সাদাসিধে জীবন বিবেকের কণ্ঠস্বর by আজিজুল পারভেজ
প্রতিদিনের মতো গতকালও শিশির ভেজা ভোরে জেগে ওঠার কথা ছিল তাঁর। এরপর নোবেল জয়ী জাপানি সাহিত্যিক জে এম কুৎজির উপন্যাস 'হার্ট অব কান্ট্রি' অনুবাদের কাজ শুরুর কথাও ছিল। তবে তা আর হওয়ার নয়। রাত পার হওয়ার আগেই ভোরে চিরতরে চলে গেলেন অধ্যাপক কবীর চৌধুরী। তাঁর প্রয়াণের ফলে 'দেশের প্রাণকেন্দ্র' নামের ওই অনুবাদ সাহিত্যের জন্মের আগে ইতি ঘটল।
কবীর চৌধুরীর মেয়ে অধ্যাপক শাহীন কবীর বলেন, ''গত রাতেই বাবা উপন্যাসটির অনুবাদ নিয়ে কথা বললেন। খুবই উৎসাহী ছিলেন এই বইটি নিয়ে। কী নাম হতে পারে, জানতে চাইলেন। বললাম, 'দেশের প্রাণকেন্দ্র'। শুনেই প্রাণখোলা একটি হাসি দিলেন। বললেন_তাই হবে, আমারও পছন্দ হয়েছে।'' তিনি জানান, কবীর চৌধুরী একসঙ্গে অনেকগুলো অনুবাদের কাজ করতেন। গত মঙ্গলবার শেষ করেন এ এস বায়াটের রূপকথার গল্প।
৮৮ বছর বয়সেও পূর্ণ উদ্যোমে কাজ করে গেছেন কবীর চৌধুরী। বিরামহীন লেখালেখির পাশাপাশি সভা-সমাবেশেও উপস্থিত হতেন। অসামান্য মনীষায় যুক্তি আর জ্ঞানের আলো ছড়াতেন। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার। মানবতাবিরোধী অপরাধ, সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে নিরন্তর কথা বলেছেন। দাঁড়িয়েছেন রাজপথে। তিনি জাতির বিবেকের কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়েছিলেন। এ অভিমত বিশিষ্টজনদেরও।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, 'বড় ভাইয়ের মতো ছিলেন কবীর চৌধুরী। তাঁর মৃত্যুতে যে ক্ষতি হয়েছে, তা কোনোভাবেই পূরণ করা সম্ভব নয়।'
নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, 'কবীর চৌধুরী ছিলেন একেবারে সাদামাটা মানুষ। আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে অনীহা ছিল তাঁর। সারাক্ষণই পড়াশোনা আর লেখালেখি নিয়ে থাকতেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি অবিরাম লিখে গেছেন। জীবনে প্রতিবাদ ছিল তাঁর সহজাত। অন্যায়ের প্রতিবাদে ছিল তাঁর উচ্চ কণ্ঠ। আবার তাঁর মতো উদার মনের মানুষ সমাজে বিরল।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, 'কবীর চৌধুরী ছিলেন প্রগতিশীল আন্দোলনের বড় শক্তি। '৭৫ পরবর্তী সময়েও তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে রেখেছিলেন। কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা মারা গেলে রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হয়। কবীর চৌধুরীর অভাবও পূরণ হওয়ার নয়।'
যুদ্ধাপরাধবিরোধী আন্দোলনের নেতা শাহরিয়ার কবির বলেন, '৪০ বছর ধরে আমাদের নাগরিক আন্দোলনের পথপ্রদর্শক ছিলেন কবীর চৌধুরী। মৌলবাদ, যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, সামাজ্যবিরোধী আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক ও নাগরিক আন্দোলন, মিছিল-মিটিংয়ে তিনি থাকতেন সর্বাগ্রে। তিনি আমাদেরকে বটবৃক্ষের মতো ছায়া দিতেন।' তিনি বলেন, '৯২ সালে গণ-আদালত বসিয়ে যখন গোলাম আযমের বিচার করা হয়, তখন সেই আদালতের বিচারক ছিলেন কবীর চৌধুরী। কিন্তু বিচারের শেষটা তিনি দেখে যেতে পারলেন না।
