দম্পতি খুনের মামলায় দণ্ডিত রুবেল ঢাকায়?-গ্রেফতারে পুলিশের গড়িমসির অভিযোগ by ইন্দ্রজিৎ সরকার
পুলিশের খাতায় 'পলাতক' জোড়া খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী মোহাম্মদ রুবেল ঢাকাতেই রয়েছে বলে বাদীপক্ষ দাবি করেছে। তারা বলছেন, ভুয়া কাগজে জামিন নিয়ে বের হওয়ার পর রুবেল বিয়ে করেছে। সম্প্রতি সে যমজ সন্তানের বাবা হয়েছে। রুবেলের মা হালিমা বেগম ছেলের অবস্থান না জানালেও বিয়ে ও সন্তানের তথ্য স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, আদালত জামিন বাতিলের পর রুবেল পালিয়ে যায়।
তবে পুত্রবধুর সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। নিহত দম্পতির স্বজনদের অভিযোগ, রুবেল ও দণ্ডিত অপর আসামী মিথুন চন্দ্রকে গ্রেফতারে পুলিশ আন্তরিক নয়। আসামীপক্ষের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় পুলিশ ইচ্ছে করেই গড়িমসি করছে।
গুলশানের উত্তর বারিধারার কালাচাঁদপুর হাইস্কুল রোডের বাসায় গত বছরের ২৪ মার্চ সকালে খুন হন নার্সারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান ও তার স্ত্রী রুমানা নার্গিস। ছোট মেয়ে নিলুফার ইয়াসমীন ইতিকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় রুবেল তাদের গুলি করে হত্যা করে। এঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের হত্যা মামলায় রুবেলসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) স্থানান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে রুবেলসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় ডিবি। অভিযুক্ত অন্যরা হলো-ঘটনাস্থলে উপস্থিত রুবেলের বন্ধু মিথুন চন্দ্র, অস্ত্রের যোগানদাতা আলতাফ হোসেন আলতু ও সহযোগী মহিউদ্দিন আজাদ রাব্বী। তাদের মধ্যে রুবেল ও মিথুনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আলতুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এর আগেই ভুয়া কাগজপত্রে জামিন নিয়ে পালিয়ে যায় রুবেল ও মিথুন।
নিহত দম্পতির বড় মেয়ে সুমাইয়া ইয়াসমীন বীথি সমকালকে বলেন, ১০ মাস আগে জামিনে বের হওয়ার পর রুবেল কালাচাঁদপুর স্কুল রোডের বাসিন্দা ফাতেমাকে বিয়ে করে। দু'জনের মধ্যে আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পর তারা বাড্ডা এলাকায় বসবাস করছে বলে আমরা জেনেছি। সর্বশেষ তার যমজ সন্তান হওয়ার খবরও আমাদের কাছে এসেছে। অথচ আমরা গুলশান থানা পুলিশকে এসব জানালে তারা গুরুত্ব দেয় না। কোন অভিযোগ জানালে বলা হয়, আমরা নাকি সামান্য ঘটনায় বাড়াবাড়ি করছি। মা-বাবা ও স্ত্রীর সঙ্গে রুবেলের যোগাযোগ রয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই রুবেলের অবস্থান জানা যাবে। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ ইচ্ছে করেই আসামীদের গ্রেফতার করছে না। মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তারা চুপচাপ বসে আছে।
রাজধানীর গুলশানের নদ্দা এলাকার বাসায় থাকেন রুবেলের মা হালিমা বেগম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, রুবেলের যমজ সন্তান হয়েছে। কিন্তু এখন শিশু দু'টি গুরুতর অসুস্থ। ঢাকার একটি হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। রুবেলের স্ত্রীর যাবতীয় খরচ তিনি বহন করছেন বলেও জানান। তবে রুবেল বর্তমানে কোথায় আছে, তা জানেন না বলে তিনি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশের গুলশান জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) লুৎফুল কবীর সমকালকে বলেন, আসামী গ্রেফতারে পুলিশের অবহেলার অভিযোগ ঠিক নয়। বাদীপক্ষের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা রুবেলের অবস্থান নির্ণয়ের চেষ্টা করছি। তবে এখন পর্যন্ত জোরালো কোন তথ্য মেলেনি।
গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ আলম সমকালকে বলেন, আসামীরা এলাকায় নেই। ভুয়া কাজপত্রে জামিন নেওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, তারা দূরে কোথাও পালিয়েছে। ডিবির সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এ ব্যাপারে বলেন, রুবেল ও মিথুন বিদেশে পালিয়ে গেছেন বলে শোনা গেছে।
