সালিসে 'প্রেমের মূল্য' ৩০ হাজার টাকা-অপমানে আত্মহত্যা কিশোরীর
আমাকে তোমরা মাফ করে দিও। আমার জন্য তোমরা কত অপমান হয়েছ। আমার জন্য তোমরা হয়তো এখন কারো সামনে উঁচু নজরে কথা বলতে পারবে না, তাই আমার পাপের শাস্তি আমি নিজেই নিজের হাতে দিলাম। তোমরা সবাই আমাকে মাফ করে দিও। আমার মতো মেয়ে তোমাদের থাকার চেয়ে না থাকা অনেক ভালো। তোমরা আমাকে ছোট থেকে অনেক বড় করেছ; আমি জানি, তোমাদের এই ঋণ আমি কখনো শোধ করতে পারব না...।
' গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গের কাছে মেয়ের হাতে লেখা শেষ চিঠির এই অংশটুকুর বেশি পড়তে পারলেন না মোহাম্মদ আলমগীর। তাঁর কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে চারপাশ।
রাজধানীর দক্ষিণ মাণ্ডা এলাকার এই রিকশাচালকের ১৫ বছরের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শাহনাজ পারভীন সোমবার গলায় ফাঁস দেয়। আত্মহত্যার আগে একটি চিঠি লিখে গেছে শাহনাজ। ওই চিঠি দেখিয়ে পুলিশ ও অভিভাবকরা দাবি করছেন, টাঙ্গাইলে গ্রামের বাড়িতে এক ছাত্রের সঙ্গে প্রেমের কারণে গ্রাম্য সালিসের বিচারই তার মৃত্যুর জন্য দায়ী। সালিস বৈঠকের অপমান সইতে না পেরেই ফাঁস দিয়েছে শাহনাজ। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
শাহনাজের স্বজনদের অভিযোগ, মালেক নামের ওই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়েছিল শাহনাজ। প্রেমিকের প্রতারণার শিকার হয়ে দুই দিন পর বাড়ি ফিরে সে। ওই ঘটনায় গ্রামের 'মান-সম্মান' ক্ষুণ্ন হয়েছে দাবি করে সালিস ডাকেন গণ্যমান্যরা। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারের উপস্থিতিতে সালিসে মালেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়। সালিসে নিজের ও পরিবারের অপমান সইতে না পেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় শাহনাজ।
'মরার আগে একটাই চাওয়া, যে টাকা মালেকদের বাড়ি থেকে দিয়েছে সে টাকাটা তোমরা ফেরত দেবে, যেভাবেই হোক। এই চাওয়াটা তোমরা আমার পূরণ করবে। তোমরা সবাই ভালো থেক...' চিঠির শেষভাগে এভাবেই স্বজনদের কাছে অনুরোধ জানায় শাহনাজ। তবে তার বাবা আলমগীর দাবি করেন, সালিসে নির্ধারিত ওই টাকা তাঁরা নেননি। শাহনাজের স্বজনরা জানায়, শাহনাজ ছিল রাজধানীর দক্ষিণ মাণ্ডার সিটি কলোনিতে ইউনিসেফ পরিচালিত স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। বাবা-মায়ের সঙ্গে সে মাণ্ডার লাল মিয়া রোডের গিয়াসউদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকত। বাবা আলমগীর ওই এলাকার রিকশাচালক।
রাজধানীর দক্ষিণ মাণ্ডা এলাকার এই রিকশাচালকের ১৫ বছরের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শাহনাজ পারভীন সোমবার গলায় ফাঁস দেয়। আত্মহত্যার আগে একটি চিঠি লিখে গেছে শাহনাজ। ওই চিঠি দেখিয়ে পুলিশ ও অভিভাবকরা দাবি করছেন, টাঙ্গাইলে গ্রামের বাড়িতে এক ছাত্রের সঙ্গে প্রেমের কারণে গ্রাম্য সালিসের বিচারই তার মৃত্যুর জন্য দায়ী। সালিস বৈঠকের অপমান সইতে না পেরেই ফাঁস দিয়েছে শাহনাজ। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
শাহনাজের স্বজনদের অভিযোগ, মালেক নামের ওই প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়েছিল শাহনাজ। প্রেমিকের প্রতারণার শিকার হয়ে দুই দিন পর বাড়ি ফিরে সে। ওই ঘটনায় গ্রামের 'মান-সম্মান' ক্ষুণ্ন হয়েছে দাবি করে সালিস ডাকেন গণ্যমান্যরা। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারের উপস্থিতিতে সালিসে মালেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়। সালিসে নিজের ও পরিবারের অপমান সইতে না পেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় শাহনাজ।
'মরার আগে একটাই চাওয়া, যে টাকা মালেকদের বাড়ি থেকে দিয়েছে সে টাকাটা তোমরা ফেরত দেবে, যেভাবেই হোক। এই চাওয়াটা তোমরা আমার পূরণ করবে। তোমরা সবাই ভালো থেক...' চিঠির শেষভাগে এভাবেই স্বজনদের কাছে অনুরোধ জানায় শাহনাজ। তবে তার বাবা আলমগীর দাবি করেন, সালিসে নির্ধারিত ওই টাকা তাঁরা নেননি। শাহনাজের স্বজনরা জানায়, শাহনাজ ছিল রাজধানীর দক্ষিণ মাণ্ডার সিটি কলোনিতে ইউনিসেফ পরিচালিত স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। বাবা-মায়ের সঙ্গে সে মাণ্ডার লাল মিয়া রোডের গিয়াসউদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকত। বাবা আলমগীর ওই এলাকার রিকশাচালক।
No comments