বিজয় উৎসব-'মুক্তিযুদ্ধের শেষ নাই যুদ্ধাপরাধীর ক্ষমা নাই'
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধে নিখোঁজদের সন্ধান করার দাবি তোলেন প্রাবন্ধিক মফিদুল হক। এ সময় শিল্পীরা গেয়ে ওঠেন 'ভয় কী মরণে রাখিতে সন্তানে'। একই সঙ্গে নিখোঁজদের স্মরণে আলোক মশাল প্রজ্বালন করেন স্বজনরা। সঙ্গে ছিলেন জোট নেতা ও বিশিষ্টজনরা। যেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উপস্থিত সবার সঙ্গে সারাদেশের মানুষ এক সুরে একটাই দাবি তুলছে_ আমরা নিখোঁজ শ্রেষ্ঠ সন্তানদের খোঁজ চাই। এভাবে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত বিজয় উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ দাবির বিষয়টি উঠে আসে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে চার দিনব্যাপী বিজয় উৎসব শুরু হয়েছে। এবারের উৎসবের স্লোগান_ 'মুক্তিযুদ্ধের শেষ নাই, যুদ্ধাপরাধীর ক্ষমা নাই'। রাজধানীর আট স্থানে একযোগে চলবে এ উৎসব।
পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে জোটের শিল্পীরা জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সম্মিলিত দেশাত্মবোধক গান 'পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে রক্ত লাল রক্ত লাল'-এর তালে তালে পরিবেশন করা হয় দলীয় নৃত্য। মশাল প্রজ্বালনের মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় উৎসবের। বিজয়ের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৪০টি মশাল প্রজ্বালন করেন মুক্তিযুদ্ধে নিখোঁজদের স্বজন সারা আরা মাহমুদ, ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ মজুমদার, আমেনা খাতুন, শমী কায়সার, অনল রায়হান, জাহিদ রেজা নুর প্রমুখ।
জোটের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মফিদুল হক বলেন, হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা গহিন অন্ধকারে হারিয়ে গেছেন। তাদের ভাগ্যে সৎকারও জোটেনি। কীভাবে তারা নিখোঁজ হলেন তা জানতে চাই। বর্বর পাকিস্তানিসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আমরা জবাব চাই। তিনি বলেন, ভিয়েতনাম ও আর্জেন্টিনায় যেভাবে নিখোঁজদের সন্ধান করা হচ্ছে সেভাবে এখানেও সন্ধান চালাতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ। উৎসবের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহ্কাম উল্লাহ্। জোটের সভাপতি নাসিরউদ্দীন ইউসুফের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরা, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সেক্রেটারি জেনারেল ঝুনা চৌধুরী, গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শিল্পী ফকির আলমগীর, মামুনুর রশীদ ও কবি মুহম্মদ সামাদ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জোটের সহ-সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
বক্তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়া বাংলাদেশে। সৈয়দ শামসুল হকের শ্রুতিনাটক 'পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়' উপস্থাপনের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ হয়।
পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে জোটের শিল্পীরা জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সম্মিলিত দেশাত্মবোধক গান 'পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে রক্ত লাল রক্ত লাল'-এর তালে তালে পরিবেশন করা হয় দলীয় নৃত্য। মশাল প্রজ্বালনের মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় উৎসবের। বিজয়ের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৪০টি মশাল প্রজ্বালন করেন মুক্তিযুদ্ধে নিখোঁজদের স্বজন সারা আরা মাহমুদ, ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ মজুমদার, আমেনা খাতুন, শমী কায়সার, অনল রায়হান, জাহিদ রেজা নুর প্রমুখ।
জোটের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মফিদুল হক বলেন, হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা গহিন অন্ধকারে হারিয়ে গেছেন। তাদের ভাগ্যে সৎকারও জোটেনি। কীভাবে তারা নিখোঁজ হলেন তা জানতে চাই। বর্বর পাকিস্তানিসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আমরা জবাব চাই। তিনি বলেন, ভিয়েতনাম ও আর্জেন্টিনায় যেভাবে নিখোঁজদের সন্ধান করা হচ্ছে সেভাবে এখানেও সন্ধান চালাতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ। উৎসবের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহ্কাম উল্লাহ্। জোটের সভাপতি নাসিরউদ্দীন ইউসুফের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরা, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সেক্রেটারি জেনারেল ঝুনা চৌধুরী, গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শিল্পী ফকির আলমগীর, মামুনুর রশীদ ও কবি মুহম্মদ সামাদ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জোটের সহ-সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।
বক্তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়া বাংলাদেশে। সৈয়দ শামসুল হকের শ্রুতিনাটক 'পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়' উপস্থাপনের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ হয়।
No comments