প্রাবন্ধিক মফিদুল হক বলেন, 'কবীর চৌধুরী গড়ে প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা লেখালেখি ও পড়াশোনা করতেন। যেখানেই তিনি যান কেন, তাঁর সঙ্গে থাকত বই। এতটুকু অবসর পেলেই বই খুলে পড়তে শুরু করতেন। তিনি নিয়ম মেনে ঘুম থেকে ওঠতেন। খাবার খেতেন। পড়াশোনা লেখালেখি করতেন। তাঁর মধ্যে কোনো অহংবোধ ছিল না। তিনি চেয়েছিলেন স্বাভাবিক মৃত্যু। বাস্তবেও তা-ই হলো। '
রাজনীতিবিদ মঞ্জুরুল আহসান খান বলেন, 'বাংলাদেশের চেতনাদীপ্ত সব আন্দোলনের স্থপতি ছিলেন কবীর চৌধুরী। ছিলেন অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠস্বর ও প্রতিবাদী লেখক। তিনি ছিলেন জাতির বিবেক। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়েছেন।'
মৃত্যু-পরবর্তী আড়ম্বরতার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা : বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী কবীর চৌধুরী ব্যক্তিগতভাবে সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। মৃত্যু-পরবর্তী সময়েও সাধারণ মানুষের কাতারে শামিল হওয়া ইচ্ছা ব্যক্ত করে গেছেন তিনি। ২০০৬ সালে একবার অসুস্থ হয়ে পড়ার পর মৃত্যু-পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে তাঁর ইচ্ছাগুলো লিখিতভাবে স্বজনদের জানান তিনি। তাঁর ইচ্ছার মধ্যে ছিল তাঁর মরদেহ নিয়ে যেন আড়ম্বরপূর্ণ কিছু করা না হয়। শহীদ মিনারের আয়োজন যেন বাদ দেওয়া হয়। শেষ গোসলের সাত-আট ঘণ্টার মধ্যে যেন তাঁকে আজিমপুর, বনানী কিংবা সাধারণ কোনো কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। এই কবরে অন্য কারো কবর থাকলেও কোনো অসুবিধা নেই। নিকটতম কোনো মসজিদে যেন একটিই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মৃত্যু-পরবর্তী ব্যয়বহুল অন্যান্য অনুষ্ঠানও যেন বর্জন করা হয়। তাঁর সেই ইচ্ছা অনুসরণের চেষ্টা করা হয়। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবর্তে কবরের সাধারণের অংশে সমাহিত করা হয়েছে তাঁকে।
শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা : কবীর চৌধুরী শুধু শিল্প-সংস্কৃতি-সাহিত্যের চর্চাই করে যাননি। তিনি পৃষ্ঠপোষকতাও করেছেন। নিজের ও তাঁর স্ত্রীর নামে বাংলা একাডেমীতে পুরস্কার প্রবর্তন করে গেছেন। এক বছর অন্তর অন্তর লাখ টাকা মূল্যের 'কবীর চৌধুরী পুরস্কার' দেওয়া হয় শিশু সাহিত্যের জন্য। একইভাবে এক বছর পর পর 'মেহের কবীর পুরস্কার' দেওয়া হয় বিজ্ঞানবিষয়ক গ্রন্থের জন্য। এ পুরস্কার যাতে অব্যাহত থাকে, সেজন্য তহবিলে অর্থও যোগান দিয়ে গেছেন কবীর চৌধুরী। এ ছাড়া থিয়েটার প্রবর্তিত 'মুনীর চৌধুরী সম্মাননা'রও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন কবীর চৌধুরী। এ সম্মাননার ২৫ হাজার টাকা তিনি যোগান দিতেন।
