সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী-নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে আপস নয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার জাতির জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো কিছুই মেনে নেবে না। সরকার সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান ও শান্তিতে বিশ্বাস করে এবং সব বিতর্কিত বিষয়ের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। দেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র হচ্ছে_ 'সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়'। তবে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা কারও সঙ্গেই আপস করব না। গতকাল মঙ্গলবার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ পরিচালিত ন্যাশনাল ডিফেন্স
কোর্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স ২০১১-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশ ছোট হলেও জাতি হিসেবে আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য এবং গর্ব করার অনেক কিছু রয়েছে। বর্তমান সরকার সব ধরনের উগ্রবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন
তিনি।
মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সাংসদ, তিন বাহিনীর প্রধান, ক্যাবিনেট সচিব, প্রতিরক্ষা সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং পদস্থ বেসামরিক-সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও সময়োপযোগী করে গড়ে তুলতে দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, বর্তমান সরকার অনেক কষ্টে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষায় আধুনিক ও শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গঠনে যা কিছু করা প্রয়োজন তার সবই করবে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এরপরও সরকার একটি আধুনিক ও শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনীর গুরুত্ব অনুভব করে সশস্ত্র বাহিনীর সব প্রয়োজন আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করছে। 'সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে অতীতের যে কোনো সরকারের চেয়ে গত তিন বছরে অনেক বেশি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে' উল্লেখ করে তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এনডিসি) উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের আশ্বাস দেন। শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিশেষ করে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের সামগ্রিক উন্নয়নের যে কোনো বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হয় এবং ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও তা বহাল থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর মূল দায়িত্ব হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। এ গুরুদায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় তারা প্রশংসীয় ভূমিকা পালন করছে। দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দরে খাদ্যশস্য খালাস, যানজট নিরসন, গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন, জাতীয় আইডি কার্ড ও ভোটার তালিকা এবং মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট তৈরিসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা ে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা বিদেশে জাতিসংঘ মিশনে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আগের মেয়াদে তার সরকার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং উচ্চ পর্যায়ের সিভিল সার্ভিস অফিসারদের পেশাগত দক্ষতার গুণগত মান বাড়ানোর জন্য ১৯৯৮ সালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সশস্ত্র বাহিনী ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। যারা ত্রয়োদশ ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স এবং দশম আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স সফলতার সঙ্গে শেষ করেছেন তিনি তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
এ বছর এনডিসি কোর্স-২০১১তে ৫৩ জন অংশ নেন। তাদের মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশের এবং ২১ জন অন্যান্য রাষ্ট্রের। দশম আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সে অংশগ্রহণকারী ২৪ জনের সবাই বাংলাদেশি। শেখ হাসিনা ত্রয়োদশ ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স এবং দশম আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশ ছোট হলেও জাতি হিসেবে আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য এবং গর্ব করার অনেক কিছু রয়েছে। বর্তমান সরকার সব ধরনের উগ্রবাদ এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন
তিনি।
মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সাংসদ, তিন বাহিনীর প্রধান, ক্যাবিনেট সচিব, প্রতিরক্ষা সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং পদস্থ বেসামরিক-সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও সময়োপযোগী করে গড়ে তুলতে দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, বর্তমান সরকার অনেক কষ্টে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষায় আধুনিক ও শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গঠনে যা কিছু করা প্রয়োজন তার সবই করবে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এরপরও সরকার একটি আধুনিক ও শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনীর গুরুত্ব অনুভব করে সশস্ত্র বাহিনীর সব প্রয়োজন আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করছে। 'সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে অতীতের যে কোনো সরকারের চেয়ে গত তিন বছরে অনেক বেশি কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে' উল্লেখ করে তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এনডিসি) উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের আশ্বাস দেন। শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিশেষ করে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের সামগ্রিক উন্নয়নের যে কোনো বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হয় এবং ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও তা বহাল থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর মূল দায়িত্ব হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। এ গুরুদায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় তারা প্রশংসীয় ভূমিকা পালন করছে। দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, বন্দরে খাদ্যশস্য খালাস, যানজট নিরসন, গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন, জাতীয় আইডি কার্ড ও ভোটার তালিকা এবং মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট তৈরিসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা ে সশস্ত্র বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা বিদেশে জাতিসংঘ মিশনে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আগের মেয়াদে তার সরকার সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং উচ্চ পর্যায়ের সিভিল সার্ভিস অফিসারদের পেশাগত দক্ষতার গুণগত মান বাড়ানোর জন্য ১৯৯৮ সালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সশস্ত্র বাহিনী ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। যারা ত্রয়োদশ ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স এবং দশম আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স সফলতার সঙ্গে শেষ করেছেন তিনি তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
এ বছর এনডিসি কোর্স-২০১১তে ৫৩ জন অংশ নেন। তাদের মধ্যে ৩২ জন বাংলাদেশের এবং ২১ জন অন্যান্য রাষ্ট্রের। দশম আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সে অংশগ্রহণকারী ২৪ জনের সবাই বাংলাদেশি। শেখ হাসিনা ত্রয়োদশ ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স এবং দশম আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সে অংশগ্রহণকারীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।
No comments