ড্রোন ফেরত চেয়েছেন ওবামা ইরানের প্রত্যাখ্যান
ইরানে আটক অত্যাধুনিক মার্কিন স্টিলথ ড্রোনটি (চালকবিহীন গোয়েন্দা বিমান) ফেরত চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে তেহরানের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সোমবার হোয়াইট হাউসে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকির সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। তবে ওবামার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে তেহরান জানিয়েছে এটি এখন ইরানের সম্পদ। খবর বিবিসি, আল জাজিরা, এএফপি।
ড্রোন হারানোর কথা স্ব্বীকার করে সংবাদ সম্মেলনে ওবামা বলেন, 'তেহরানের কাছে আমরা এটা ফেরত চেয়েছি। আমরা দেখব, ইরান এ ব্যাপারে কী সাড়া দেয়।' এর পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমাদ ভাহিদি গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, আটক মার্কিন ড্রোনটি এখন ইরানের সম্পদ। তিনি ড্রোনটি ফেরতে ওবামার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। ভাহিদি বলেন, আমাদের দেশ এখন সিদ্ধান্ত নেবে এটি কী করা হবে। তিনি বলেন, ওবামা বোধহয় ভুলে গেছেন, ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে এটি ইরানের বিরুদ্ধে গুপ্তচরের কাজ করছিল, যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও একইভাবে ওবামার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রামিন রেহমানপরাস্ত বলেন, তারা আইন লঙ্ঘন করে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে ড্রোন ফেরত চেয়েছেন।
ভেনিজুয়েলার একটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ বলেছেন, ইরান ড্রোনটির প্রযুক্তিগত বিষয় বিশ্লেষণ করে দেখবে। তিনি বলেন, চালকবিহীন গোয়েন্দা বিমান তৈরির ক্ষেত্রে ইরান অনেক এগিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন জানিয়েছেন, ড্রোনটি ফেরত পাবেন বলে তিনি মনে করছেন না।
ইরান চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছে। এ ঘটনায় নিন্দা জানানোর জন্যও জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তেহরান।
ইরানের সেনাবাহিনী চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টানিয়েল আর কিউ-১৭০ ড্রোনটি আটক করে। গত সপ্তাহে ইরানের টেলিভিশনে আটক করা ড্রোনটির ছবিও দেখানো হয়।
ভেনিজুয়েলার একটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরানের প্রেসিডেন্ট আহমাদিনেজাদ বলেছেন, ইরান ড্রোনটির প্রযুক্তিগত বিষয় বিশ্লেষণ করে দেখবে। তিনি বলেন, চালকবিহীন গোয়েন্দা বিমান তৈরির ক্ষেত্রে ইরান অনেক এগিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন জানিয়েছেন, ড্রোনটি ফেরত পাবেন বলে তিনি মনে করছেন না।
ইরান চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে জাতিসংঘে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছে। এ ঘটনায় নিন্দা জানানোর জন্যও জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তেহরান।
ইরানের সেনাবাহিনী চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টানিয়েল আর কিউ-১৭০ ড্রোনটি আটক করে। গত সপ্তাহে ইরানের টেলিভিশনে আটক করা ড্রোনটির ছবিও দেখানো হয়।
No comments