ভূপাতিত ড্রোন ফেরত চায় যুক্তরাষ্ট্র, ইরানের প্রত্যাখ্যান-এটা এখন তেহরানের নিজস্ব সম্পত্তি
ভূপাতিত করা মার্কিন ড্রোনকে (চালকবিহীন বিমান) 'নিজস্ব সম্পত্তি' হিসেবে উল্লেখ করেছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ড্রোনটি ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। ইরান তাও প্রত্যাখ্যান করেছে। ইরানের বিশেষজ্ঞরা এ ড্রোনের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তির অর্থোদ্ধার করেছেন এবং খুব শিগগির এর চেয়েও শক্তিশালী ড্রোন বানানোর দাবি করেছেন। ইরানের দাবি, গত ৪ ডিসেম্বর তাদের সেনারা পূর্বাঞ্চলীয় কাশমার শহরে (আফগান
সীমান্তের কাছে) গুলি করে মার্কিন গোয়েন্দা বিমানটি ভূপাতিত করে। গত বৃহস্পতিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে যুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত আরকিউ-১৭০ মডেলের ড্রোনটির ভিডিওচিত্র দেখানো হয়। ইরান দাবি করে, আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ড্রোনটি ইরানে অনুপ্রবেশ করেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানে মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করার খবর অস্বীকার করলেও আফগানিস্তানে নিযুক্ত ন্যাটো বাহিনী জানায়, আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চল থেকে তাদের একটি মার্কিন ড্রোন হারানো গেছে। সেটিই হয়তো ইরানের হাতে পড়েছে।
ইরানের কাছে থাকা ড্রোনটি যুক্তরাষ্ট্রের_এ কথা স্বীকার করে গত সোমবার ওবামা বলেন, 'আমরা সেটি ফেরত চাচ্ছি। এ ব্যাপারে ইরানের প্রতিক্রিয়া লক্ষ করব আমরা।' তবে ড্রোনটি কী উদ্দেশ্যে ইরানে ঢুকেছিল বা সেটি কেন আফগানিস্তানে ফেরত যেতে ব্যর্থ হলো, সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। ওবামার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদি গতকাল মঙ্গলবার বলেন, 'আমেরিকার ড্রোনটি এখন ইরানের সম্পত্তি। এ ব্যাপারে ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তও আমাদের দেশই নেবে। ইরানের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র নির্লজ্জভাবে এটি ফেরত চাচ্ছে। ইরান নিজের প্রতিরক্ষা বা স্বার্থরক্ষার ব্যাপারে এক পাও পিছপা হবে না।' ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছে।
ইরান মার্কিন ড্রোনের প্রযুক্তি শিখে নিয়ে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে বলে গত সপ্তাহে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। ইরানের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটির প্রধান পারভিস সোরোউরি গত সোমবার জানান, ইরান মার্কিন ড্রোনের প্রযুক্তির অর্থোদ্ধারের একেবারে শেষ পর্যায়ে আছে। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে এর চেয়েও শক্তিশালী ড্রোন তৈরি করা এবং গণহারে তার উৎপাদন করা।' সূত্র : এএফপি।
ইরানের কাছে থাকা ড্রোনটি যুক্তরাষ্ট্রের_এ কথা স্বীকার করে গত সোমবার ওবামা বলেন, 'আমরা সেটি ফেরত চাচ্ছি। এ ব্যাপারে ইরানের প্রতিক্রিয়া লক্ষ করব আমরা।' তবে ড্রোনটি কী উদ্দেশ্যে ইরানে ঢুকেছিল বা সেটি কেন আফগানিস্তানে ফেরত যেতে ব্যর্থ হলো, সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। ওবামার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আহমেদ ওয়াহিদি গতকাল মঙ্গলবার বলেন, 'আমেরিকার ড্রোনটি এখন ইরানের সম্পত্তি। এ ব্যাপারে ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্তও আমাদের দেশই নেবে। ইরানের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র নির্লজ্জভাবে এটি ফেরত চাচ্ছে। ইরান নিজের প্রতিরক্ষা বা স্বার্থরক্ষার ব্যাপারে এক পাও পিছপা হবে না।' ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছে।
ইরান মার্কিন ড্রোনের প্রযুক্তি শিখে নিয়ে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে বলে গত সপ্তাহে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। ইরানের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক পার্লামেন্টারি কমিটির প্রধান পারভিস সোরোউরি গত সোমবার জানান, ইরান মার্কিন ড্রোনের প্রযুক্তির অর্থোদ্ধারের একেবারে শেষ পর্যায়ে আছে। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে এর চেয়েও শক্তিশালী ড্রোন তৈরি করা এবং গণহারে তার উৎপাদন করা।' সূত্র : এএফপি।
No comments