সূত্র জানায়, ভুয়া একটি ঘটনার কাগজপত্র দাখিল করে ২৩ জানুয়ারী জামিন নেয় রুবেল ও মিথুন। এরপর ২৭ জানুয়ারী তারা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়। এ ব্যাপারে আবেদন করা হলে আদালত রুবেল ও মিথুনের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। পরে ৮ জুন রুবেলের ভগি্নপতি মহিউদ্দীন রাব্বীকে গ্রেফতার করে ডিবি। দু'দিন পর জামিন জালিয়াতিতে জড়িত আইনজীবী মনির হোসেন, মনিরুজ্জামান ও তাদের সহযোগী ফারুক আহম্মেদকেও গ্রেফতার করা হয়।
গুলশানের উত্তর বারিধারার কালাচাঁদপুর হাইস্কুল রোডের বাসায় গত বছরের ২৪ মার্চ সকালে খুন হন নার্সারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান ও তার স্ত্রী রুমানা নার্গিস। ছোট মেয়ে নিলুফার ইয়াসমীন ইতিকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় রুবেল তাদের গুলি করে হত্যা করে। এঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের হত্যা মামলায় রুবেলসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) স্থানান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে রুবেলসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় ডিবি। অভিযুক্ত অন্যরা হলো-ঘটনাস্থলে উপস্থিত রুবেলের বন্ধু মিথুন চন্দ্র, অস্ত্রের যোগানদাতা আলতাফ হোসেন আলতু ও সহযোগী মহিউদ্দিন আজাদ রাব্বী। তাদের মধ্যে রুবেল ও মিথুনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আলতুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এর আগেই ভুয়া কাগজপত্রে জামিন নিয়ে পালিয়ে যায় রুবেল ও মিথুন।
নিহত দম্পতির বড় মেয়ে সুমাইয়া ইয়াসমীন বীথি সমকালকে বলেন, ১০ মাস আগে জামিনে বের হওয়ার পর রুবেল কালাচাঁদপুর স্কুল রোডের বাসিন্দা ফাতেমাকে বিয়ে করে। দু'জনের মধ্যে আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পর তারা বাড্ডা এলাকায় বসবাস করছে বলে আমরা জেনেছি। সর্বশেষ তার যমজ সন্তান হওয়ার খবরও আমাদের কাছে এসেছে। অথচ আমরা গুলশান থানা পুলিশকে এসব জানালে তারা গুরুত্ব দেয় না। কোন অভিযোগ জানালে বলা হয়, আমরা নাকি সামান্য ঘটনায় বাড়াবাড়ি করছি। মা-বাবা ও স্ত্রীর সঙ্গে রুবেলের যোগাযোগ রয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই রুবেলের অবস্থান জানা যাবে। তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ ইচ্ছে করেই আসামীদের গ্রেফতার করছে না। মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তারা চুপচাপ বসে আছে।
রাজধানীর গুলশানের নদ্দা এলাকার বাসায় থাকেন রুবেলের মা হালিমা বেগম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, রুবেলের যমজ সন্তান হয়েছে। কিন্তু এখন শিশু দু'টি গুরুতর অসুস্থ। ঢাকার একটি হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। রুবেলের স্ত্রীর যাবতীয় খরচ তিনি বহন করছেন বলেও জানান। তবে রুবেল বর্তমানে কোথায় আছে, তা জানেন না বলে তিনি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশের গুলশান জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) লুৎফুল কবীর সমকালকে বলেন, আসামী গ্রেফতারে পুলিশের অবহেলার অভিযোগ ঠিক নয়। বাদীপক্ষের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা রুবেলের অবস্থান নির্ণয়ের চেষ্টা করছি। তবে এখন পর্যন্ত জোরালো কোন তথ্য মেলেনি।
গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ আলম সমকালকে বলেন, আসামীরা এলাকায় নেই। ভুয়া কাজপত্রে জামিন নেওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে, তারা দূরে কোথাও পালিয়েছে। ডিবির সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এ ব্যাপারে বলেন, রুবেল ও মিথুন বিদেশে পালিয়ে গেছেন বলে শোনা গেছে।
সূত্র জানায়, ভুয়া একটি ঘটনার কাগজপত্র দাখিল করে ২৩ জানুয়ারী জামিন নেয় রুবেল ও মিথুন। এরপর ২৭ জানুয়ারী তারা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়। এ ব্যাপারে আবেদন করা হলে আদালত রুবেল ও মিথুনের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। পরে ৮ জুন রুবেলের ভগি্নপতি মহিউদ্দীন রাব্বীকে গ্রেফতার করে ডিবি। দু'দিন পর জামিন জালিয়াতিতে জড়িত আইনজীবী মনির হোসেন, মনিরুজ্জামান ও তাদের সহযোগী ফারুক আহম্মেদকেও গ্রেফতার করা হয়।
No comments