গাজায় নিহতদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী এবং শিশু: জাতিসংঘ
এতে বলা হয়, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরাইল হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে যে পরিমাণ মানুষ হত্যা করেছে তা গণনা করেছে জাতিসংঘ। যা তিনটি সূত্রের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে তারা। এখনও গণনা অব্যাহত রেখেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর। হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের ইতিমধ্যেই ১৩ মাস সময় পার হয়েছে। এর মধ্যে ভুক্তভোগী ৮ হাজার ১১৯ জনের তথ্য যাচাই করা হয়েছে। তবে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪৩ হাজার। তুলনামূলকভাবে জাতিসংঘের উল্লিখিত সংখ্যা কম হলেও সংস্থাটি উল্লেখ করেছে যে, গাজায় নিহতদের বেশির ভাগই নারী এবং শিশু।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গাজায় যে পরিমাণ নারী এবং শিশু হত্যা করা হয়েছে তাতে স্পষ্টতই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের মৌলিক নীতিমালা লঙ্ঘিত হয়েছে। এ বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত ও নিরপেক্ষ সংস্থাগুলোর মাধ্যমে সমস্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে জাতিসংঘ। সংস্থাটির এই পরিসংখ্যানের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে কম বয়সী থেকে একদম সর্বোচ্চ ৯৭ বছর বয়সী এক নারীও রয়েছে। রয়েছে সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতকও। ১৮ বছরের নিচে যেসকল শিশু নিহত হয়েছে তাদের মধ্যে ৫ থেকে ৯ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ৪৪ শতাংশ। এর চেয়ে বেশি বয়সী শিশুদের বয়স ১০ থেকে ১৪ বছর। ইসরাইলের হামলায় গোটা গাজার বাসিন্দারা কোনো না কোনোভাবে আক্রান্ত হয়েছে। যার মাধ্যমে যুদ্ধ ক্ষেত্রে বেসামরিকদের ক্ষেত্রে সতর্কতার তীব্র অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ইসরাইলের প্রতি হামলায় পাঁচের অধিক নারী বা শিশু নিহত হওয়ার ঘটনা প্রায় ৮৮ শতাংশ। এতে ধারণা করা যায় যে ইসরাইল তাদের প্রতিটি হামলায় ভয়াবহ মরণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেছে। যদিও ইসরাইল এসব হত্যাকাণ্ডকে ‘অসাবধানতাবশত মৃত্যু’ বলে বর্ণনা করেছে।
No comments