কবীর চৌধুরী বিশ্বের নন্দিত নাট্যসাহিত্য যেমন বাংলায় অনুবাদ করে গেছেন, তেমনিভাবে নাট্যশিক্ষার প্রসারেও ছিলেন তিনি আন্তরিক। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি ছিলেন থিয়েটার পরিচালিত থিয়েটার স্কুলের অধ্যক্ষ। শুধু তাই নয়, কবীর চৌধুরী ছিলেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তিনি এ দেশের প্রথম সংগঠন বাংলাদেশ ফিল্ম সোসাইটির শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের পর দ্বিতীয় সভাপতি হিসেবে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ ফেডারেশান অব ফিল্ম সোসাইটিজের সভাপতি হিসেবে চলচ্চিত্রের কালাকানুনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।
৮৮ বছর বয়সেও পূর্ণ উদ্যোমে কাজ করে গেছেন কবীর চৌধুরী। বিরামহীন লেখালেখির পাশাপাশি সভা-সমাবেশেও উপস্থিত হতেন। অসামান্য মনীষায় যুক্তি আর জ্ঞানের আলো ছড়াতেন। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার। মানবতাবিরোধী অপরাধ, সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে নিরন্তর কথা বলেছেন। দাঁড়িয়েছেন রাজপথে। তিনি জাতির বিবেকের কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়েছিলেন। এ অভিমত বিশিষ্টজনদেরও।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, 'বড় ভাইয়ের মতো ছিলেন কবীর চৌধুরী। তাঁর মৃত্যুতে যে ক্ষতি হয়েছে, তা কোনোভাবেই পূরণ করা সম্ভব নয়।'
নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, 'কবীর চৌধুরী ছিলেন একেবারে সাদামাটা মানুষ। আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজনে অনীহা ছিল তাঁর। সারাক্ষণই পড়াশোনা আর লেখালেখি নিয়ে থাকতেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি অবিরাম লিখে গেছেন। জীবনে প্রতিবাদ ছিল তাঁর সহজাত। অন্যায়ের প্রতিবাদে ছিল তাঁর উচ্চ কণ্ঠ। আবার তাঁর মতো উদার মনের মানুষ সমাজে বিরল।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, 'কবীর চৌধুরী ছিলেন প্রগতিশীল আন্দোলনের বড় শক্তি। '৭৫ পরবর্তী সময়েও তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে রেখেছিলেন। কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা মারা গেলে রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হয়। কবীর চৌধুরীর অভাবও পূরণ হওয়ার নয়।'
যুদ্ধাপরাধবিরোধী আন্দোলনের নেতা শাহরিয়ার কবির বলেন, '৪০ বছর ধরে আমাদের নাগরিক আন্দোলনের পথপ্রদর্শক ছিলেন কবীর চৌধুরী। মৌলবাদ, যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, সামাজ্যবিরোধী আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক ও নাগরিক আন্দোলন, মিছিল-মিটিংয়ে তিনি থাকতেন সর্বাগ্রে। তিনি আমাদেরকে বটবৃক্ষের মতো ছায়া দিতেন।' তিনি বলেন, '৯২ সালে গণ-আদালত বসিয়ে যখন গোলাম আযমের বিচার করা হয়, তখন সেই আদালতের বিচারক ছিলেন কবীর চৌধুরী। কিন্তু বিচারের শেষটা তিনি দেখে যেতে পারলেন না।
প্রাবন্ধিক মফিদুল হক বলেন, 'কবীর চৌধুরী গড়ে প্রতিদিন সাত থেকে আট ঘণ্টা লেখালেখি ও পড়াশোনা করতেন। যেখানেই তিনি যান কেন, তাঁর সঙ্গে থাকত বই। এতটুকু অবসর পেলেই বই খুলে পড়তে শুরু করতেন। তিনি নিয়ম মেনে ঘুম থেকে ওঠতেন। খাবার খেতেন। পড়াশোনা লেখালেখি করতেন। তাঁর মধ্যে কোনো অহংবোধ ছিল না। তিনি চেয়েছিলেন স্বাভাবিক মৃত্যু। বাস্তবেও তা-ই হলো। '
