নারায়ণগঞ্জে লতিফ সিদ্দিকীর মাথার মূল্য ৫ লাখ নির্ধারণ
হজ, রাসুল
(সা.) ও তাবলিগ জামাত নিয়ে মন্তব্য করায় ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে
অব্যাহতিপ্রাপ্ত আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর মস্তকের মূল্য ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ
করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ থেকে। গতকাল জুমার পর
অনুষ্ঠিত সমাবেশে কয়েকজন বক্তা বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকী যে ধরনের অন্যায় কাজ
করেছেন তাতে তার শাস্তি হলো শিরশ্ছেদ। যিনি লতিফের মাথার মস্তক এনে দিতে
পারবেন তাকে ৫ লাখ টাকা পুরস্কৃত করা হবে।’
শহরের
ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় কেন্দ্রীয় রেলওয়ে জামে মসজিদের সামনে অনুষ্ঠিত ওই
সমাবেশে বিপুলসংখ্যক মুসল্লির সমাগম ঘটে। আর দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর বিশাল
সমাবেশের মাধ্যমে আবারও জেগে উঠলো নারায়ণগঞ্জ হেফাজতে ইসলাম।
সমাবেশে আসা বক্তারা লতিফ সিদ্দিকীর বিভিন্ন ধরনের সমালোচনা করেন। নারায়ণগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি মশিউর রহমান পাবেল ও মুফতি শহীদউল্লাহ তাদের বক্তব্যে লতিফ সিদ্দিকীর মস্তকের দাম ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করে দিয়ে বলেন, ‘হজ, রাসুল (সা.) ও তাবলিগ নিয়ে কটূক্তি করায় লতিফের শাস্তি সরাসরি শিরশ্ছেদ ও কতল। সুতরাং তার মস্তক যে আনতে পারবে তাকে ৫ লাখ টাকা পুরস্কৃত করা হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে আবদুল কাদির বলেন, লতিফ সিদ্দিকীকে যদি সরকার ও রাষ্ট্র বিচার না করে তাহলে প্রয়োজনে তৌহিদি জনতাই তাকে বিচারের আওতায় আনবে। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মুক্তি সরণিতে আদালত বসিয়ে বিচার করে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের পরও সরকার কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ ইস্যু নিয়ে কোন ধরনের সমঝোতা বা আপস হতে পারে না। এ অপরাধের শাস্তি সরাসরি শিরশ্ছেদ। আমি লতিফ সিদ্দিকীর শিরশ্ছেদ দাবি করছি। আর লতিফ সিদ্দিকীর এত বড় সাহস হয় নাই আমাদের নবী-রাসুল (সা.) আর হজ নিয়ে কটূক্তি করার। এর পেছনে নিশ্চয় সরকার কিংবা গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। ইসলামবিরোধী ইহুদিদের শক্তিকে কাছে টানতেই সরকার লতিফ সিদ্দিকীকে দিয়ে এ কথা বলিয়েছে। কারণ লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলে তিনি তার বক্তব্য থেকে সরে আসবেন।
হেফাজত নেতা মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ হেফাজত মরে নাই। আগের চেয়ে আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে। সামনে আরও শক্তিশালী ও দৃঢ় হবে। রাসুল (সা.)-এর ইজ্জত রক্ষা করতে রক্ত দিতেও পিছপা হবে না।’ তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ইসলাম রক্ষায় আমরা যখন আন্দোলন করেছিলাম তখন আমাদের বিরুদ্ধে ডজন ডজন মামলা হয়েছে। অথচ নারায়ণগঞ্জে এখনও লতিফের বিরুদ্ধে কোন মামলা হলো না।
হেফাজত নেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার অপরাধে এক যুবকের ৭ বছরের জেল হলেও দেড় শ’ কোটি মানুষের রাসুল (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করার পরও কেন লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না সে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।’ অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইমরান আল হাদী, মুফতি আবুল কাশেম, আবুল খায়ের, ফরিদ আহমেদ, জহির উদ্দিন ফারুকী, আবদুর রহমান, মুসা কাশেমী প্রমুখ।
সমাবেশে আসা বক্তারা লতিফ সিদ্দিকীর বিভিন্ন ধরনের সমালোচনা করেন। নারায়ণগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি মশিউর রহমান পাবেল ও মুফতি শহীদউল্লাহ তাদের বক্তব্যে লতিফ সিদ্দিকীর মস্তকের দাম ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করে দিয়ে বলেন, ‘হজ, রাসুল (সা.) ও তাবলিগ নিয়ে কটূক্তি করায় লতিফের শাস্তি সরাসরি শিরশ্ছেদ ও কতল। সুতরাং তার মস্তক যে আনতে পারবে তাকে ৫ লাখ টাকা পুরস্কৃত করা হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে আবদুল কাদির বলেন, লতিফ সিদ্দিকীকে যদি সরকার ও রাষ্ট্র বিচার না করে তাহলে প্রয়োজনে তৌহিদি জনতাই তাকে বিচারের আওতায় আনবে। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মুক্তি সরণিতে আদালত বসিয়ে বিচার করে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের পরও সরকার কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ ইস্যু নিয়ে কোন ধরনের সমঝোতা বা আপস হতে পারে না। এ অপরাধের শাস্তি সরাসরি শিরশ্ছেদ। আমি লতিফ সিদ্দিকীর শিরশ্ছেদ দাবি করছি। আর লতিফ সিদ্দিকীর এত বড় সাহস হয় নাই আমাদের নবী-রাসুল (সা.) আর হজ নিয়ে কটূক্তি করার। এর পেছনে নিশ্চয় সরকার কিংবা গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। ইসলামবিরোধী ইহুদিদের শক্তিকে কাছে টানতেই সরকার লতিফ সিদ্দিকীকে দিয়ে এ কথা বলিয়েছে। কারণ লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলে তিনি তার বক্তব্য থেকে সরে আসবেন।
হেফাজত নেতা মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ হেফাজত মরে নাই। আগের চেয়ে আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে। সামনে আরও শক্তিশালী ও দৃঢ় হবে। রাসুল (সা.)-এর ইজ্জত রক্ষা করতে রক্ত দিতেও পিছপা হবে না।’ তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ইসলাম রক্ষায় আমরা যখন আন্দোলন করেছিলাম তখন আমাদের বিরুদ্ধে ডজন ডজন মামলা হয়েছে। অথচ নারায়ণগঞ্জে এখনও লতিফের বিরুদ্ধে কোন মামলা হলো না।
হেফাজত নেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার অপরাধে এক যুবকের ৭ বছরের জেল হলেও দেড় শ’ কোটি মানুষের রাসুল (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি করার পরও কেন লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না সে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।’ অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইমরান আল হাদী, মুফতি আবুল কাশেম, আবুল খায়ের, ফরিদ আহমেদ, জহির উদ্দিন ফারুকী, আবদুর রহমান, মুসা কাশেমী প্রমুখ।
No comments