বুদ্ধিজীবী দিবস : শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়-মুক্তিযুদ্ধ কর্নার by ফাহিম মুনতাসির

রুণ সমাজ ও আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পেঁৗছে দেওয়া বর্তমান প্রজন্মের দায়িত্ব। সে তাগিদ থেকেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ কর্নার চালু করা হয়েছে।' এভাবেই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে 'মুক্তিযুদ্ধ কর্নার' চালুর পেছনের কথা জানালেন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। ২০০৯ সালের ২৬ মার্চ কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির চতুর্থ তলায় উদ্বোধন করা হয় এই মুক্তিযুদ্ধ কর্নার। এর মূল আকর্ষণ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রায়


৭০০ বই। এ ছাড়াও রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের পোস্টার, আলোকচিত্র, ভিডিও ক্যাসেট এবং কনসার্টের গুরুত্বপূর্ণ দলিল। কর্নারের বইগুলো সৌজন্য হিসেবে দিয়েছেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক। কর্নারটি প্রতিষ্ঠার পেছনে জাফর ইকবাল এবং ড. ইয়াসমিন হক ছাড়াও উদ্যোগী ভূমিকা রেখেছেন ড. সুশান্ত কুমার দাস এবং পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আশরাফুল আলম। উদ্বোধনের পর থেকে প্রতিদিনই এখানে ভিড় করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা। পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রাজ্জাকুজ্জামান মুক্তিযুদ্ধ কর্নার ঘুরে দেখে বললেন, 'মুক্তিযুদ্ধের অনেক অজানা জিনিস জানতে পারছি এখানে এসে। আমরা মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি। কিন্তু এখানে এসে বইগুলো পড়লে সেই সময়কে উপলব্ধি করতে পারি।' মুক্তিযুদ্ধ কর্নার সম্পর্কে বলতে গিয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজিয়া হক চৌধুরী জানালেন_'এমন একটি সংগ্রহ থাকায় জাতীয় দিবসগুলোতে আমরা সহজেই সেমিনারের আয়োজন করতে পারছি।'

No comments

Powered by Blogger.