রাজনীতিবিদ মঞ্জুরুল আহসান খান বলেন, 'বাংলাদেশের চেতনাদীপ্ত সব আন্দোলনের স্থপতি ছিলেন কবীর চৌধুরী। ছিলেন অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠস্বর ও প্রতিবাদী লেখক। তিনি ছিলেন জাতির বিবেক। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চেয়েছেন।'
মৃত্যু-পরবর্তী আড়ম্বরতার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা : বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী কবীর চৌধুরী ব্যক্তিগতভাবে সাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। মৃত্যু-পরবর্তী সময়েও সাধারণ মানুষের কাতারে শামিল হওয়া ইচ্ছা ব্যক্ত করে গেছেন তিনি। ২০০৬ সালে একবার অসুস্থ হয়ে পড়ার পর মৃত্যু-পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে তাঁর ইচ্ছাগুলো লিখিতভাবে স্বজনদের জানান তিনি। তাঁর ইচ্ছার মধ্যে ছিল তাঁর মরদেহ নিয়ে যেন আড়ম্বরপূর্ণ কিছু করা না হয়। শহীদ মিনারের আয়োজন যেন বাদ দেওয়া হয়। শেষ গোসলের সাত-আট ঘণ্টার মধ্যে যেন তাঁকে আজিমপুর, বনানী কিংবা সাধারণ কোনো কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। এই কবরে অন্য কারো কবর থাকলেও কোনো অসুবিধা নেই। নিকটতম কোনো মসজিদে যেন একটিই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মৃত্যু-পরবর্তী ব্যয়বহুল অন্যান্য অনুষ্ঠানও যেন বর্জন করা হয়। তাঁর সেই ইচ্ছা অনুসরণের চেষ্টা করা হয়। মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবর্তে কবরের সাধারণের অংশে সমাহিত করা হয়েছে তাঁকে।
শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা : কবীর চৌধুরী শুধু শিল্প-সংস্কৃতি-সাহিত্যের চর্চাই করে যাননি। তিনি পৃষ্ঠপোষকতাও করেছেন। নিজের ও তাঁর স্ত্রীর নামে বাংলা একাডেমীতে পুরস্কার প্রবর্তন করে গেছেন। এক বছর অন্তর অন্তর লাখ টাকা মূল্যের 'কবীর চৌধুরী পুরস্কার' দেওয়া হয় শিশু সাহিত্যের জন্য। একইভাবে এক বছর পর পর 'মেহের কবীর পুরস্কার' দেওয়া হয় বিজ্ঞানবিষয়ক গ্রন্থের জন্য। এ পুরস্কার যাতে অব্যাহত থাকে, সেজন্য তহবিলে অর্থও যোগান দিয়ে গেছেন কবীর চৌধুরী। এ ছাড়া থিয়েটার প্রবর্তিত 'মুনীর চৌধুরী সম্মাননা'রও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন কবীর চৌধুরী। এ সম্মাননার ২৫ হাজার টাকা তিনি যোগান দিতেন।
কবীর চৌধুরী বিশ্বের নন্দিত নাট্যসাহিত্য যেমন বাংলায় অনুবাদ করে গেছেন, তেমনিভাবে নাট্যশিক্ষার প্রসারেও ছিলেন তিনি আন্তরিক। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি ছিলেন থিয়েটার পরিচালিত থিয়েটার স্কুলের অধ্যক্ষ। শুধু তাই নয়, কবীর চৌধুরী ছিলেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তিনি এ দেশের প্রথম সংগঠন বাংলাদেশ ফিল্ম সোসাইটির শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের পর দ্বিতীয় সভাপতি হিসেবে আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ ফেডারেশান অব ফিল্ম সোসাইটিজের সভাপতি হিসেবে চলচ্চিত্রের কালাকানুনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।
No comments