই বেঞ্চে খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বেঞ্চ পরিবর্তনের জন্য আপিল বিভাগে আবেদন জানিয়েছিলেন। আপিল বিভাগ আবেদন মঞ্জুর করে নতুন বেঞ্চকে দায়িত্ব দেন।
গত ৩০ নভেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের মামলা বাতিলের রুলের ওপর শুনানিতে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ওপর অনাস্থা জানান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ অনাস্থার আবেদন খারিজ করে দেন। পরে হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা চেম্বার আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতির কাছে আপিল করেন। চেম্বার জজ বিষয়টি শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার মামলা বাতিলের আবেদনটি শুনানির জন্য বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের বেঞ্চকে দায়িত্ব দেন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক হারুন অর রশিদ রমনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট এ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার অভিযোগ আমলে নেন। অন্যদিকে ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর বেগম জিয়া হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। হাইকোর্ট মামলা কেন বাতিল করা হবে না_কারণ জানাতে সরকারের প্রতি রুল জারি করেন। গতকাল ওই রুলের ওপর শুনানি হয়। সকাল থেকে শুরু হয়ে কার্যদিবসের শেষ পর্যন্ত শুনানি চলে। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ও অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। এ ছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম শুনানিতে অংশ নেন।
গত ৩০ নভেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের মামলা বাতিলের রুলের ওপর শুনানিতে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ওপর অনাস্থা জানান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ অনাস্থার আবেদন খারিজ করে দেন। পরে হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা চেম্বার আপিল বিভাগের চেম্বার জজ বিচারপতির কাছে আপিল করেন। চেম্বার জজ বিষয়টি শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। আপিল বিভাগ খালেদা জিয়ার মামলা বাতিলের আবেদনটি শুনানির জন্য বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের বেঞ্চকে দায়িত্ব দেন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক হারুন অর রশিদ রমনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট এ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার অভিযোগ আমলে নেন। অন্যদিকে ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর বেগম জিয়া হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। হাইকোর্ট মামলা কেন বাতিল করা হবে না_কারণ জানাতে সরকারের প্রতি রুল জারি করেন। গতকাল ওই রুলের ওপর শুনানি হয়। সকাল থেকে শুরু হয়ে কার্যদিবসের শেষ পর্যন্ত শুনানি চলে। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আনিসুল হক ও অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। এ ছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম শুনানিতে অংশ নেন।
No comments