ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন জোটের মতভেদ কমানোর উদ্যোগ

উরোজোনের চলমান আর্থিক সংকট কাটানোর প্রস্তাবে ভেটো দেওয়ায় ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন জোটে মতভেদ দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে জোটের শীর্ষ নেতারা বিষয়টি মধ্যস্থতার উদ্যোগ নিয়েছেন। খবর বিবিসি অনলাইনের।গত শুক্রবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোজোনের সংকট মোকাবেলায় ইইউর ২৬ সদস্য নতুন একটি আর্থিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। একমাত্র ব্রিটেন তাতে ভেটো দেয়। এতে নিজ দেশে তীব্র সমালোচনার মধ্যে পড়েন ব্রিটিশ


প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টি পক্ষে থাকলেও জোট সরকারের শরিক দল লিবারেল ডেমোক্রেট নেতা ও উপ-প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ কঠোর সমালোচনা করেছেন তার। পরিস্থিতি এমন দিকে গড়ায় যে গত সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন ব্যাখ্যা দিলে সে সময় হাউসেই যাননি নিক ক্লেগ। হাউস অব কমন্সে বরাবরই ক্যামেরনের পাশে বসেন নিক ক্লেগ। নিজের অনুপস্থিতির কারণ সম্পর্কে পরে এক সাক্ষাৎকারে ক্লেগ বলেন, 'হাউস অব কমন্সে আজ যাইনি, কারণ আমি চাইনি আমার উপস্থিতি কোনো বিরক্তির কারণ হোক।' বিরোধীদলীয় নেতা এড মিলিব্যান্ড নিক ক্লেগের অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে ক্যামেরন বলেন, তিনি কোথায় আছেন, সেটা জানা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।
গুরুত্বপূর্ণ এ ইস্যুতে টানাপড়েন সৃষ্টি হলেও জোট অক্ষত থাকবে বলে মনে করছেন লিবারেল ডেমোক্রেট দলীয় জ্যেষ্ঠ নেতারা। দলটির উপপ্রধান সিমন হেগস বলেছেন, ইইউ মতবিরোধ সত্ত্বেও জোট আগের মতোই শক্তিশালী রয়েছে।
প্রয়োজনে আবারও ভেটো দেব : ক্যামেরন : হাউস অব কমন্সে ইউরোজোন সংকট নিয়ে সোমবার টানা প্রায় দু'ঘণ্টা কথা বলেছেন ক্যামেরন। শতাধিক সাংসদের নানা প্রশ্নের উত্তরে ক্যামেরন বলেন, যা করেছি বুঝে শুনেই করেছি। প্রয়োজন হলে আবারও ভেটো দেব। যে ক'দিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকি, দেশের স্বার্থ বিকিয়ে কোনো কিছুতে সমর্থন দেওয়া অসম্ভব।
ক্যামেরন আরও বলেন, চুক্তিতে সম্মতি দেইনি ঠিক, তবে জাতীয় স্বার্থে ইইউর সদস্যপদ অবশ্যই বহাল থাকবে। নিজ দলের তুমুল করতালির মধ্যে ক্যামেরন বলেন, 'আমি একটা লক্ষ্য নিয়েই ব্রাসেলস গিয়েছি। তা হলো ব্রিটেনের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা। আমি তাই করেছি।' ইইউর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ব্রিটেন কাজ অব্যাহত রাখবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

No comments

Powered by Blogger.