রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের ট্রিকস?
গতকাল সৌদি দৈনিক আরব নিউজে প্রকাশিত একটি লেখার অবিকল তরজমা নিচে দেয়া হলো:
জাকির হোসেন, মক্কা: এটা খুবই অস্বস্তিকর যে, বাংলাদেশের টেলিকমমন্ত্রী হজ বিষয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। হজ ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পঞ্চম স্তম্ভ। বাংলাদেশ মন্ত্রীকে হজ বিষয়ক মন্তব্যের পর অপসারণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী কথিতমতে হজ সম্পর্কে এই বিরুপ মন্তব্য করেছেন যে, তিনি একে জনশক্তির অপচয় এবং দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর বলে বর্ণনা করেছেন।
মন্ত্রী বর্তমানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন, যিনি হয়তো মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসবকালে দেশের বাইরে অবস্থান করবেন (যা সত্য নয়, মানবজমিন ডেস্ক)। আর এটাই বাংলাদেশ সরকারের টিপিক্যাল চরিত্র, কারণ ইসলাম, তার মূল্যবোধ এবং বিপুল অনুসারীদের প্রতি এই সরকারের রয়েছে অত্যল্প শ্রদ্ধা। হাসিনা সরকারের প্রকৃত এজেন্ডা হলো দেশে ইসলামকে দুর্বল করা এবং অমুসলিম ও ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সহায়তায় ক্ষমতায় টিকে থাকা।
ওই মন্ত্রীকে অপসারণ করার কথিত সিদ্ধান্ত প্রচারও একধরনের বাগাড়ম্বর। গুজবমতে তাকে ইসলাম সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য অপসারণ করা হয়নি। তিনি হাসিনার পরিবারের সদস্যদের প্রতি তীর নিক্ষেপ করেছেন। তিনি হাসিনার ছেলে সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আপনি ধর্মবিরোধী মন্তব্য করতে পারবেন কিন্তু কখনও শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়ার পরিবারের কোন সদস্যের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে পারবেন না।
সুতরাং এটা চিন্তা করা ভুল যে, ইসলাম বা তার কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার কারণে লৌহ দণ্ড নিয়ে দেশ শাসনকারী হাসিনা সরকার কোন মন্ত্রীকে অপসারণ করবেন। এটা তার ছেলের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার কারণে ঘটেছে।
মন্ত্রী সিদ্দিকী এর আগেও ইসলামের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার জন্য পরিচিত। আর এখন তিনি হজের বিরুদ্ধে অনভিপ্রেত মন্তব্য করলেন যে, এটা অর্থের অপচয় এবং এর ফলে বাংলাদেশ অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে।
তিনি কি তাহলে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেবেন যাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয় এবং অর্থনীতির ক্ষতি সাধন ঘটে। প্রবৃদ্ধি না বাড়ার ঘাটতি হিসেবে জনগণের হজ গমনকে দায়ী করবেন না। দেশের দুর্নীতির দিকে তাকান, কারণ দুর্নীতিই দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড খেয়ে ফেলছে। এবং সাম্রাজ্যবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের ক্রীড়নক হওয়ার বিষয়টিও অস্বীকার করবেন না।
পাশ্চত্যে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার জন্য এটা হতে পারে তার সস্তা ট্রিকস। কারণ ইসলাম বিরোধী দেশগুলো ভবিষ্যতে আরেকজন তসলিমা নাসরীন বা সালমান রুশদীকে লালন করতে আগ্রহী থাকবে।
No comments