নীল নদে বাঁধ সংকট নিরসনে কূটনৈতিক প্রয়াস ব্যর্থ
নীল
নদের ওপরে বাঁধ নির্মান ইস্যুতে ইথিওপিয়ার সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে গেছে বলে
জানিয়েছে মিশর। এ জন্য আদ্দিস আবাবাকেই দায়ি করেছে কায়রো। এছাড়া, নীল নদ
সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছে দেশটি। এ খবর দিয়েছে
আল-জাজিরা।
নীল নদের ওপর ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যায়ে একটি পানিবিদ্যুত কেন্দ্র তৈরি করছে ইথিওপিয়া। ফলে নীলের ভাটির দেশ মিশর আতঙ্কিত হয়ে পরছে। দেশটি আশংকা করছে এই বাঁধ চালু হলে তারা পানি সংকটে পরবে ও অর্থনীতি ব্যহত হবে। ২০১১ সালে দ্য গ্রান্ড ইথিওপিয়ান রেনেসা ড্যামটির ঘোষণা দেয় ইথিওপিয়া।
পৃথিবীর অন্যতম দরিদ্র এই রাষ্ট্রটি এই বাধের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি পাল্টে দেয়ার স্বপ্নে বিভোর। এখান থেকে ৬০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করতে পারবে দেশটি। ইথিওপিয়ার তিন ভাগের এক ভাগ জনগন বিদ্যুত সেবার বাইরে বাস করে। এই বিদ্যুতকেন্দ্রটি চালু হলে ইথিওপিয়া নিজ দেশের চাহিদা পূরণ করে হয়ে উঠবে আফ্রিকার সবথেকে বড় বিদ্যুত রপ্তানিকারক দেশ।
তবে মিশরের ভয় হচ্ছে এর ফলে তাদের পানিপ্রবাহে ভাটা পরবে। দেশটির অর্থনীতি ব্যাপকভাবে নীল নির্ভর। এছাড়া ক্ষতির আশংকা করছে সুদান ও ইথিওপিয়ারও একটি অংশ। বিশুদ্ধ পানির ৯০ শতাংশই মিশর পেয়ে থাকে নীল থেকে। এটি চায় ইথিওপিয়া আরো বেশি পানি দেক মিশরকে। তবে ইথিওপিয়ার সে দাবিতে সায় নেই। এ নিয়েই দুই দেশ কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে শনিবার মিশরের পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইথিওপিয়ার অনুদারতার কারণে আলোচনা ভেস্তে গেছে। ফলে মিশর এখন আন্তর্জাতিক দেশগুলোকে আহবান জানিয়েছে এই সংকট সমাধানে মধ্যস্থতা করতে। দেশটি সাহায্যের আবেদন জানিয়ে বলেছে, নীল নিয়ে তারা একটি ভারসম্যপূর্ন চুক্তি চায়। সুদানের রাজধানী খার্তুমে ৩ দেশের মধ্যে ওই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
মধ্যস্থতা কোন রাষ্ট্র করবে তার নাম উল্লেখ করেনি মিশর। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসবে বলে মনে হচ্ছে। শুক্রবার হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে বলে, নীল নদ নিয়ে চলমান দরকষাকষিকে তারা স্বাগত জানায়। এদিকে আলোচনায় মধ্যস্থতায় আন্তর্জাতিক দেশগুলোর সাহায্যের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন ইথিওপিয়ার মন্ত্রী সেলেশি বেকেলে। তিনি বলেন, কেনো আমাদের নতুন অংশীদার লাগবে? আপনি কী এই আলোচনা চিরদিন চালিয়ে যেতে চান?
এর আগে মিশর প্রস্তাব দিয়েছিলো তারা ওই বাঁধ নিয়ন্ত্রণ করবে। তবে এ দাবি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইথিওপিয়া। এখনো দেশটি ঠিক কী পরিমাণ পানি দেবে তাও নিশ্চিত করে বলছে না। তবে মিশর সেখান থেকে বছরে ৪০ বিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি দাবি করেছে।
নীল নদের ওপর ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যায়ে একটি পানিবিদ্যুত কেন্দ্র তৈরি করছে ইথিওপিয়া। ফলে নীলের ভাটির দেশ মিশর আতঙ্কিত হয়ে পরছে। দেশটি আশংকা করছে এই বাঁধ চালু হলে তারা পানি সংকটে পরবে ও অর্থনীতি ব্যহত হবে। ২০১১ সালে দ্য গ্রান্ড ইথিওপিয়ান রেনেসা ড্যামটির ঘোষণা দেয় ইথিওপিয়া।
পৃথিবীর অন্যতম দরিদ্র এই রাষ্ট্রটি এই বাধের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি পাল্টে দেয়ার স্বপ্নে বিভোর। এখান থেকে ৬০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করতে পারবে দেশটি। ইথিওপিয়ার তিন ভাগের এক ভাগ জনগন বিদ্যুত সেবার বাইরে বাস করে। এই বিদ্যুতকেন্দ্রটি চালু হলে ইথিওপিয়া নিজ দেশের চাহিদা পূরণ করে হয়ে উঠবে আফ্রিকার সবথেকে বড় বিদ্যুত রপ্তানিকারক দেশ।
তবে মিশরের ভয় হচ্ছে এর ফলে তাদের পানিপ্রবাহে ভাটা পরবে। দেশটির অর্থনীতি ব্যাপকভাবে নীল নির্ভর। এছাড়া ক্ষতির আশংকা করছে সুদান ও ইথিওপিয়ারও একটি অংশ। বিশুদ্ধ পানির ৯০ শতাংশই মিশর পেয়ে থাকে নীল থেকে। এটি চায় ইথিওপিয়া আরো বেশি পানি দেক মিশরকে। তবে ইথিওপিয়ার সে দাবিতে সায় নেই। এ নিয়েই দুই দেশ কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে শনিবার মিশরের পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইথিওপিয়ার অনুদারতার কারণে আলোচনা ভেস্তে গেছে। ফলে মিশর এখন আন্তর্জাতিক দেশগুলোকে আহবান জানিয়েছে এই সংকট সমাধানে মধ্যস্থতা করতে। দেশটি সাহায্যের আবেদন জানিয়ে বলেছে, নীল নিয়ে তারা একটি ভারসম্যপূর্ন চুক্তি চায়। সুদানের রাজধানী খার্তুমে ৩ দেশের মধ্যে ওই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
মধ্যস্থতা কোন রাষ্ট্র করবে তার নাম উল্লেখ করেনি মিশর। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসবে বলে মনে হচ্ছে। শুক্রবার হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে বলে, নীল নদ নিয়ে চলমান দরকষাকষিকে তারা স্বাগত জানায়। এদিকে আলোচনায় মধ্যস্থতায় আন্তর্জাতিক দেশগুলোর সাহায্যের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন ইথিওপিয়ার মন্ত্রী সেলেশি বেকেলে। তিনি বলেন, কেনো আমাদের নতুন অংশীদার লাগবে? আপনি কী এই আলোচনা চিরদিন চালিয়ে যেতে চান?
এর আগে মিশর প্রস্তাব দিয়েছিলো তারা ওই বাঁধ নিয়ন্ত্রণ করবে। তবে এ দাবি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইথিওপিয়া। এখনো দেশটি ঠিক কী পরিমাণ পানি দেবে তাও নিশ্চিত করে বলছে না। তবে মিশর সেখান থেকে বছরে ৪০ বিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি দাবি করেছে।
No comments