দেশে এখনও প্রতি চারজনে একজন দরিদ্র: -বিশ্বব্যাংক
বিশ্বব্যাংক
মনে করে, গত এক দশকে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন
করেছে। কিন্তু এখনও প্রতি চারজনের একজন দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে।
এছাড়া জোরালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশে দারিদ্র্য কমাচ্ছে। তবে
দারিদ্র্য কমছে তুলনামূলক কম গতিতে। ২০১০ সাল থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির
গতি বাড়লেও দারিদ্র্য বিমোচনের গতি কমেছে।
আজ রাজধানীর বনানীর হোটেল আমারিতে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত ‘বাংলাদেশ পোভার্টি অ্যাসেসমেন্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন ও মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। যার বেশিরভাগই সম্ভব হয়েছে শ্রম আয় বৃদ্ধির কারণে। ২০১০ থেকে ২০১৬ সময় ৮০ লাখ বাংলাদেশি দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
এছাড়া দেশে অসমভাবে দারিদ্র্য কমেছে। ২০১০ সাল থেকে পূর্ব ও পশ্চিমের বিভাগগুলোর মধ্যে দারিদ্র্য পরিস্থিতি ঐতিহাসিক পার্থক্য আবার ফিরে এসেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পশ্চিমে রংপুর বিভাগে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে এবং রাজশাহী ও খুলনায় একই জায়গায় রয়েছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে দারিদ্র্য কমেছে পরিমিত হারে এবং বরিশাল, ঢাকা ও সিলেটে দারিদ্র্য কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, বিগত দশকে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু এখনো বাংলাদেশে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন দরিদ্র বাস করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আরও অনেক কিছু করতে হবে। বিশেষ করে দারিদ্রের নতুন ক্ষেত্রগুলোর দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। শহর এলাকায় দারিদ্র্য মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ, কেননা ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে দরিদ্র মানুষের অর্ধেক শহরে বসবাস করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আরও বলেন, দারিদ্র বিমোচনের ৯০ শতাংশ কর্মসূচি গ্রামে রয়েছে। শহরে দারিদ্র্য কমেছে সীমিত হারে এবং অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে শহরের লোকের অংশ একই রয়ে গেছে। ফলে জাতীয় দারিদ্র্য বিমোচনের হার কমেছে।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, বিশ্বব্যাংকের এই তথ্য অনেক পুরনো। গত ১০০ বছর আগে বাংলাদেশে কোথায় ছিল আর এখন কোথায় সেটা ভাবতে হবে। এই প্রতিবেদনে ২০১৭ সালের আগের তথ্য উঠে এসেছে। এই প্রতিবেদনের তুলনায় বাংলাদেশের বর্তমান চিত্র অনেক ভিন্ন বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের সরকারের যেভাবে কাজ করছে সেটার আলোকে ২০৩০ সালের মাঝে আমাদের যে স্বপ্ন সেটা আমরা বাস্তবায়ন পারবো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের টার্গেট ২০২৪ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করব। আমরা স্বাভাবিকভাবেই জিডিপিতে ৮ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে, আমাদের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন এবং আমাদের তরুণ মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে বাকি দুই শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করব।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য আমরা সেখানে পৌঁছাতে পারবো। বাংলাদেশি একবার যারা দারিদ্র্য থেকে উঠে এসেছে তারা আর গরিব হবে না, কারণ আমরা বিভিন্ন সেক্টরকে উন্নত করেছি।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রতিবেদনে যেসব এলাকাকে দারিদ্র বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে, আপনারা দেখতে পাবেন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে আমরা সেসব এলাকাকে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনায় রেখেছি।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সেক্রেটারি ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য বিভাগের সচিব সুরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, বিশ্বব্যাংকের দারিদ্র ও নীতি বিভাগের পরিচালক ক্যারোলিনা সাইন্সেস পারামোসহ সরকারের নীতিনির্ধারক, বেসরকারিখাত ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
আজ রাজধানীর বনানীর হোটেল আমারিতে বিশ্বব্যাংক আয়োজিত ‘বাংলাদেশ পোভার্টি অ্যাসেসমেন্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন ও মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। যার বেশিরভাগই সম্ভব হয়েছে শ্রম আয় বৃদ্ধির কারণে। ২০১০ থেকে ২০১৬ সময় ৮০ লাখ বাংলাদেশি দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
এছাড়া দেশে অসমভাবে দারিদ্র্য কমেছে। ২০১০ সাল থেকে পূর্ব ও পশ্চিমের বিভাগগুলোর মধ্যে দারিদ্র্য পরিস্থিতি ঐতিহাসিক পার্থক্য আবার ফিরে এসেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পশ্চিমে রংপুর বিভাগে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে এবং রাজশাহী ও খুলনায় একই জায়গায় রয়েছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে দারিদ্র্য কমেছে পরিমিত হারে এবং বরিশাল, ঢাকা ও সিলেটে দারিদ্র্য কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, বিগত দশকে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু এখনো বাংলাদেশে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন দরিদ্র বাস করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আরও অনেক কিছু করতে হবে। বিশেষ করে দারিদ্রের নতুন ক্ষেত্রগুলোর দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। শহর এলাকায় দারিদ্র্য মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ, কেননা ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে দরিদ্র মানুষের অর্ধেক শহরে বসবাস করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আরও বলেন, দারিদ্র বিমোচনের ৯০ শতাংশ কর্মসূচি গ্রামে রয়েছে। শহরে দারিদ্র্য কমেছে সীমিত হারে এবং অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে শহরের লোকের অংশ একই রয়ে গেছে। ফলে জাতীয় দারিদ্র্য বিমোচনের হার কমেছে।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, বিশ্বব্যাংকের এই তথ্য অনেক পুরনো। গত ১০০ বছর আগে বাংলাদেশে কোথায় ছিল আর এখন কোথায় সেটা ভাবতে হবে। এই প্রতিবেদনে ২০১৭ সালের আগের তথ্য উঠে এসেছে। এই প্রতিবেদনের তুলনায় বাংলাদেশের বর্তমান চিত্র অনেক ভিন্ন বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের সরকারের যেভাবে কাজ করছে সেটার আলোকে ২০৩০ সালের মাঝে আমাদের যে স্বপ্ন সেটা আমরা বাস্তবায়ন পারবো।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের টার্গেট ২০২৪ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করব। আমরা স্বাভাবিকভাবেই জিডিপিতে ৮ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে, আমাদের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন এবং আমাদের তরুণ মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে বাকি দুই শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করব।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য আমরা সেখানে পৌঁছাতে পারবো। বাংলাদেশি একবার যারা দারিদ্র্য থেকে উঠে এসেছে তারা আর গরিব হবে না, কারণ আমরা বিভিন্ন সেক্টরকে উন্নত করেছি।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রতিবেদনে যেসব এলাকাকে দারিদ্র বেশি বলে উল্লেখ করা হয়েছে, আপনারা দেখতে পাবেন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে আমরা সেসব এলাকাকে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিকল্পনায় রেখেছি।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সেক্রেটারি ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য বিভাগের সচিব সুরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, বিশ্বব্যাংকের দারিদ্র ও নীতি বিভাগের পরিচালক ক্যারোলিনা সাইন্সেস পারামোসহ সরকারের নীতিনির্ধারক, বেসরকারিখাত ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
No comments