'যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না, তাদের সবাই ঘৃণা করে'
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম। একই সঙ্গে যারা 'যুদ্ধাপরাধীদের' বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে বা 'যুদ্ধাপরাধীদের' বিচারের পথে বাধা সৃষ্টি করছে তাদের ব্যাপারেও সরকারকে ব্যবস্থা নিতে দাবি জানানো হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের
গতকাল মঙ্গলবার সেগুনবাগিচায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের
চেয়ারপারসন এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার (বীর-উত্তম) এ দাবি জানান। তিনি বলেন, 'যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না, তাদের সবাই ঘৃণা করে। আমরাও যুদ্ধাপরাধীর বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। কিন্তু সরকার যে গতিতে এগোচ্ছে, তা যেন আরো দ্রুত হয়, সে দাবিই আমরা জানাচ্ছি। আশা করছি, অপরাধীরা প্রত্যেকেই ন্যায্য শাস্তি পাবে।'
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, '৪০ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ায় জাতির ললাট থেকে কলঙ্ক তিলক মোছার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিরোধী দল সরকারের সমালোচনা করবে, বিরুদ্ধাচরণ করবে_সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু গণতান্ত্রিক রাজনীতিচর্চার আবরণে মুক্তিযুদ্ধের মতো জাতীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে আঘাত করা হলে তখন আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারি না।'
বিভিন্ন সময়ে গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে আনা, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, আবদুল আলীমের মতো যুদ্ধাপরাধীকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়ায় ওই সব সরকারপ্রধানের তীব্র সমালোচনা করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এ কে খন্দকার বলেন, এটা করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও লাখো শহীদের আত্মত্যাগের প্রতি অসম্মান দেখানো হয়েছে।
বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানানো এবং বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মুক্তি দাবি করার তীব্র সমালোচনা করেন এ কে খন্দকার। তিনি বলেন, 'যারা গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অপহরণ ও অগি্নসংযোগের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে, স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ নিজস্ব আইনে তাদের বিচার করার ক্ষমতা রাখে। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার না হওয়া পর্যন্ত একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দেশপ্রেমিক জনগণ সজাগ থাকবেন। তাঁরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন। সরকার সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রেখে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন যে বিচার কার্যক্রম শুরু করেছে, সেই প্রক্রিয়াকে ভণ্ডুল বা বিতর্কিত করার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। এ বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন করা রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি ছাড়া কিছুই নয়।'
চৌদ্দ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও মানববন্ধন এবং ষোলো ডিসেম্বর বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনের কাছে প্রতীকী আত্মসমর্পণের চিত্র তুলে ধরার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) সি আর দত্ত (বীর-উত্তম), লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী, লে. জে. (অব.) হারুন অর রশীদ (বীরপ্রতীক), লেখক হারুন হাবীব প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, '৪০ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ায় জাতির ললাট থেকে কলঙ্ক তিলক মোছার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিরোধী দল সরকারের সমালোচনা করবে, বিরুদ্ধাচরণ করবে_সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু গণতান্ত্রিক রাজনীতিচর্চার আবরণে মুক্তিযুদ্ধের মতো জাতীয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে আঘাত করা হলে তখন আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারি না।'
বিভিন্ন সময়ে গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে আনা, মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, আবদুল আলীমের মতো যুদ্ধাপরাধীকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়ায় ওই সব সরকারপ্রধানের তীব্র সমালোচনা করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এ কে খন্দকার বলেন, এটা করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও লাখো শহীদের আত্মত্যাগের প্রতি অসম্মান দেখানো হয়েছে।
বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানানো এবং বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মুক্তি দাবি করার তীব্র সমালোচনা করেন এ কে খন্দকার। তিনি বলেন, 'যারা গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অপহরণ ও অগি্নসংযোগের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে, স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ নিজস্ব আইনে তাদের বিচার করার ক্ষমতা রাখে। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার না হওয়া পর্যন্ত একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দেশপ্রেমিক জনগণ সজাগ থাকবেন। তাঁরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন। সরকার সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রেখে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন যে বিচার কার্যক্রম শুরু করেছে, সেই প্রক্রিয়াকে ভণ্ডুল বা বিতর্কিত করার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। এ বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন করা রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি ছাড়া কিছুই নয়।'
চৌদ্দ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও মানববন্ধন এবং ষোলো ডিসেম্বর বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনের কাছে প্রতীকী আত্মসমর্পণের চিত্র তুলে ধরার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) সি আর দত্ত (বীর-উত্তম), লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী, লে. জে. (অব.) হারুন অর রশীদ (বীরপ্রতীক), লেখক হারুন হাবীব প্রমুখ।
No comments