মমতার কাছে শিক্ষণীয় by মোহাম্মদ নুরাল হক
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী। একজন নির্ভেজাল জননেত্রী হিসেবে তার ব্যাপারে জনশ্রুতি আছে। এ ব্যাপারে সন্দেহের কোনো অবকাশও বোধ করিনি। আমাদের দেশের বেশিরভাগ নেতানেত্রীর মতো শুধুই কথনে নয়, প্রকৃতই কাজে। কারণ জনজোয়ারে তিনি হিমালয় পর্বতসম বাধা অতিক্রম করে নিজেকে পশ্চিমবঙ্গ ছাপিয়ে ভারতের জনতার নেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বাংলাদেশে রাজনৈতিক অঙ্গনেও এখন একটি
আলোচিত নাম_ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশে তিনি নতুন করে আলোচিত হওয়ার কারণ তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তিতে শেষ মুহূর্তে বাগড়া দেওয়া। বলাবাহুল্য, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তো আর আমাদের মতো 'নিজের খেয়ে বনের মোষ' তাড়াবেন না। তিনি পশ্চিমবঙ্গের জনমানুষের লাভ-লোকসান খতিয়ে দেখবেন, তাই তো স্বাভাবিক। সঙ্গত কারণেই লাভের পাল্লা তিনি পশ্চিমবঙ্গের দিকেই তো দেখতে চাইবেন। তিস্তার পানি বেশি পাওয়ার ব্যাপারে তার অনড় অবস্থান হতে পারে আমাদের কাছে নির্মমতা। কিন্তু মমতার জন্য দেশপ্রেম। তার রাজ্যের মানুষের জন্য মমতা। এ ক্ষেত্রে আমরা আমাদের দেশের লাভ-লোকসান খতিয়ে দেখি না কেন? দেখতে বাধা কোথায়? দোষ কিসের? তিস্তার পানি চুক্তিতে এবং সদ্য উদ্ভূত টিপাইমুখ বাঁধের প্রসঙ্গসহ নানা বিষয়ে মমতার মতো নির্মমতা প্রদর্শন করে আমরাও কি দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারি না?
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'আমি চাই দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ অটুট থাকুক। তিস্তা পানি বণ্টনে আমার কোনো আপত্তি নেই, তবে দেখতে হবে আমার রাজ্যের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। কতটা পানি ছাড়া যেতে পারে তা একমাত্র বলতে পারবেন নদী বিশেষজ্ঞরা। আমি বিশেষজ্ঞ নই।' এর জন্য কমিটি গঠন করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (দৈনিক আমার দেশ, ১৭ নভেম্বর-২০১১)।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উলি্লখিত বক্তব্য থেকে আমাদের নেতানেত্রীদের দুটি শিক্ষণীয় বিষয়ের ওপর কিছুটা আলোকপাত করা দেরিতে হলেও সমীচীন মনে করছি। প্রথমত, আমাদের কাছে তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি ভণ্ডুল হওয়াটা মমতার নির্মমতা হলেও এ ব্যাপারে মমতা তার রাজ্যের জনমানুষের কাছে যে কোনো মানেই নন্দিত। দ্বিতীয়ত, 'কতটা পানি ছাড়া যেতে পারে তা একমাত্র বলতে পারবেন নদী বিশেষজ্ঞরা। আমি বিশেষজ্ঞ নই।' এমন বক্তব্যের মাধ্যমে মমতা জননেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কী পরিমাণ বিনম্রতা প্রদর্শন করলেন তার দেশের বিশেষজ্ঞদের প্রতি, তা কি কোনোভাবে ছোট করে দেখার সুযোগ আছে? আমাদের দুর্ভাগ্য, আমাদের নেতানেত্রীরা 'সবাই রাজা, তাদের এই রাজার রাজত্বে'।
ব্রিগেডিয়ার (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নুরাল হক পিএসসি : সাবেক সেনা কর্মকর্তা
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'আমি চাই দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ অটুট থাকুক। তিস্তা পানি বণ্টনে আমার কোনো আপত্তি নেই, তবে দেখতে হবে আমার রাজ্যের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। কতটা পানি ছাড়া যেতে পারে তা একমাত্র বলতে পারবেন নদী বিশেষজ্ঞরা। আমি বিশেষজ্ঞ নই।' এর জন্য কমিটি গঠন করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (দৈনিক আমার দেশ, ১৭ নভেম্বর-২০১১)।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উলি্লখিত বক্তব্য থেকে আমাদের নেতানেত্রীদের দুটি শিক্ষণীয় বিষয়ের ওপর কিছুটা আলোকপাত করা দেরিতে হলেও সমীচীন মনে করছি। প্রথমত, আমাদের কাছে তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তি ভণ্ডুল হওয়াটা মমতার নির্মমতা হলেও এ ব্যাপারে মমতা তার রাজ্যের জনমানুষের কাছে যে কোনো মানেই নন্দিত। দ্বিতীয়ত, 'কতটা পানি ছাড়া যেতে পারে তা একমাত্র বলতে পারবেন নদী বিশেষজ্ঞরা। আমি বিশেষজ্ঞ নই।' এমন বক্তব্যের মাধ্যমে মমতা জননেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কী পরিমাণ বিনম্রতা প্রদর্শন করলেন তার দেশের বিশেষজ্ঞদের প্রতি, তা কি কোনোভাবে ছোট করে দেখার সুযোগ আছে? আমাদের দুর্ভাগ্য, আমাদের নেতানেত্রীরা 'সবাই রাজা, তাদের এই রাজার রাজত্বে'।
ব্রিগেডিয়ার (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নুরাল হক পিএসসি : সাবেক সেনা কর্মকর্তা
No comments